শপথ
আজ ১৫ আগস্ট। জাতীয় শোক দিবস। কিছু কিছু শোক আছে, যা মানুষকে ভাঙে না। সেই শোকে দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া মানুষ রুখে দাঁড়ায়, প্রতিজ্ঞা নেয় সামনে চলার, স্বপ্নকে সফল করার। আজ তেমনি একটি দিন, শোকের সাথে সাথে শপথ নেবার দিন।
শেখ মুজিব - শুধু একজন মানুষের নাম নয়, এটা একটা দেশের নাম, একটা দেশের জন্মগ্রহণের নাম, একটা দেশের ইতিহাসের নাম আর সেই দেশের মানুষের কোটি কোটি স্বপ্নের নাম। একটা মানুষকে মারা যায়, কিন্তু কোটি মানুষের স্বপ্নকে হত্যা করা যায় না, সেই স্বপ্নের গতি রোধ করা যায় না। তবে....
সেই দেশ কোনদিকে যাবে, সেই স্বপ্নের বাস্তব রূপ কেমন হবে তা নির্ভর করে স্বপ্ন দেখানো, ঘুম জাগানো সেই মানুষটির উত্তরাধিকারকে আমরা কে কিভাবে দেখি। আর এই দেখাটা একান্তই ব্যক্তিগত। এই ব্যক্তিগত অনুভূতি যখন সমষ্টির অনুভূতিতে পরিণত হয়, পরিণত হয় শক্তিতে - তখনই তা একটি দেশকে একটি সমাজকে কোনো এক নির্দিষ্ট দিকে নিয়ে যায়।
কি এই উত্তরাধিকার যা শেখ মুজিব রেখে গেছেন?
একদল লোকের জন্য এটা ঝড়ের পরে ছিন্নভিন্ন একটা দেশ যার নাম পাকিস্তান। যারা এখনো আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে ইতিহাসের মোড় ঘুরিয়ে বাংলাদেশকে পাকিস্তানে পরিণত করতে, আক্ষরিক অর্থে না হলেও চলনে-বলনে, পোশাকে-আশাকে। তাইতো তারা যে দ্বিজাতি তত্বের ভিত্তিতে পাকিস্তানের জন্ম আর যে দ্বিজাতি তত্বকে ত্যাগ করে শেখ মুজিবের নেতৃত্বে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম - সেই তত্বকেই ইতিহাসের ডাস্টবিন থেকে তুলে এনে নতুন মোড়কে বিক্রি করতে ব্যস্ত এই বাংলার বীর কিন্তু ধর্মভীরু মানুষের কাছে।
আরেক দল লোকের ধারণা, বঙ্গবন্ধুর উত্তরাধিকার - এটা রাষ্ট্র ক্ষমতা। তাইতো তারা ব্যস্ত ক্ষমতার হিসেবে-নিকেষে। ভোটের রাজনীতিতে। ক্ষমতায় থাকার জন্য যদি বঙ্গববন্ধুর আদর্শ বিরোধী বা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সাথে বেঈমানী করা লোকেদের সাথে হাতে হাত মিলিয়ে চলতে হয় - তাতে কিই বা এসে যায়।
আরো কিছু মানুষ আছে, যারা হয়তো সংখ্যায় অল্প, যারা বুক চাপড়িয়ে নিজেদের বঙ্গবন্ধুর সৈনিক বলে প্রমান করতে রাস্তায় নামে না, কিন্তু যারা বিশ্বাস করে বঙ্গবন্ধুর উত্তরাধিকার - এটা ১৯৭২ এর সংবিধান, এটা গণতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশ যেখানে জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সবার জন্য থাকবে কাজের সমান সুযোগ, দেশের প্রাকৃতিক সম্পদে সবার সমান অধিকার, থাকবে সবার জন্য ন্যায় বিচার, দেশ আর দেশের মানুষ থাকবে দলীয় স্বার্থের উপরে। বঙ্গবন্ধু শুধু এ দেশের মানুষকেই ভালোবাসতেন না, ভালোবাসতেন বাংলার মাটি, বাংলার জল, বাংলার বায়ু, বাংলার ফল - বাংলার নদী, এর সবুজ ধানের ক্ষেত আর তার উপর সকালের লাল সূর্য্য। ভালোবাসতেন পাখির ডাক, ভালোবাসতেন বল্গা হরিণ, রয়েল বেঙ্গল টাইগার। আরো ভালোবাসতেন সুন্দরবন। এই সব মিলে বাংলাদেশ গড়ে উঠুক, সমৃদ্ধশালী হয়ে উঠুক এটাই তার স্বপ্ন, তার উত্তরাধিকার। আমাদের কাছে এটাই তার আশা। সব সঙ্গে নিয়ে, কোনো কিছুকে কম্প্রোমাইজ করে নয়। যত তাড়াতাড়ি দেশের অধিকাংশ মানুষ এই সহজ সত্যটা বুঝবে ততই মঙ্গল। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করবো, আজ এটাই হোক আমাদের শপথ।
দুবনা, ১৫ আগস্ট ২০১৬
শেখ মুজিব - শুধু একজন মানুষের নাম নয়, এটা একটা দেশের নাম, একটা দেশের জন্মগ্রহণের নাম, একটা দেশের ইতিহাসের নাম আর সেই দেশের মানুষের কোটি কোটি স্বপ্নের নাম। একটা মানুষকে মারা যায়, কিন্তু কোটি মানুষের স্বপ্নকে হত্যা করা যায় না, সেই স্বপ্নের গতি রোধ করা যায় না। তবে....
