আমার কাকু



সকালে ঘুম ভাঙলে ফেসবুক অন করতেই দেখি চঞ্চল আমাকে ট্যাগ করে একটা পোষ্ট দিয়েছে আর অনেকেই তাতে লাইক দিয়েছে লিঙ্কটা খুলতেই দেখলাম দ্বিজেন কাকুকে নিয়ে ওর লেখা – ওর কাছ থেকেই পেলাম কাকুর অচিনপুরী চলে যাওয়ার খবর, যদিও ইভান ভাইবারে খবরটা আগেই পাঠিয়েছিল, দেখা হয়নি
কাকু অসুস্থ বেশ আগে থেকেই আমার ভাইপো নিলয়ের কাছে প্রথম শুনি আমি ওকে বলেছিলাম কাকুকে আমার পাণ্ডুলিপির ফাইনাল ভার্সন পৌঁছে দিতে, তখন ফোন করলে কাকু বলেন শরীরটা খারাপ, পরে যেন যোগাযোগ করে এরপর কাকু ভর্তি হন বারডেমে তারপর থেকে কমবেশি নিয়মিত কাকুর খবর পেতাম ফেসবুকের পাতায় আর অনেকের মতই আশায় বুক বাধতাম, এইতো কাকু আবার ভালো হয়ে উঠবেন, আবার গল্প করবো একসাথে বসে হঠাৎ মনে পড়লো কত কথা এখনো জিজ্ঞেস করা হয়নি, কত বিষয়ে এখনো মত বিনিময় করা হয়নি
দুদিন আগে ফেসবুকে ববির এক পোষ্ট দেখে অবশ্য সে আশা বাদ দিয়েছি যে মানুষ সারা জীবন লড়াই করে গেছেন, মাথা উঁচু করে মোকাবেলা করেছেন সব চ্যালেঞ্জ, তাঁকে এভাবে অসহায় অবস্থায় দেখতে মন চায়নি যতই আমাদের খারাপ লাগুক, আমাদের আশার জায়গাটা যতই ছোট হয়ে যাক না কেন, ভালোবাসার মানুষগুলোকে মাথা উঁচু করে চলে যেতে দেবার দায়িত্বও আমাদেরই কাকুর ঐ ছবি দেখে মনে পড়লো ১৯৯১ সালের কথা ২২ এপ্রিল বাড়ি ফিরে জানলাম বাবা মারা গেছেন ৩১ মার্চ আমি আসবো বলে আর জানায়নি আগে থেকে একদিন বসে এ্যালবাম দেখছি, হঠাৎ একটা ছবি দেখে অবাক হলাম ভাইকে জিজ্ঞেস করায় ও বললও, বাবার মৃত্যুর পর তোলা এ ছবি আমি এ্যালবাম সরিয়ে বললাম আমাকে এ ছবি যেন আর কোনদিন না দেখায় এরপর থেকে যখনই বাবাকে মনে করি, স্বপ্নে বা পথ চলতে বাবার সাথে কথা বলি, চোখের সামনে ভেসে ওঠে বাবার প্রানোজ্জ্বল সেই ছবি যখন তিনি ছিলেন আমাদের সবার আশ্রয়স্থল, আমাদের নিরাপত্তার জায়গা আমরা যারা বেঁচে থাকি, আমরা খুব করে চাই আমাদের অসুস্থ প্রিয়জনেরা ভালো হয়ে উঠুন, আমাদের মধ্যে চিরতরে থেকে যান, এমন কি এই থেকে যাওয়া তাদের জন্য কষ্টের হলেও এ নিয়ে আমার বউএর সাথে কথা হয় ঠিক করেছি আমাদের ভালবাসা যেন আমাদের শারিরীক কষ্টের কারণ না হয়, এ রকম অবস্থায় আমরা যেন একে অন্যকে বেঁধে না রেখে বরং তাড়াতাড়ি কিভাবে চলে যাওয়া যায়, সে ব্যবস্থাই করি
