বন্ধু

কনফারেন্স মানে শুধু বিজ্ঞান চর্চা নয়, অনেকের সাথে পরিচয়। বিশেষ করে রাতে কয়েকজন মিলে রেস্টুরেন্টে যাওয়া, জীবনের গল্প করা। গল্পে গল্পে দেখা যায় নিজেদের অনেক কমন পরিচিত বন্ধু। আজ এমন একজনের সাথেই প্রথম আলাপ। রাতে কোথায় খাব ভাবছি। ও বলল বিয়ার ছাড়া ওর চলবে না। শেষ পর্যন্ত ছয় জন মিলে সেখানে গেলাম। গল্পে গল্পে জানলাম দুবনার আমার পরিচিত অনেকেই ওর ক্লাসমেট। এর মধ্যে একজন যে আমার পাশের রুমে বসত ১৯৯৬ থেকে ২০০২ পর্যন্ত, মারা গেছে। কার সাথে কিভাবে কখন যে পরিচয় হয়! ও নিজে একজন নামকরা বিজ্ঞানীর ছেলে, নিজেও ভালো কাজ করছে। যাদের কথা বললাম, মানে ওর বন্ধুদের বাবারাও নামকরা বিজ্ঞানী। আমার প্রায় সমবয়সী। এটাই বলে সোভিয়েত ইউনিয়নেও এভাবেই শ্রেণী তৈরি হয়েছিল। কারণ মানুষ সাধারণত নিজের পেশার লোকজনের সাথেই মিশত, বন্ধুত্ব হত তাদের সন্তানদের। তাই শ্রেণী সংগ্রাম করলেও দিনের শেষে অটোম্যাটিক্যালি শ্রেণী তৈরি হয়ে যায়।

কাজান, ২৮ নভেম্বর ২০২৩

Comments

Popular posts from this blog

২৪ জুনের দিনলিপি

প্রায়োরিটি

ছোট্ট সমস্যা