সেই দেশ কোনদিকে যাবে, সেই স্বপ্নের বাস্তব রূপ কেমন হবে তা নির্ভর করে স্বপ্ন দেখানো, ঘুম জাগানো সেই মানুষটির উত্তরাধিকারকে আমরা কে কিভাবে দেখি। আর এই দেখাটা একান্তই ব্যক্তিগত। এই ব্যক্তিগত অনুভূতি যখন সমষ্টির অনুভূতিতে পরিণত হয়, পরিণত হয় শক্তিতে - তখনই তা একটি দেশকে একটি সমাজকে কোনো এক নির্দিষ্ট দিকে নিয়ে যায়।
কি এই উত্তরাধিকার যা শেখ মুজিব রেখে গেছেন?
একদল লোকের জন্য এটা ঝড়ের পরে ছিন্নভিন্ন একটা দেশ যার নাম পাকিস্তান। যারা এখনো আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে ইতিহাসের মোড় ঘুরিয়ে বাংলাদেশকে পাকিস্তানে পরিণত করতে, আক্ষরিক অর্থে না হলেও চলনে-বলনে, পোশাকে-আশাকে। তাইতো তারা যে দ্বিজাতি তত্বের ভিত্তিতে পাকিস্তানের জন্ম আর যে দ্বিজাতি তত্বকে ত্যাগ করে শেখ মুজিবের নেতৃত্বে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম - সেই তত্বকেই ইতিহাসের ডাস্টবিন থেকে তুলে এনে নতুন মোড়কে বিক্রি করতে ব্যস্ত এই বাংলার বীর কিন্তু ধর্মভীরু মানুষের কাছে।
আরেক দল লোকের ধারণা, বঙ্গবন্ধুর উত্তরাধিকার - এটা রাষ্ট্র ক্ষমতা। তাইতো তারা ব্যস্ত ক্ষমতার হিসেবে-নিকেষে। ভোটের রাজনীতিতে। ক্ষমতায় থাকার জন্য যদি বঙ্গববন্ধুর আদর্শ বিরোধী বা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সাথে বেঈমানী করা লোকেদের সাথে হাতে হাত মিলিয়ে চলতে হয় - তাতে কিই বা এসে যায়।
আরো কিছু মানুষ আছে, যারা হয়তো সংখ্যায় অল্প, যারা বুক চাপড়িয়ে নিজেদের বঙ্গবন্ধুর সৈনিক বলে প্রমান করতে রাস্তায় নামে না, কিন্তু যারা বিশ্বাস করে বঙ্গবন্ধুর উত্তরাধিকার - এটা ১৯৭২ এর সংবিধান, এটা গণতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশ যেখানে জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সবার জন্য থাকবে কাজের সমান সুযোগ, দেশের প্রাকৃতিক সম্পদে সবার সমান অধিকার, থাকবে সবার জন্য ন্যায় বিচার, দেশ আর দেশের মানুষ থাকবে দলীয় স্বার্থের উপরে। বঙ্গবন্ধু শুধু এ দেশের মানুষকেই ভালোবাসতেন না, ভালোবাসতেন বাংলার মাটি, বাংলার জল, বাংলার বায়ু, বাংলার ফল - বাংলার নদী, এর সবুজ ধানের ক্ষেত আর তার উপর সকালের লাল সূর্য্য। ভালোবাসতেন পাখির ডাক, ভালোবাসতেন বল্গা হরিণ, রয়েল বেঙ্গল টাইগার। আরো ভালোবাসতেন সুন্দরবন। এই সব মিলে বাংলাদেশ গড়ে উঠুক, সমৃদ্ধশালী হয়ে উঠুক এটাই তার স্বপ্ন, তার উত্তরাধিকার। আমাদের কাছে এটাই তার আশা। সব সঙ্গে নিয়ে, কোনো কিছুকে কম্প্রোমাইজ করে নয়। যত তাড়াতাড়ি দেশের অধিকাংশ মানুষ এই সহজ সত্যটা বুঝবে ততই মঙ্গল। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করবো, আজ এটাই হোক আমাদের শপথ।
দুবনা, ১৫ আগস্ট ২০১৬
Comments
Post a Comment