কাকুর সাথে আমার পরিচয় সত্তর দশকের মাঝামাঝি এখনকার যুগ হলে বলতাম ভার্চুয়াল আলাপ ঐ সময় হাতে পাই তাঁর লেখা “চার্লস ডারউইনঃ পিতামহ সুহৃদ সহযাত্রী“ বই পড়ে মনে হয়েছিল লেখক দ্বিজেন শর্মা যেন সত্যি সত্যিই ডারউইনের নাতি – এতো ভালোবাসা দিয়ে লেখা ছিল বইটা এরপর ১৯৮২ র শেষ বা ১৯৮৩ র প্রথমে আবু জাফর শামসুদ্দীনের লেখায় জানি উনি মস্কো থাকেন তখন আমারও মস্কো আসার কথাবার্তা চলছিলো, তাই ভাবলাম রাশিয়ায় গেলে দেখা করবো, গল্প করবো গাছপালা নিয়ে          
আমি মস্কো আসি ১৯৮৩ সালের ৬ সেপ্টেম্বর সিপিবির স্কলারশিপ নিয়ে সাথে ছিল শুভ শুভর বাবা মা কাকুদের পুরানো সাথী, তাই ও সময় পেলেই চলে যেতো কাকুদের আনোখিনার বাসায় এর কিছুদিন পরে শুভর মা এলেন কিউবা থেকে দেশে ফেরার পথে তখনও অনেকেই দল বেঁধে গেল কাকুদের ওখানে আমার যাওয়া হয়নি ওনাদের সাথে আমার দেখা হতো মাঝে মধ্যে - আমাদের ছাত্র সংগঠনের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অথবা দেশ থেকে সিপিবি বা ন্যাপের বড়মাপের নেতাদের কেউ এলে হোটেলে বা হোস্টেলের কোন আড্ডায় কাকু তখন আমার দাদা ছিলেন, মানে সবার মত আমিও তাঁকে দ্বিজেনদা বলেই ডাকতাম কমিউনিস্ট আইডিয়ায় বিশ্বাস করি, নিজেকে সমাজতন্ত্রের সৈনিক মনে করি, তাই ছোট বড় সব সহযাত্রীরাই কমরেড, দাদা বা ভাই। স্বভাবসুলভ আন্তরিকতার সাথে তিনি আমাকে ওনাদের বাসায় যেতে বলেছেন অনেকবার যাওয়া হয়নি তখনকার একটা কারণ ছিল কাকুর কুকুর অনেক গল্প শুনেছি কুকুরের ঐ কুকুরের ভয়ে আর যাওয়া হয়নি, যদিও এখন আমার নিজের বাড়িতেই ডজন খানেক কুকুরের বাস পরে অনেক সময় মনে হয়েছে আগে থেকে কাকুর ওখানে গেলে আরও অনেক কিছুই জানতে বা শিখতে পারতাম আবার এও ভেবেছি, আগে থেকে যাতায়াতটা হলে হয়তো নিজের স্বকীয়তা থাকতো না আমি দেশ থেকে আসার আগে পুরো সময়টাই কাটিয়েছি গ্রামে, বাবা মার সাথে বাড়ির সবার ছোট, তাই অনেক আদরে বড় হওয়া বুয়েটে ভর্তির আগ পর্যন্ত বলতে গেলে দু মাইল দূরে মানিকগঞ্জও বাবা একা যেতে দেননি তাই প্রথম থেকে কাকুর সংস্পর্শে এলে হয়তো আমার আর স্বাবলম্বী হয়ে ওঠা হতো না
