শ্রমিকরাজ

বিভিন্ন দেশে শ্রমিকদের বঞ্চিত করা হলে আমেরিকা নাকি নাকি সেসব দেশের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। যাক, শেষ পর্যন্ত সোভিয়েত ইউনিয়নের এক যোগ্য উত্তরসূরি পাওয়া গেল। অনেক দিন থেকেই আমেরিকা ও পশ্চিমা বিশ্ব সোভিয়েত ইউনিয়নের সবচেয়ে খারাপ দিকগুলোর চর্চা করে আসছিল। সোভিয়েত ইউনিয়নে যেমন পশ্চিমা মাধ্যমের গলা টিপে ধরা হত তেমনি এখন ওরা দ্বিগুণ উদ্যমে আরটি সহ বিভিন্ন রুশ মাধ্যম, এদের সাহিত্য, সংস্কৃতি এসব নিষিদ্ধ করছে। এখন তো ফিনল্যান্ড বর্ডার পর্যন্ত সীল করে দিতে চাইছে। সেই সময়ে শ্রমিকদের স্বার্থে কথা বলা - এ যে ভূতের মুখে রাম নাম। এখন শুধু বাকী বিভিন্ন দেশের কমিউনিস্ট ও সোস্যালিস্ট পার্টির নাম বদলিয়ে ডেমোক্র্যাটিক পার্টি রাখা আর মাঝে মধে বাইডেন, ব্লিনকিনের অতিথি হয়ে ওয়াশিংটন বেরিয়ে আসা। ওনারা যখন বলেছেন - মেহনতি মানুষের ভাগ্যে শিকে না ছিঁড়ে আর যাবে কোথায়? এরকম প্যাট্রন থাকতে শ্রমিকরাজ প্রতিষ্ঠা মনে হয় এখন সময়ের ব্যাপার।

দুবনা, ২১ নভেম্বর ২০২১

Comments

Popular posts from this blog

২৪ জুনের দিনলিপি

প্রায়োরিটি

ছোট্ট সমস্যা