প্যাঁচানো প্যাঁচাল
অফিসে এসে মেইল পেলাম। গত দু মাসে এর অস্তিত্ব প্রায় ভুলতে শুরু করেছিলাম। আবার শুরু হল। অফিসে না আসার রিকমেন্ডেশন। আগামীকাল থেকে। অথচ অনেক কাজ বাকী। সাধারণত এ রকম অবস্থায় একটা লিস্ট করে কিছু কিছু লোককে আসার সুযোগ দেয়। এবার লিস্ট চায়নি। কেউ জানে না কারা আসতে পারবে, কারা পারবে না। আগামীকাল ইনস্টিটিউটে ঢুকতে দেবে কিনা সেটাও কেউ জানে না। করোনা যে রকম মানসিক চাপে রাখছে তাতে জীবনের জান বেরিয়ে যাওয়ার উপক্রম। না, বাসা থেকে কাজ করতে খুব যে অসুবিধা হয় তা নয়। তবে সমস্যা সব জার্নাল ওখানে ফ্রি পাওয়া যায় না। আর ক্লাস নিতে সমস্যা। মানে কুকুরগুলো এখনও ছোট। পড়াশুনার মর্যাদা বোঝে না। তাই লেকচারের মধ্যে হৈচৈ শুরু করে। ছাত্ররা অভিযোগ করে না, তবে যেহেতু এসব রেকর্ড করে রাখে তাই ব্যাপারটা একটু লজ্জাকর। আপাতত দু মাসের জন্য পাঠাচ্ছে, ১ অক্টোবর থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। এর পর কী হবে কে জানে। তবে রুশদের যতদূর জানি নববর্ষের আগে আবার একটা জানালা খুলতেই হবে যদি না বিপ্লব চায়। অবশ্য চারিদিকে যে অবস্থা তাতে করোনাকে কেউ খুব একটা কেয়ার করে বলে মনে হয় না। শান্তির মনেও শান্তি নেই। ঘরে বসে থাকতে থাকতে সেও হাঁপিয়ে উঠেছে। তাই ...