ওনার বাড়িতে অনেকের মত আমারও প্রধান আকর্ষণ ছিল বিশাল বইয়ের ভাণ্ডার বই পড়ার অভ্যেস ছোট বেলা থেকেই। বাড়ির সবাই সময় পেলেই বই নিয়ে বসে পড়তো। রুশ সাহিত্যের প্রতি বরাবরই দুর্বলতা ছিল। তবে কলেজে উঠে বাম রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়ার পর পড়ার মুল বিষয় হয় রাজনৈতিক বইপত্র – মার্ক্সবাদী-লেনিনবাদী সাহিত্য। কাকু আমাকে আবার প্রথাগত সাহিত্যের পথে ফিরিয়ে আনেন। ঐ দিনগুলোতে আমার এক এজেন্ট ছিল বই আনার – সুস্মি, কাকুর বন্ধু অধ্যাপক আলী আনোয়ারের মেয়ে তাই তেমনটা না গেলেও চলত সুস্মিকে বইয়ের নাম বলে দিলে ও নিয়ে আসতো, আবার কখনো কখনো কাকু নিজে থেকেই বই পাঠিয়ে দিতেন পড়ার জন্য। আমি ওনাদের বাসায় প্রথম যাই সুস্মির হাত ধরেই আমাদের নাটকের জন্য মই আনতে
১৯৯১ সাল দেশ থেকে ফিরেছি বাবা মারা গেছেন সুস্মি চলে গেছে পড়াশুনা শেষে অনেক বন্ধুরাই চলে গেছে শেষ করে, যারা যায়নি বিভিন্ন কারণে তাদের অনেকের সাথেই সম্পর্কের টানপোড়ন চলছে সেটা অবশ্য আগে থেকেই পার্টির সাথে আমার ছাড়াছাড়ি হয়ে যাবার পর থেকেই প্রচণ্ড একাকীত্বের মধ্যে কাটছে দিনগুলো ঠিক তখনই  আমি তপুর পেছন পেছন শুরু করি ওনাদের বাসায় যাতায়াত আর একদিন বলি “দ্বিজেনদা, আমি আপনাকে কাকু বলে ডাকবো“ উনি আপত্তি করেননি তখন থেকেই দ্বিজেনদা প্রথমে আমার দ্বিজেন কাকু আর পরে শুধুই কাকু হয়ে গেলেন এরপর কত যে একসাথে বিকেল কাটানো, গল্প করা – বই নিয়ে, রাজনীতি নিয়ে, বিশেষ করে ১৯৪৭ এর দেশভাগ নিয়ে তারপর এক সময় সবাই মিলে বাংলাদেশ দুতাবাসের স্কুলে শিক্ষকতা করা সোভিয়েত দেশ ভেঙ্গে গেছে প্রগতি প্রকাশনের পাশ দিয়ে যেতে যেতে কাকু কত গল্পই যে করেছেন! স্কুলে পড়ানোর সাথে সাথে হৈচৈ করে রান্না করা কাকুর সংস্পর্শে নতুন রাশিয়ায় আমাদের টিকে থাকার লড়াইটাও যেন আনন্দের হয়ে উঠেছিল কাকু, কাকী, রেজা, সাজু ভাই, রুমা, মামুন, রনি, জলি – সবাই মিলে স্কুলের দিনগুলো কেমন করে যে কেটে গেছে এরপর এক সময় কাকী দেশে চলে গেলেন ইউনিভারসিটি শেষ করে মুন্নীও চলে গেল কাকু রয়ে গেলেন ঐ সময়ই কাকু আমাদের অনেকেরই খুব কাছে চলে আসেন  ১৯৯৩ সালে আমি পিএইচডি শেষ করি আর ১৯৯৪ এর মে মাসে দুবনা আসি কাজ করতে। এই কয়মাস খুব যেতাম কাকুর ওখানে। ঐ সময় কাকুও আসতেন আমাদের লেনিনস্কি প্রোসপেক্টের বাসায়। মনিকা তখনও হয় নি। কাকু এলেই আন্তনের আনন্দ দেখে কি? মনিকার জন্মের পরও কাকু আসতেন আমাদের এখানে, আমরাও গিয়েছি কাকুর বাসায়। এরপর এক সময় কাকু দেশে চলে গেলেন, মনিকা, আন্তনকে নিয়ে গুলিয়া এলো দুবনায়। আমার