গ্রীক দেবী আর প্রধানমন্ত্রীর ফুটবল


ছোটবেলায় ফুটবল খেলার সময় যখন হুট করে বয়েসে বা গায়ে-গতরে বড় কেউ চলে আসতো জোড়া না নিয়ে আর চাপাচাপি করতো খেলায় নেয়ার জন্য, খেলার ভারসাম্য রক্ষার জন্য আমরা ওকে ভাগাভাগি করে নিতাম, মানে কিছু সময় খেলতো এক দলে, কিছুটা অন্য দলে। বাস্তবে যেটা ঘটতো, তাহলো যেদিকে বল মেরে ওর ভালো লাগতো, ও সেটাই করতো। ফলে ও সব সময়েই প্রচুর গোল করতো আর বিজয়ী দলে থাকতো।

এই মুহূর্তে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর সমকক্ষ রাজনীতিবিদ দেশে আর দুটো নেই। তাই উনি দু’দলেই খেলছেন।
এই একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি দেন তো, ঐ তাদের কারো সাথে আত্মীয়তা করেন।
আজ গণজাগরণ মঞ্চকে বাহবা দেন তো কাল হেফাজতের সাথে চুক্তি করেন।
এক দিকে সারা দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মঙ্গল শোভাযাত্রার নির্দেশ দেন, অন্য দিকে সুপ্রিম কোর্টের সামনে থেকে গ্রীক মূর্তি সরিয়ে মৌলবাদের কাছে নতি স্বীকার করেন।
আগে হয়তো এর নাম ছিলো সুবিধাবাদ। এখন রাজনৈতিক প্রজ্ঞা। ভোট ব্যাঙ্কে সতর্ক বিনিয়োগ।
বলবেন, এটা কোন ধরনের আদর্শ?
কেন, লক্ষ্যই উপায়কে ন্যায্য করে। আর লক্ষ্য যখন ক্ষমতা, সবাইকে খুশী করা – এটাইতো উত্তম পন্থা। খুব নাচতে ইচ্ছে করছে আর নেচে নেচে গাইতে ইচ্ছে করছে  
কতই রঙ্গ দেখি দুনিয়ায়
ভাইরে, কতই রঙ্গ দেখি দুনিয়ায়
তুমি চোর হইয়া চুরি কর
পুলিশ হইয়া ধর
সাপ হইয়া ছোবল মার
ওঝা হইয়া ঝাড় .........


ও ভাই একটা ডুগডুগি পাঠাবেন?


দুবনা, ১১ এপ্রিল ২০১৭ 


Comments

Popular posts from this blog

২৪ জুনের দিনলিপি

প্রায়োরিটি

ছোট্ট সমস্যা