স্বাধীন! স্বাধীন? স্বাধীন ............
আজ ২৬শে মার্চ, বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস। ১৯৭১ এর ২৫শে মার্চের কালো রাতে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী ঝাপিয়ে পড়েছিল নিরস্ত্র বাঙ্গালীদের উপরে, সেই পাশবিক শক্তির বিরুদ্ধে দীর্ঘ ৯ মাস লড়াই করে ৩০ লক্ষ প্রাণ আর ২ লক্ষ মা-বোনের মানের বিনিময়ে বিশ্বের মানচিত্রে উদয় হয় নতুন সূর্য্য, রক্তে রাঙ্গা লাল সূর্য্য বাংলার সবুজ ধানে ভরা মাঠের উপরে। স্বাধীনতা পায় বাঙালি জাতি। এর পর কেটে গেছে ৪৫ বছর - আর সেই ছোট বেলায় পড়া "স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে রক্ষা করা আরো কঠিন" বাক্যটা আরো বেশি করে সত্য হয়ে উঠছে আমাদের জীবনে।
১৯৪৭এ যখন ভারত ও পাকিস্তান স্বাধীনতা লাভ করে, সেটা ছিল মূলত উপমহাদেশে বৃটিশ রাজের অবসান। সে বিবেচনায় ভারত ও পাকিস্তানে স্থানীয় এলিটদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করার মধ্য দিয়ে বৃটিশ উপনিবেশের পতন ঘটলে এ দুটো দেশ এক অর্থে পূর্ণ স্বাধীনতা অর্জন করে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা শুধু মাত্র পাকিস্তানের কাছ থেকে রাজনৈতিক স্বাধীনতায় নয়, এটা ছিল একই সাথে আদর্শগত স্বাধীনতা, পাকিস্তানের মূল স্তম্ভ ধর্মের ভিত্তিতে রচিত দ্বিজাতি তত্ব বর্জন করা, রাষ্ট্রের ধর্মনিরপেক্ষতা, স্বাধীন (জোট নিরপেক্ষ) পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ ইত্যাদি। রাজনৈতিকভাবে আমরা স্বাধীন হলেও আমাদের পররাষ্ট্রনীতি যে সব সময়ই স্বাধীন সেটা বলা যাবে না। অর্থনৈতিক ভাবে দেশ অনেক এগিয়ে গেলেও সাধারণ মানুষ এখনো অর্থনৈতিকভাবে মুক্ত নয়, পুঁজিপতি রাঘব বোয়ালরা আজ সাধারণ মানুষকে চুন-পুটি গেলার মতই গিলছে। ধর্মনিরপেক্ষতাকে সংবিধান থেকে অনেক আগেই ঝেটিয়ে বিদায় করা হয়েছে। ধর্মীয় উন্মাদনা আজ এতই প্রখর যে প্রশাসনের প্রচ্ছন্নতায় প্রায় প্রতিদিনই ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা শিকার হচ্ছে নানা রকমের অবিচার আর অত্যাচারের, দেশে চলছে দেশকে ধর্মীয় সংখ্যালঘু মুক্ত করার এক ধরনের হাইব্রীড রাজনীতি। আর এভাবেই আমরা একটু একটু করে দুরে সরে যাচ্ছি একাত্তরের অঙ্গীকার থেকে, একাত্তরের চেতনা থেকে। আমরা ধীরে ধীরে নিজেদের আবার দ্বিজাতিতত্বের লৌহ গারদে আটকে ফেলছি। আর এ সবই হচ্ছে আমাদের সবার প্রচ্ছনতার আর আত্মতুষ্টির সুযোগে।
তবুও আমরা আশায় থাকি, আশায় বুক বাধি, যে বাংলার মানুষ আবার একদিন গর্জে উঠবে, জ্বলে উঠবে সত্য আর মুক্তি সন্ধানী তরুনদের মন, আর সেই আগুনে ছারখার হয়ে যাবে জঞ্জাল।
সবাইকে স্বাধীনতা দিবসের অনেক অনেক শুভেচ্ছা আর ভালবাসা।
১৯৪৭এ যখন ভারত ও পাকিস্তান স্বাধীনতা লাভ করে, সেটা ছিল মূলত উপমহাদেশে বৃটিশ রাজের অবসান। সে বিবেচনায় ভারত ও পাকিস্তানে স্থানীয় এলিটদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করার মধ্য দিয়ে বৃটিশ উপনিবেশের পতন ঘটলে এ দুটো দেশ এক অর্থে পূর্ণ স্বাধীনতা অর্জন করে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা শুধু মাত্র পাকিস্তানের কাছ থেকে রাজনৈতিক স্বাধীনতায় নয়, এটা ছিল একই সাথে আদর্শগত স্বাধীনতা, পাকিস্তানের মূল স্তম্ভ ধর্মের ভিত্তিতে রচিত দ্বিজাতি তত্ব বর্জন করা, রাষ্ট্রের ধর্মনিরপেক্ষতা, স্বাধীন (জোট নিরপেক্ষ) পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ ইত্যাদি। রাজনৈতিকভাবে আমরা স্বাধীন হলেও আমাদের পররাষ্ট্রনীতি যে সব সময়ই স্বাধীন সেটা বলা যাবে না। অর্থনৈতিক ভাবে দেশ অনেক এগিয়ে গেলেও সাধারণ মানুষ এখনো অর্থনৈতিকভাবে মুক্ত নয়, পুঁজিপতি রাঘব বোয়ালরা আজ সাধারণ মানুষকে চুন-পুটি গেলার মতই গিলছে। ধর্মনিরপেক্ষতাকে সংবিধান থেকে অনেক আগেই ঝেটিয়ে বিদায় করা হয়েছে। ধর্মীয় উন্মাদনা আজ এতই প্রখর যে প্রশাসনের প্রচ্ছন্নতায় প্রায় প্রতিদিনই ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা শিকার হচ্ছে নানা রকমের অবিচার আর অত্যাচারের, দেশে চলছে দেশকে ধর্মীয় সংখ্যালঘু মুক্ত করার এক ধরনের হাইব্রীড রাজনীতি। আর এভাবেই আমরা একটু একটু করে দুরে সরে যাচ্ছি একাত্তরের অঙ্গীকার থেকে, একাত্তরের চেতনা থেকে। আমরা ধীরে ধীরে নিজেদের আবার দ্বিজাতিতত্বের লৌহ গারদে আটকে ফেলছি। আর এ সবই হচ্ছে আমাদের সবার প্রচ্ছনতার আর আত্মতুষ্টির সুযোগে।
তবুও আমরা আশায় থাকি, আশায় বুক বাধি, যে বাংলার মানুষ আবার একদিন গর্জে উঠবে, জ্বলে উঠবে সত্য আর মুক্তি সন্ধানী তরুনদের মন, আর সেই আগুনে ছারখার হয়ে যাবে জঞ্জাল।
সবাইকে স্বাধীনতা দিবসের অনেক অনেক শুভেচ্ছা আর ভালবাসা।
Comments
Post a Comment