সংগ্রাম

আমরা ইউক্রেনকে যে সাহায্য দেই তার শতকরা নব্বই ভাগ আমাদের মিলিটারি কমপ্লেক্স পায়।‌ এটা আমেরিকায় হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান করে। আমাদের অর্থনীতি চাঙ্গা করে। ব্লিনকিন

আমরা এখন অর্থ দিয়ে ইউক্রেনকে সাহায্য করে রাশিয়াকে দুর্বল করছি। এটা আমেরিকা ও ইংল্যান্ডের সেনাদের প্রাণ রক্ষা করছে। না হলে আমেরিকান ও বৃটিশ সেনাদের প্রাণ হারাতে হবে। ক্যামেরুন

এর অর্থ ইউক্রেনের মানুষ মরুক, কষ্ট ভোগ করুক এ নিয়ে তাদের কিছু এসে যায় না। এর অর্থ ইউক্রেন যুদ্ধ না করলে পশ্চিমা বিশ্বেরই এই যুদ্ধ করতে হবে। এটাই মানবতা। এটাই গণতন্ত্র। তারা বলে তারা আসলে আন্তর্জাতিক আইন শৃঙ্খলা টিকিয়ে রাখার জন্য ইউক্রেনকে সাহায্য করছে। গণতন্ত্র রক্ষায় এই যুদ্ধ চালিয়ে যাবে। কথাটা সত্য। তাদের কাছে আন্তর্জাতিক আইন শৃঙ্খলা মানে বিশ্ব রাজনীতিতে তাদের প্রাধান্য বজায় রাখা, গণতন্ত্র মানে দেশে দেশে নিজেদের নব্য উপনিবেশবাদ টিকিয়ে রাখা। বিশ্ব এখন শোষক ও শোষিত দুই ধরণের দেশে বিভক্ত। যতদিন না শোষিত দেশগুলো এক হয়ে এর বিরুদ্ধে লড়াই করবে ততদিন এটা চলতেই থাকবে। এই লড়াই কঠিন কারণ অধিকাংশ দেশের ধনিক শ্রেণী ও এলিটদের এক বড় অংশ এক্ষেত্রে মীর জাফরের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয় পশ্চিমাদের স্বার্থে। 

দুবনা, ১১ ডিসেম্বর ২০২৩

Comments

Popular posts from this blog

২৪ জুনের দিনলিপি

প্রায়োরিটি

ছোট্ট সমস্যা