Posts

খ ছ ঠ থ ফ

Image
শুনলাম দেশে হরতাল। গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে এই হরতাল। সিপিবি আর বাসদের যৌথ আহ্বানে এই হরতাল। যৌক্তিক দাবী – যেকোনো রাজনৈতিক দলই সেটা করতে পারে, করা উচিৎ। আবার এই দিনই ধর্মঘট ডেকেছে পরিবহণ শ্রমিকরা, তাও আবার অনির্দিষ্ট কালের জন্য। দাবীটা কি? না, মিশুক মুনীর আর তারেক মাসুদকে সড়ক দুর্ঘটনায় হত্যার দায়ে দোষী ড্রাইভারের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড মানতে রাজী নয় তারা, যেমন কিনা রাজী নয় সাভারে ট্রাকচাপা দিয়ে এক মহিলাকে হত্যার দায়ে আরেক ড্রাইভারের ফাঁসির রায় মানতে। তার মানে কি, ট্রাকচাপা দিয়ে খুন করলে তার বিচার করা যাবে না? ভারী যন্ত্রণা দেখছি। ওদিকে ডাক্তাররা মানব বন্ধন করছে কালা কানুনের বিরুদ্ধে। আচ্ছা এই মানব বন্ধনে কি রুগীরাও আছে? আজ দেশে একটা সামাজিক চুক্তি দরকার যাতে সমাজের সর্বস্তরের মানুষ অংশ নেবে আর সকলের স্বার্থ রক্ষা করে এমন একটা ডকুমেন্ট তৈরি করবে। কেননা ডাক্তারের সাথে রুগীর, ড্রাইভারের সাথে যাত্রীর বা পথিকের, বিক্রেতার সাথে ক্রেতার, মালিকের সঙ্গে শ্রমিকের, দুধের সাথে জলের, মাছের সাথে জেলের, আগুনের সাথে খড়কুটার, ভালুকের সাথে ছাগলের, সাপের সাথে নেউলের স্বার্থ কখনই মিলবে না, তারপরেও আমাদ...

কাঁধ

Image
পাপ, ও পাপ! বল, শুনছি। ঈশ্বর আছে? কোন সমস্যা? না, এমনিতেই। সমস্যা হবে কেন? শোন একটা গল্প বলি। এটা অনেক পুরানো ইহুদীদের গল্প। “আব্রাহামের কিছুতেই ঘুম আসছে না। বিছানায় ছটফট করছে। ওর অবস্থা দেখে বউ সারা জিজ্ঞেস করলো “ছটফট করছ কেন? কি হয়েছে?” “কাল সকালে মসীকে ১০০ টাকা ফেরত দিতে হবে। কিন্তু একটা টাকাও নেই পকেটে।“ কিছু না বলে সারা গিয়ে মসীর দরজা ধাক্কাতে লাগলো আর বললো “মসী, শুনতে পাচ্ছ? আব্রাহাম কাল তোমাকে টাকা দিতে পারবে না।“তারপর ঘরে এসে বললো “এবার ঘুমিয়ে পর। মসীই বরং ছটফট করুক।“” তারপর? তারপর আর কি? যাদের সমস্যা আছে, অথচ নিজেরা সমাধান করতে পারে না বা চায়না, তারা সমস্যাটা ঈশ্বরের কাঁধে চাপিয়ে নিজেরা ঘুমায় আর ভাবে ঈশ্বর বরং ওদের জন্য ভেবে নিজের সময় নষ্ট করুক। দুবনা, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০১৭

একুশের উত্তরাধিকার

Image
একুশে ফেব্রুয়ারী । ছোট বেলায় আমরা একে বলতাম শোক দিবস । ঐ দিন আমরা প্রভাতফেরী করে রফিক , শফিক , বরকত , জব্বারসহ অন্যান্য ভাষা শহীদদের স্মরন করতাম । তারপর এক সময় শোক দিবস শহীদ দিবস বলে আখ্যায়িত হলো । আর বিগত কয়েক বছর আমরা একে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবেই চিনি । শেষের নাম থেকেই বোঝা যায় এ দিনটি বাংলাদেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক সম্মান পেয়েছে । এটা নিঃসন্দেহে গর্বের বিষয় । কিন্তু কি এই একুশ বাঙ্গালীর জীবনে ? যদিও ধীরেন্দ্রানাথ দত্তের বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবী পূর্ব পাকিস্তানে বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদী মনোভাবের প্রথম বহিঃপ্রকাশ , আর জিন্নাহর “ উর্দু , একমাত্র উর্দুই হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা ” র বিরুদ্ধে ছাত্রদের শ্লোগান ভাষার দাবীতে প্রথম প্রতিবাদ , বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদের অঙ্কুরটা কিন্তু আলোর মুখ দেখেছিলো বাহান্নর এই একুশে ফেব্রুয়ারীতেই । ভাইকে হারিয়ে ক্রন্দনরত বাঙ্গালীর শোক পরিনত হয় ক্রোধে । সেই ক্রোধের আগুনে একে একে পুড়ে যায় দ্বিজাতি তত্ত্বে...