পাপপুণ্য ন্যায় অন্যায়
আমরা প্রায়ই উপমহাদেশের শিক্ষা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করি। এর পেছনে যথার্থ কারণ আছে। আমরা মাদ্রাসা শিক্ষা, ধর্ম শিক্ষা এসব নিয়ে বলি, তবে পারিবারিক শিক্ষা নিয়ে তেমন কিছু বলি কি? আমার মনে হয় শুরুটা এখানেই করা উচিৎ আর সেটা করা উচিৎ এক ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি থেকে। কী সেটা? পাপ আর পুণ্য বা গুনাহ আর ফরজ। শিশু স্কুলের গণ্ডীতে পা দেবার অনেক আগে থেকেই পাপ পুণ্যের কথা শোনে। পাপ পুণ্যের কথা বলা খারাপ কিছু নয় যদি না সেটা প্রচলিত সামাজিক বা মানবিক আইনকে চ্যালেঞ্জ করে। পাপ পুণ্য আর ন্যায় অন্যায়ের মধ্যে এর ফলে এক বিশাল ফারাক দেখা দেয়। পরবর্তীতে অনেকেই এই ফারাক হয় ঠিকমত বুঝতে পারে না আর পারলেও ঠিক কোন পক্ষে যেতে হবে সেটা ঠিক করতে পারেনা। যেমন ধরুন প্রায় সকল শিক্ষিত মানুষই জানে বর্ণাশ্রম একটা অন্যায় প্রথা তারপরও সামজিক কারণে অনেকেই সেটা ভাঙ্গতে পারে না। খুন বা লুট করা অন্যায় জেনেও বিধর্মীকে খুন করা বা তার বাড়ি লুট করা অনেকেই পুণ্য বলে মনে করে। বিচারের একটা প্রধান উদ্দেশ্য অপরাধীকে আইনের পথে আনা, তাকে সংশোধন করা। কিন্তু সে যদি তার অপরাধকে অপরাধ বলেই মনে না করে, সেটা বুঝতে না পারে - তাকে ঠিক পথে ফির...