বেলারুশ

বেলোরাশিয়া বা বেলারুশ জ্বলছে। গত আগস্ট ২০২০ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর থেকেই সোভিয়েত ইউনিয়নের এই শেষ ব্যাস্টিয়নে ঝড় উঠেছে। আমি যে এসব নিয়ে খুব ভাবছি তা নয়, তবে বেশ কিছু বন্ধু বিষয়ে জিজ্ঞেস করায় এতদিন টিভির পর্দা বা পিসির মনিটর থেকে চোখের কোণে বা কানের পর্দায় যেসব তথ্য ঢুকেছিল সেটার বিশ্লেষণ করার এক অপচেষ্টা এটা। অপচেষ্টা কারণেই যে এসব বিষয়ে গভীর কোন আলোচনার জন্য যতটুকু তথ্য জানা দরকার, যতটুকু রাজনৈতিক প্রজ্ঞা থাকা দরকার তার কোনটাই আমার নেই।

তারিখের আগে মনে হয়েছিল বিগত নির্বাচনগুলোর মত এটাও হবে অনেকটা ওয়াক ওভার। লুকাশেঙ্কো অনায়াসে নির্বাচনে জিতে যাবেন। সেটা অবশ্য হয়েওছিল, তবে অন্যান্য বারের মত বিরোধী দল বা জনগনের একটা বড় অংশ সেই ফলাফল মেনে নেনি।

লুকাশেঙ্কো তার শাসনের প্রায় পুরো সময় জুড়েই সুন্দরী মহিলা যেমন দুই প্রেমিককেই বিয়ের আশ্বাস দিয়ে বশে রাখার চেষ্টা করে সেটাই করে গেছেন। ভৌগলিক অবস্থানের কারণে বেলারুশ ইউরোপ আর রাশিয়ার মধ্যে বাফার স্টেট। দু পক্ষই একে সমান ভাবে চায়। আর সে কারণেই বেলারুশের রাজনীতিবিদরা এই কার্ড ভালই খেলে। অনেক আগে, যখন যুদ্ধ পরবর্তী  সমাজতান্ত্রিক ব্লকের বিপরীতে পশ্চিম জার্মানি বা জাপানকে দেখানো হত  উদাহরণ হিসেবে তখন মানুষ মনে করত মালিক, স্বামী, প্রেমিক হিসেবে সোভিয়েত ইউনিয়নের চেয়ে আমেরিকা অনেক উদার। যার ফলে ইউরোপে সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থার পতনের পরে এক কালের মুক্তিকামী দেশগুলো যেমন প্রিবাল্টিক, পোল্যান্ড, রুমেনিয়া, ইউক্রাইন ঝাপিয়ে পড়ে মেরিকার প্রসারিত দুই বাহুতে এদের সবার প্রতিই যে আমেরিকা বা পশ্চিম ইউরোপ উদার প্রেমিক হিসেবে নিজেকে প্রমান করেছে তা নয়, অনেকের ক্ষেত্রে তারা অত্যাচারী মদ্যপ প্রেমিকের রূপ ধারণ করে এসব দেশকে  বড়জোর রক্ষিতার মর্যাদা দিয়েছে। এটা শুধু ইউরোপের ক্ষেত্রে নয়, বিশ্বের প্রায় সব দেশের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। আরব বিশ্ব, ল্যাটিন আমেরিকা, ইউক্রাইন তাদের ভালবাসার জ্বলন্ত প্রমান। তারপরেও দেশে দেশে রঙ বেরঙের বিপ্লবের মধ্য দিয়ে তারা সে দেশের জনগনকে বোকা বানাতে সমর্থ হচ্ছে। তার কারণ এর কোন বিকল্প এসব দেশের জনগণ দেখছে না।

আমেরিকা থেকে যখন কোন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, তা তিনি প্রেসিডেন্ট হন বা পররাষ্ট্রমন্ত্রী এমন কি সচিব উপসচিব, কোন দেশ সফর করেন, তারা শুধু সে দেশের সরকারি কর্মকর্তাই নয়, বিরোধী দলের নেতাদের সাথেও সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এটা শুধু সৌজন্য নয়, বিরোধী দলকে জানানো যে আমেরিকার কাছে কোন নির্দিষ্ট দল নয় দেশটা গুরুত্বপূর্ণ। এটাও এক ধরণের সফট ফোর্স। পাশাপাশি বিভিন্ন এনজিও, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এসব তো আছেই। 

