ঝগড়ার জয় হোক
আমাকে বন্ধুবান্ধবরা মাঝেমধ্যে ছেলেমেয়েদের কথা জিজ্ঞেস করে। উত্তরে বলি ফোন যেহেতু করেনি নিশ্চয়ই ভালো আছে। সমস্যা হলে ঠিকই ফোন করত। তারমানে এই নয় যে আমি ওদের নিয়ে ভাবি না, খুব ভাবি, শুধু অযথা ফোন করে বিরক্ত করতে চাই না। আমি আসলে কাজ না থাকলে কাউকে ফোন করি না। আগে দরজায় চিরকুট রাখতাম এখন ফেসবুকে চিরকুট রাখি, যেমন এটা। শুধু জানাতে যে এখনও সবাইকে জ্বালাব, এত সহজে বন্ধুরা আমার হাত থেকে রক্ষা পাবে না। একটা জিনিস খেয়াল করেছি যখন কোথাও সমস্যা হয় ও লোকজন কারো সম্পর্কে দুর্নাম করতে চায়, অভিযোগ করতে চায় তখন ফোন করে। সবাই শুরু করে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে। নিজেকে শান্তির দূত, সঠিক সমাধান দেবার হোলসেল লাইসেন্সধারী হিসেবে জনগণের একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে। কিন্তু সব সমাধান যে সবার জন্য গ্রহণযোগ্য নয়, মাছের জন্য ডাঙ্গা মোটেই নিরাপদ আশ্রয় নয় সেটা বেমালুম ভুলে গিয়ে। এটা ছেলেমেয়েদের মধ্যে খুব দেখেছি ওদের ছোটবেলায়। আজকাল তাই বলি নিজেদের সমস্যা নিজেদের মধ্যে মিটিয়ে নিতে, কারণ ওরা সবাই আমার সমান প্রিয়, আর সবার প্রতি সমান ভালোবাসা দেখিয়ে সবাইকে খুশি করা যায় না। যাহোক ইদানিং বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অনেক ফোন পাচ্ছি। ভয় লাগে বিশ্বযুদ্ধ লাগলো কি না, তবে খুশিও হই বাংলায় দুটো কথা বলার সুযোগ পেয়ে। এখন তো স্লোগান দিতে ইচ্ছে করছে ঝগড়া দীর্ঘজীবী হোক, আমিও কথা বলার সুযোগ পাই। রুশরা বলে সব যুদ্ধই শান্তি চুক্তির মধ্য দিয়ে শেষ হয়। তাই প্রতিপক্ষের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হন। না হলে শান্তি চুক্তি গলায় আটকে যেতে পারে, গিলতে কষ্ট হতে পারে যদিও না গিলে উপায় নেই। প্রকৃতির নিয়ম।
দুবনা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
Comments
Post a Comment