সাম্য
আমরা প্রায়ই যুক্তিসঙ্গত কারণেই ব্রাহ্মণ্যবাদের সমালোচনা করি। ধর্মীয় বর্ণাশ্রমের শ্রাদ্ধ করি। এসব অবশ্যই ঠিক। কিন্তু এসব সামাজিক অসাম্যের সমালোচনা করে নিজেদের জীবনে সেটার প্রতিফলন ঘটাই কি? এসব হিন্দু ধর্মের সাথে জড়িত হলেও প্রথাটা হিন্দু ধর্মের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। এই প্রথার মূলে আছে মানুষে মানুষে ভেদাভেদ যার আধুনিক পরিভাষা শ্রেণী বিভক্ত সমাজ। শূদ্রদের মতই পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষ আজও উপর তলার কিছু মানুষের সেবা করে দিন কাটাচ্ছে। তারা আক্ষরিক অর্থে অস্পৃশ্য না হলেও খুব একটা দূরে নেই। রাজা ও সেনাদের কাঁধে ভর করে কিছু ব্রাহ্মণ যেমন পেছন থেকে সমস্ত রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ড চালনা করত, তেমনি তথাকথিত ছায়া প্রশাসন বিশ্বের সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করে। ব্যক্তি জীবনে আমরাও উঁচু তলার মানুষের পদ লেহন করি, পিছিয়ে পড়া মানুষের স্পর্শ এড়িয়ে চলি। সমস্ত অন্যায়ের মূলে আছে অসাম্য। ধর্ম, তন্ত্র এসব এই অসাম্যকে যুক্তি দিয়ে উপস্থাপন করার পথ মাত্র। সত্যিকার সামাজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য সাম্যের কোন বিকল্প নেই।
দুবাই, ০৫ জুন ২০২৪
Comments
Post a Comment