আমার ধারণা এখানেই রাশিয়ার পররাষ্ট্র নীতি আমেরিকার পররাষ্ট্র নীতির কাছে হার মানে। যত দূর মনে পড়ে ইউক্রাইনে রাশিয়া সব সময়ই ক্ষমতাসীন দলকে সমর্থন করে গেছে, অন্তত কুচমা পর্যন্ত সেটাই ছিল। কুচমাকে তারা মনেই করত সোভিয়েত ইউক্রাইনের প্রধান। ফলে তখন ইউশেঙ্কো বা তিমাশেঙ্কো রাজনৈতিক ভাবে যথেষ্ট শক্তিশালী প্রতিপক্ষ হলেও তাদের সাথে তেমন যোগাযোগ রাখা হয়নি। কথায় আছে «ডিম বিভিন্ন ঝুড়িতে রাখতে হয়» রাশিয়া সব ডিম একই ঝুড়িতে রেখে আম আর ছালা দুই হারা বেলারুশের ক্ষেত্রেও এর অন্যথা ঘটেনি, যদিও ধারণা করা গিয়েছিল ইউক্রাইনের তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে তারা সঠিক শিক্ষা নেবে। হয়তো চেষ্টাও ছিল কিন্তু পাছে লুকাশেঙ্কো পশ্চিমা ব্লকে চলে যায় এই ভয় থেকে হয়তো তেমন চাপ সৃষ্টি করেনি। কিন্তু তাতে লাভ হল কী?

রাশিয়া আর বেলারুশ একটা ইউনিয়নসে ব্যাপারে অনেক আগেই, সেই ইয়েলৎসিনের আমলেই চুক্তি স্বাক্ষর করেছে দুই দেশ যত দিন ইয়েলৎসিন ক্ষমতায় ছিলেন লুকাশেঙ্কোর আশা ছিল এই ইউনিয়নের প্রধান হওয়ার। কিন্ত পুতিন নিজেকে শক্তিশালী রাজনৈতিক নেতা হিসেবে  প্রতিষ্ঠিত করার পর সে আশার গুড়ে বালি। ফলে ইউনিয়নের সমস্ত সুযোগ ভোগ করতে চাইলেও অনেক নীতিই তিনি মানতে রাজী নন। মনে রাখতে হবে ১৯৯১ সালের পর থেকেই রাশিয়া বাজার অর্থনীতির পথে হাঁটছে। এখানকার প্রায় সব কিছুই ব্যক্তি মালিকানার অধীনে। অনেক ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় মালিকানা থাকলেও সেটা শতভাগ নয়। সেদিক থেকে বেলারুশে সবই রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত। অর্থাৎ দুটো দেশ দুটো ভিন্ন অর্থনৈতিক মডেলে চলছে। তাই ইচ্ছে করলেই রাশিয়া বেলারুশকে সব সুযোগ সুবিধা দিয়ে দিতে পারে না। নিয়ে দু দেশের নেতাদের মধ্যে সম্পর্কের টানপোড়ন নতুন কিছু নয়। পুতিনের সেই বিখ্যাত উক্তি «মাছি আলাদা আর কাটলেট আলাদা» সেটাও কেউ ভুলে যায়নি। রাশান সংবাদ মাধ্যমও লুকাশেঙ্কোকে খুব একটা ছাড় দিয়ে কথা বলে না। এর মধ্যে যোগ হয়েছে নির্বাচনের ঠিক আগেই একটা রাশান দলকে আটকে তাদের বিরুদ্ধে নির্বাচন ভণ্ডুল করার অভিযোগ দাড় করানো। পরে জানা গেল সেটা করেছে ইউক্রাইনের গোয়েন্দা সার্ভিস। ওরা বেছে বেছে সেই সব লোকজনদের রিক্রুট করেছে যারা দনবাসে লড়াই করেছে ভলেন্টিয়ার হিসেবে। ওদের বলেছিল ভেনেজুয়েলায় কাজে যাবে এরা আসলে ভাড়াটে সেনা যারা অর্থের বিনিময়ে বিভিন্ন দেশে কাজ করে। সরকারের সাথে এদের কোন সম্পর্ক নেই। যেহেতু মস্কো থেকে অনেক দেশেই ফ্লাইট বন্ধ তাই এদের মিনস্ক হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। প্ল্যান ছিল, ওদের নিয়ে প্লেন যখন ইউক্রাইনের উপর দিয়ে তুরস্কে যাবে তখন  ইউক্রাইন গোয়েন্দা সার্ভিসের কেউ, যে ঘটনাক্রমে প্লেনের যাত্রী, অসুস্থ হয়ে পড়বে। জরুরি ভিত্তিতে প্লেন নামান হবে ইউক্রাইনের কোন শহরে। সেখানে ডাক্তারের বেশে গোয়েন্দা বাহিনীর লোকজন উঠে এই দলকে এরেস্ট করবে। পরে চেষ্টা করবে এদের নিয়ে রাশিয়ার উপর চাপ সৃষ্টি করার। এটা আমার কথা নয় বা রুশ গোয়েন্দা সংস্থার কথা নয়। ইউক্রাইনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বা সাংবাদিকরা এটা বলছে। এটা যে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। কেন সেই প্ল্যান সফল হল না নিয়ে বিভিন্ন মত আছে। ইউক্রাইনের অনেকের ধারণা প্রেসিডেন্টের আশেপাশের কেউ ব্যাপারে লুকাশেঙ্কোকে ইনফরম করে। না, ওদের প্ল্যান নয়। বলা হয় এই লোকগুলো বেলারুশ নির্বাচনে বিরোধীদের হয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে। এরা আসলে রুশ সরকারের লোক। অর্থাৎ এর মাধ্যমে রাশিয়া আর বেলারুশের মধ্যে একটা ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি করাই ছিল লক্ষ্য। সেটায় কিছুটা সফল হলেও পরবর্তী ঘটনা লুকাশেঙ্কোর হাতের বাইরে চলে যায়। রুশ দলটিকে মস্কো ফেরত পাঠানো হয়। এক দিকে সেটা রাশিয়ার জন্যে ভালো, কেন না এই লোকদের ইউক্রাইনে বন্দী করা হলে ঘটনা অন্য দিকে মোড় নিত। আর সেটার ফলাফল কী হত বলা মুশকিল। এতে যদি রাশিয়া ইউক্রাইন আক্রমণ করেও বসত তাতে অবাক হওয়ার কিছু ছিল না। ইউক্রাইন সেটাই চাইছে, রাশিয়াকে সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে ফেলতে। তাদের ধারণা তাহলে আমেরিকা বা পশ্চিমা বিশ্ব আর চুপ করে থাকবে না, ইউক্রাইনের হয়ে লড়াই শুরু করবে। তবে সেটা আশা করা একান্তই বাতুলতা। পশ্চিমা বিশ্ব এখানে এসেছে রক্ত দিতে নয়, রক্ত নিতে। তবে ইউক্রাইনের নীতি এখন লেনিনের নীতি «যত খারাপ, তত ভালো» 

