মাংসটা কেমন হল?



যদি আমি রান্না করি, বৌয়ের উত্তর -
 “টেস্টি, তবে তেল, লবন, ঝাল, মসলা একটু কম হলে আরও টেস্টি হতো।“
বৌ রান্না করলে আমি বলি -
“খুব টেস্টি। তবে এতে যদি একটু লবন, তেল, মসলা এসব দিতে, তাহলে খাবারটা স্বর্গীয় হতো।“
“স্বর্গের রান্না কেমন তা তুমি জানলে কোত্থেকে?”
“এখনো জানি না, তবে এ রকম রান্না খেলে কয়েক দিনের মধ্যেই জানতে পারব।“
“মানে, মাংসটা তোমার পছন্দ হয়নি, তাই।“
 “না তো। কে বললো? এতো ভালো হয়েছে যে খেয়ে নষ্ট করতে ইচ্ছে করছে না।“
সত্য ঘটনা হলো, একটু দামী মাংস এলে বৌ বলে যত্ন করে রান্না করতে। আর আমি মসলা একটু কম দিয়ে না ঘরকা না ঘাটকা করে ফেলি। আর আমি রাঁধতে না চাইলে বৌ সেটা স্রেফ সেদ্ধ করে, সেটা নাকি শরীরের জন্য ভালো।

মনে মনে দুজনেই বলি “ইস, মাংসটা নষ্ট করলো।“
মুখে বলি “ভালো হয়েছে”।
আমি বুঝি না দামী মাংস এলেই কেন যত্ন করে রাঁধতে হবে? দামী মাংস কি ভদ্রলোক নাকি আদরযত্ন করতে হবে, আর কম দামী হবে গরীবদের মত তাচ্ছিল্য করতে হবে?
“শোন, তোমার দুটো টয়লেট তৈরি করা দরকার।“
“কেন?”
“দামী খাবারের জন্য একটা আর সাধারণ খাবারের জন্য আরেকটা। দামী খাবার এলেই বল একটু যত্ন করে রাঁধতে। ওদের বিদায়টাও যত্ন করেই দাও।“         
আজ ভালোবাসার দিন। ভালবাসুন।
দুবনা, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৮ 


   

Comments

Popular posts from this blog

২৪ জুনের দিনলিপি

প্রায়োরিটি

ছোট্ট সমস্যা