উপলব্ধি

গত ২৩ অক্টোবর লিখেছিলাম "যদি একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত স্বাধীনতাকে বিশাল কোন প্রাণীর সাথে ও আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও বাম জোটের মুক্তিযোদ্ধাদের বাঘের সাথে তুলনা করি তাহলে দেখব বিজয়ের পর থেকেই তারা ট্রফি দখলের লড়াইয়ে ব্যস্ত আর এই সুযোগে জামায়াত শিবির ও অন্যান্য স্বাধীনতা বিরোধী হায়েনার দল শিকার নিয়ে অনেক আগেই ভেগে পড়েছে - প্রথমে দখল করেছে অর্থনীতি, এরপর শিক্ষাঙ্গন ও সমাজ বিশেষ করে মহিলাদের এবং সবশেষে রাজনীতির মাঠ।" 

এক সপ্তাহের বেশি ফেসবুকে প্রবেশাধিকার না থাকায় তখন পোস্ট করতে পারিনি। আজ ভোরে আবার এখানে আসতে পেরে অনেক নতুন খবর পেলাম। যেমন ২৪ এর পটপরিবর্তনের স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে জুলাই সনদ নিয়ে দ্বন্দ্ব নতুন মাত্রা পেয়েছে। এতে কিছু জিনিস নতুন করে উপলব্ধি করলাম। 

বাংলাদেশে কোন দলই দেশকে জননী জন্মভূমি মনে করে না আর তাই সন্তানের মত দেশের মঙ্গলের জন্য নিজেকে বা নিজেদের উৎসর্গ করে না। 

লড়াই করেই হোক আর ষড়যন্ত্র বা ছলচাতুরি করেই হোক ক্ষমতায় একবার যেতে পারলে দেশটাকে শত্রুর হাত থেকে ছিনিয়ে নেয়া ট্রফি বলে মনে করে আর দেশকে গণিমতের মালের মত ব্যবহার করে। গণিমতের মাল এমন এক জিনিস যাকে যেমন খুশি ব্যবহার করা যায়, চাইলে কারো কাছে দাসী হিসেবে বিক্রি করা যায়, ভাগ করা যায়, ভোগ করা যায় কিন্তু যার কাছে কোন কিছুর জন্যই জবাবদিহি করতে হয় না। 

মনে হয় এই অনুভূতি এখন ডান বাম সবার। ভোগবাদি বিশ্বে আর কি-ই বা আশা করা যায়?

মস্কো, ২৮ অক্টোবর ২০২৫

Comments

Popular posts from this blog

প্রশ্ন

সিপিবি কংগ্রেস

রিংকু