কয়েকদিন আপেক্ষিক ভাবে শান্ত থাকার পর মিনস্ক আবার উত্তাল। এর আগে বিরোধীরা যেমন মাঠে নেমেছিল, লুকাশেঙ্কোও তার লোকজন মাঠে নামিয়েছিলেন। তিনি বিভিন্ন কল কারখানায় যাচ্ছেন। রিফর্মের কথা বলছেন। আসলে যে নির্বাচনী প্রচারণার দরকার ছিল আগে, সেটা তিনি করছেন এখন। আজ নিজে স্টেনগান হাতে বিরোধী দলের মিটিং পরিদর্শন করেন হেলিকপ্টার থেকে। নিয়ে বিভিন্ন মত। কেউ বলছে এর ফলে জনগণ তার মধ্যে  দেখবে রক্তপিপাসু ডিক্টেটরকে। কেউ বলছে যদি ২০১৪ সালে ইনুকভিচ এই সাহস দেখাত ইউক্রাইন আজ অবস্থায় পড়ত না। লুকাশেঙ্কো কোন আমলা নন, তিনি নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট, আর্মির কম্যান্ডার ইন চিফ। এর মাধ্যমে তিনি দেখালেন, তিনি আর্মির সাথে, আর্মির একজন হয়ে জনগণের স্বার্থে লড়াই পর্যন্ত করতে প্রস্তুত। কে জানে, এটা হয়তো কাজ করবে। কিন্তু কয় দিন?            

রাশিয়ার অবস্থায় কি করা উচিৎ?  ইউক্রাইনের মত বেলারুশে শক্তিশালী কোন বিরোধী দল নেই। আর যারা আছে রাশিয়া এতদিন তাদের প্রতি কোন সমর্থনও দেয়নি। ফলে এখানে নিজের পক্ষের লোক পাওয়া কষ্ট, যদিও বেলারুশ জনগণের অধিকাংশই রাশিয়ার প্রতি সহানুভূতিশীল, রাশিয়ার সাথে সুসম্পর্ক রক্ষা করার পক্ষে।  রাশিয়ার অনেক কোম্পানিই বেলারুশের বিভিন্ন কোম্পানির সাথে কাজ করে। এসব কোম্পানির কর্মকর্তাদের ো শ্রমিকদের বুঝাতে হবে যে রাশিয়া না কিনলে তাদের প্রোডাক্ট কারও কাজে লাগবে না, সারা সোভিয়েত জনগণের সম্মিলিত প্রচেষ্টায়  তৈরি তাদের কারখানা ধ্বংস হবে যেমন হয়েছে  ইউক্রাইনে। হয়তো সেখানে তারা নতুন নেতৃত্ব খুঁজে পাবে। তবে না পেলেও চেষ্টা করা দরকার যাতে লুকাশেঙ্কো বা পরবর্তী যে কেউই ক্ষমতায় আসুক না কেন, তারা বুঝতে পারে রাশিয়ার সমর্থন নিঃশর্ত নয়, সে যদি পশ্চিমে ঝুকে রাশিয়া অন্যত্র খুঁজবে তার সহযোদ্ধা। 

