নভেম্বর ০৩

বাংলাদেশ আজ জেল হত্যা দিবস পালন করছে। ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের শোক কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই চার নেতার হত্যাকাণ্ড জাতিকে বিহ্বল করে তোলে। এরপর থেকে পদ্মায় অনেক জল গড়িয়েছে। দীর্ঘ সময় নিজেদের হাতে স্বাধীন করা দেশে অবহেলিত ও অনুচ্চারিত থাকার পর তাঁরা আবার মঞ্চে ফিরে এসেছেন স্বমহিমায়। এসব দিবস আমরা স্মরণ করি বা পালন করি শুধু তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করার জন্যই নয়, যাতে আর কখনও এ ধরণের ঘটনা না ঘটে সেই অঙ্গীকার নিয়ে। একটা জাতির জীবনে নেতাদের ভূমিকা অপরিসীম। যখন আমরা চার নেতার কথা স্মরণ করি তখন আমরা যেকোনো ধরণের রাজনৈতিক হত্যা তো বটেই, এমনকি যেকোনো ধরণের বিচার বহির্ভূত হত্যার বিরুদ্ধেই মত প্রকাশ করি। তবে জাতি শুধু নেতাদের দিয়ে গঠিত হয় না, জাতির প্রধান উপাদান তার জনগণ। তাই জাতীয় নেতাদের আমরা তখনই সম্মান দিতে পারব যখন সাধারণ মানুষের জন্য সুবিচার ও সুন্দর জীবন নিশ্চিত করতে পারব। ধর্ম, বর্ণ, ভিন্নমতের কারণে বর্তমানে দেশে বিভিন্ন স্তরের মানুষের উপর যেসব অত্যাচার, অনাচার বিভিন্ন মহল থেকে ঘটান হচ্ছে সেসবের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ও তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে পারব। বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার স্মৃতি সাধারণ মানুষের এই অধিকারটুকু নিশ্চিত করবে বলেই আশা করি। আর সেটা করতে পারলেই আমরা তাঁদের পুণ্য স্মৃতিকে অমর করতে পারব।

দুবনা, ০৩ নভেম্বর ২০২৩

Comments

Popular posts from this blog

২৪ জুনের দিনলিপি

প্রায়োরিটি

ছোট্ট সমস্যা