মস্কোর জীবনের পাট চুকলো। কমে এলো কাকুর সাথে যোগাযোগ। আবার দেখা হোল ১৯৯৭ সালে, প্লেনে – দেশে ফেরার পথে। ওনারা দেশে ফিরছিলেন, আমি একটা কনফারেন্সে যোগ দেবো বলে দেশ হয়ে পুনা যাচ্ছিলাম। তখনও গ্রামীন ফোনের যুগ আসেনি, তাই যোগাযোগ তত সোজা ছিল না। এরপর ১৪ বছর দেশে যাওয়া হয় নি। ২০১১ তে গিয়ে গেলাম কাকুর সিদ্ধেশ্বরীর বাসায় তপুকে নিয়ে। কথা হোল। সোভিয়েত দেশকে মনে করলাম। এরপর আড্ডা হোল জয়নালের বাসায় – কথা আর কথা – আবার সোভিয়েত দেশে ফিরে যাওয়া। ২০১২ র আগস্টে কাকু আবার মস্কো এলেন। ইনফরমেসন গ্যাপে বাসায় যাওয়া হোল না, দেখা হোল বাংলাদেশ প্রবাসী পরিষদ রাশিয়ার পক্ষ থেকে দেয়া সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে। এরপর আবার দেখা গত বছর ২০১৬তে। এর মধ্যে আমি একাত্তরের স্মৃতি কথা লিখতে শুরু করেছি। বেশ কিছুটা লেখাও হয়েছে। ওটুকুই প্রিন্ট করে নিয়ে গেছি কাকুকে দেখাবো বলে। তপু চলে গেছে কাকুর বাসায়। ইভান আহসানের ওখান থেকে আমাকে বাইকের পেছনে বসিয়ে নিয়ে গেলো কাকুর বাসায়। অনেক কথা হোল। দেশ নিয়ে, দেশের পরিস্থিতি নিয়ে। সোভিয়েত দেশকে মনে করতেও ভুললাম না। ঐ সুযোগে কাকুর হাতে লেখাটাও ধরিয়ে দিলাম। দু’তিন দিন              পরে কাকুর ফোনে এলো।
-   তুমি ঢাকায় আসবে কবে? লেখাটা শেষ করতে হবে। বই আকারে প্রকাশ করতে হবে। চলে এসো। অনেক কথা আছে।
আবার কাকুর ওখানে গেলাম ১৪ ডিসেম্বর – দুপুরে একা, সন্ধ্যায় ববির সাথে। কথা হোল একাত্তর নিয়ে। কাকু একাত্তরের একটা গল্প বললেন। বললেন ববি বা আমি যদি এটা নিয়ে ছোট একটা গল্প লিখি খুব ভালো হয়। ববি লিখবে সেই আশা রাখি। এরপর আবার দেখা হোল ২৫ ডিসেম্বর সাবের বার্ষিক পিকনিকে। ওটা আবার আমার জন্মদিনও ছিল। অনেকক্ষণ কাকুর সাথে কথা হোল, অনেক গল্প হোল। আমি চলে এলাম রাশিয়ায়। কাকুর সাথে শেষ কথা ওনার জন্মদিনে। ফোন করলাম, কিছু বলার আগেই আবার একাত্তরের উপর লেখাটার কথা জানতে চাইলেন।
আজ যখন কাকু নেই, মনে পড়লো ইয়েভগেনি পেত্রভিচকে, দুবনায় আমি এসব লোকের প্রিয়ভাজন ছিলাম, তদের একজন উনি। ২০০৪ সাল থেকেই উনি বলতে শুরু করেছিলেন, “বিজন, তুমি ডিএসসি থিসিসটা ডিফেণ্ড করে ফেলো।“ এর আগে পর্যন্ত আমার কখনো মনেই হয়নি ডিএসসির কথা। তবে ওনার প্রায় প্রতিদিনের তাগাদায় শেষ পর্যন্ত লেখা শুরু করলাম। একটা চ্যাপ্টার শেষ করার পর গেলাম ইতালী। নতুন কাজের আইডিয়া পেলাম – সব ঝুলে গেলো। ২০০৭ এ উনি মারা গেলেন, তখন নিজেকে কথা দিলাম – এবার থিসিস কমপ্লিট করতেই হবে। আজ মনে হোল, এবার আর পিছু ফেরা নয়, কাকুর দেয়া শেষ দায়িত্বটা পালন করতেই হবে।