ইতিমধ্যে পশ্চিমা দেশগুলো লুকাশেঙ্কোকে স্বীকৃতি দেবে না বলে জানিয়েছে। লুকাশেঙ্কো হবে নতুন মাদুরা। কিন্তু কথা হল, লুকাশেঙ্কোর জন্য সেই স্বীকৃতি কতুটুকু দরকার? তাঁর সামনে আছে মিলেশভিচ বা ইনুকভিচের উদাহরণ। বেলারুশ আর্মি এখনও সোভিয়েত আর্মির মতই, রুশ আর্মির সাথে সুসম্পর্ক তাদের। আপাতত মনে হয় আর্মি লুকাশেঙ্কোর পক্ষে। আর্মির মধ্যে আন্টিফ্যাসিস্ট মনোভাব প্রবল। আর প্রতিপক্ষ যে ফ্ল্যাগ নিয়ে মাঠে নেমেছে সেটা বেলারুশের যেসব গ্রুপ হিটলারের হয়ে দেশের বেলারুশ, রুশ, ইহুদি সহ প্রায় এক তৃতীয়াংশ জনগণ হত্যা করেছিলো তাদের প্রতীক। ইউক্রাইনের আর্মির মধ্যে যে পরিমাণ আন্টিরুশ আটিচুড ছিল এখানে ততোটা নেই বলেই মনে হয়।                 

ফ্রান্স আর জার্মানি বলেছে তারা বেলারুশে নতুন ইউক্রাইন দেখতে চায় না। এর দুটো অর্থ হতে পারে। ইউক্রাইন নিয়ে ইউরোপ বিপদে সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। তাদের নিজেদের বিভিন্ন বিপদের মধ্যে ইউক্রাইনের সমস্যা ফোঁড়ার মত কাজ করছে তাতে সন্দেহ নেই। কিন্তু এটা কী তাদের ভুল স্বীকার? তারা কী বলতে চাইছে ইউক্রাইনের আভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করে তারা ভুল করেছিল? নাকি বলতে চাইছে এবার তারা বেলারুশে রুশ হস্তক্ষেপ বরদাশত করবে না যেটা করেছিল ইউক্রাইনে আর যার মাসুল তাদের এখনও দিতে হচ্ছে। একদিকে নতুন করে করোনার ছোবল, অন্যদিকে আমেরিকার নির্বাচনসব মিলে আগামী কয়েক মাস বেলারুশ নাটক চলবে বলেই মনে হয়। বেলারুশ হবে নতুন সোপ অপেরা।

ব্যক্তিগত ভাবে লুকাশেঙ্কোর প্রতি কখনই সহানুভূতি অনুভব করিনি। মনে হয় রুশ জনগণের বিরাট অংশই এভাবেই ভাবে। ২০১৪ সালের আগে এমনটা ঘটলে হয়তো অনেকে লুকাশেঙ্কোর দুরাবস্থাকে স্বাগত জানাত। কিন্তু ইউক্রাইনে যা ঘটছে সেটা দেখে মনে হয় ঠিক এই মুহূর্তে লুকাশেঙ্কোর ক্ষমতা থেকে সরে যাওয়া সেখানে আরেকটা ইউক্রাইনের জন্ম দেবে। আপেক্ষিক ভাবে স্বচ্ছল একটা ইউরোপীয় দেশ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হবে। তাই ব্যক্তিগত ভাল লাগা মন্দ লাগার উপরে উঠে এই সমস্যার একটা শান্তিপূর্ণ সমাধানের কথাই ভাবতে হবে। সেটা এই মুহূর্তে সম্ভব লুকাশেঙ্কোকে ক্ষমতায় রেখে সংবিধান সহ অন্যান্য ক্ষেত্রে রিফর্মের কাজ শুরু করে নিকট ভবিষ্যতে  কোন নির্বাচনের আয়োজনের মধ্য দিয়ে। 

 

দুবনা, ২৪ আগস্ট ২০২০



Comments

Popular posts from this blog

২৪ জুনের দিনলিপি

ছোট্ট সমস্যা

প্রায়োরিটি