নব্য সর্বহারা
ইউরোপ আজ উন্মাদের মত তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দিকে এগুচ্ছে। কি হতে পারে সে চিন্তা না করেই রাশিয়ার সাথে যুদ্ধ করার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। এই মুহূর্তে সে যুদ্ধ করছে ইউক্রেনের হাত দিয়ে তবে আগামী বছর তিন চারের মধ্যে যে নিজেরাও যুদ্ধের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত হবে সেটা আর গোপন করছে না। আমরা যারা ইউরোপকে সভ্যতার কেন্দ্র বলে মনে করি তারা ভুলে যাই যে ইউরোপ আসলে সারা বিশ্বের জন্য বারবার বিপদ ডেকে এনেছে। বিগত প্রায় ৫০০ বছর এশিয়া, আফ্রিকা আর ল্যাটিন আমেরিকা ছিল তাদের কলোনি। তারা শুধু সেসব দেশের সম্পদ নিয়েই সুখী হয়নি, প্রায় সমস্ত উপনিবেশে চালিয়েছে নির্মম গণ হত্যা, ধ্বংস করেছে এসব দেশের সভ্যতা, সংস্কৃতি। এছাড়াও বারবার বিশ্বকে ধ্বংসের মুখে দাড় করিয়েছে। ১৮১২-১৮১৫ সালে নেপোলিয়ন, ১৯১৪-১৯১৯ সালের প্রথম মহাযুদ্ধ, ১৯৩৯-১৯৪৫ সালের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ এ সব ইউরোপের সৃষ্টি। বর্তমানে আবার সে পথেই চলছে। এর কারণ হতে পারে রাশিয়ার প্রতি ক্ষোভ। কারণ রাশিয়াই তাদের উপনিবেশ থেকে পাত্তারি গুটাতে বাধ্য করেছে। আর লোভ। হ্যাঁ, রাশিয়ার অঢেল সম্পদের প্রতি লোভ। লোভের কাছে ভয় হার মানে। তাই এমনকি আসন্ন পারমাণবিক যুদ্ধের ভয় তাদের নেই। আচ্ছা এটা কি দেশপ্রেমের অভাব? কারণ এখন তাদের দেশ নেই, বিশেষ করে এলিট শ্রেণীর। তাদের আছে অতীতের সাথে সম্পর্কহীন কিছু বিমূর্ত আইডিয়া। তাদের অতীত নেই। কারণ অতীতের অনেক কিছু তারা অস্বীকার করে বা করতে চায়। তারা ধর্ম অনেক আগেই ত্যাগ করেছে, ফলে আগে জে ঈশ্বরের ভয় ছিল সেটাও নেই। তাদের লিঙ্গ নেই কারণ শত শত লিঙ্গের ভীরে তারা প্রকৃতিদত্ত লিঙ্গ হারিয়ে ফেলেছে। এক কথায় তাদের কোন রকম পিছুটান নেই। এরা এ ধরণের প্রলেতারিয়েত - যাদের কোন রকম পিছুটান নেই, আর জয় করার জন্য আছে সারা বিশ্ব যেখানে তারা যা খুশি তাই করতে পারে। এটাই মনে হয় পুঁজিবাদী এলিটদের নতুন সমাজতান্ত্রিক আইডিয়া। আর এ কারণেই এই নিওলিবারেলদের অনেকে বামপন্থী বলে আখ্যা দেয় যদিও আসল বামের সাথে তাদের কোনই সম্পর্ক নেই।
দুবনা, ২৬ অক্টোবর ২০২৫
দুবনা, ২৬ অক্টোবর ২০২৫

Comments
Post a Comment