আজ সারাদিন কাকুকে বারবার মনে পড়ছে, কত কথাই না বলছি সারাদিন। সিনেমার মত একের পর এক ভেসে উঠছে কত স্মৃতি। বাবা মারা যাবার পর বাবা যেন অনেক কাছে চলে এসেছেন। এখন চাইলেই বাবার সাথে কথা বলতে পারি, বাবাকে নিয়ে ভাবতে পারি। আমার যখন জন্ম বাবার বয়েস তখন ৫৬। ১৯ বছর বয়েসে মস্কো চলে আসা। অনেক কথাই জানা হয়নি, জিজ্ঞেস করা হয়নি বাবাকে। হয়তো দেশে বাবাদের প্রশ্ন করার রেয়াজ নেই, অথবা তখন প্রশ্ন করার মত ম্যাচুরড হয়ে উঠিনি। কাকুর সাথে আলাপ পরিণত বয়েসে। তাই আলাপটা অনেক গাঢ়। বছর দুই আগে আমার শিক্ষক মারা গেছেন যার কল্যানে আমি কসমোলজিতে এলাম। উনি জীবিত থাকতে প্রায়ই ফোন করতাম, বিভিন্ন প্রশ্ন করতাম। আজ উনি যখন নেই, যখন কসমোলজির উপর কোন প্রশ্ন জাগে তার অভাব খুব অনুভব করি। তবে কাকুর সাথে সম্পর্কটা অন্য ডাইমেনশনে। বাবার সাথে যেমন অনায়াসে কথা বলে যেতে পারি, কাকুর সাথেও তা পারবো। অন্তত সেই আশাটাই করি। কথায় ফিজিক্স বা ম্যাথেম্যাটিক্সের জটিল ফরমুলা না থাকলে মনে মনেও কথা বলা যায় অবিরাম। সব সময় যে উত্তর পেতে হবে তার মানে নেই, তবে মানুষের জন্য প্রশ্ন করার জায়গা থাকাটা খুবই জরুরী। আর এটা বুঝি বলেই চেষ্টা করি ছেলেমেয়েদের যেকোনো প্রশ্ন শুনতে, তাদের জন্য প্রশ্ন করার জায়গা তৈরি করে দিতে। কাকু ছিলেন আমাদের অনেকের জন্যেই সেই জায়গাটা।                   
কাকু সোভিয়েত দেশ প্রচণ্ড ভালবাসতেন। তখন এ দেশের সর্বত্রই একটা স্লোগান দেখা যেত – লেনিন ছিলেন, লেনিন আছেন, লেনিন থাকবেন। কাকু, আপনার সাথে পরিচয়ের আগে আপনি ছিলেন আপনার বইয়ে, পরিচয়ের পর থেকে আজ পর্যন্ত ছিলেন সহযাত্রী, ভবিষ্যতে থাকবেন আমার ভাবনায়, আমার স্মৃতিতে। দেখা হবে

ইলেকট্রন, প্রোটন বা অন্য কনার বেশে                                                অন্য কোন গ্যালাক্সিতে অন্য তারার দেশে।

দুবনা, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭ 



Comments

Popular posts from this blog

রাজনীতি

২৪ জুনের দিনলিপি

স্মৃতি