উত্তরাধিকার

মারা গেলেন হেনরি কিসিঞ্জার। অবশ্য এরা মরে কোথাও যায় না, গোদের উপর বিষফোঁড়া হয়ে যুগ যুগ ধরে জ্বালিয়ে যায়। জ্বালায় সারা বিশ্বের মানুষদের। আজকে বিশ্বের যে বেহাল তার পেছনে ভদ্রলোকের অবদান মোটেই কম নয়। এমনকি নিজ দেশেও যে অরাজকতা তার দায়িত্ব তিনি এড়াতে পারবেন না। এটা ঠিক যে তার কুটনৈতিক তৎপরতা শেষ পর্যন্ত আমেরিকাকে স্নায়ু যুদ্ধে বিজয়ী করেছে। কিন্তু জয়ী হওয়া আর বিজয়মাল্য বরণ করা এক নয়। ডাকাতও লড়াইএ জেতে কিন্তু বিজয়ী হয় না। আজ আমেরিকার কুটনৈতিক দেউলিয়াপনা কিসিঞ্জারের লিগ্যাসি। ব্লিনকেন, হাস বা অন্যান্য মার্কিন কূটনীতিকদের দেখে মনে হয় দলীয় কোটায় নিয়োগপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। স্বর্গে ওনার ঠাই হবে না, আশা করি নরকও তার দ্বার খুলবে না। সাটল ডিপ্লোম্যাসি করেই না হয় কাটিয়ে দিক আমরণ।

কাজান, ৩০ নভেম্বর ২০২৩

Comments

Popular posts from this blog

২৪ জুনের দিনলিপি

প্রায়োরিটি

ছোট্ট সমস্যা