আবিদ খাঁন
এখন কাজানে আছি গ্র্যাভিটেশন, কসমোলজি ও আস্ট্রোফিজিক্সের এক কনফারেন্সে। হঠাৎ দেখলাম আবিদ খাঁন মেসেজ পাঠিয়েছে। ভীষণ অবাক হলাম। মস্কোয় দীর্ঘদিন প্রেমে বিরহে কাটালেও আমাদের সম্পর্ক ঠিক যখন তখন হাই হ্যালো করার মত নয়। মেসেঞ্জারে ঢুকে দেখি আমাদের শেষ মত বিনিময় হয়েছে ২০১৩ সালে যখন ও প্রধানমন্ত্রীর সাথে মস্কো সফর করে। তাই একটু অবাক হলাম। আরোও অবাক হলাম মেসেজের ঢঙে
কোথায় এখন?
বলতে পারতাম কনফারেন্সে। কিন্তু তাহলে আমি বিজন হব কেন? সত্য বলতে হবে কিন্তু রহস্য মিশিয়ে। তাই লিখলাম
- সন্দেহভাজনদের সমাবেশে।
বিজ্ঞানী মাত্রেই সন্দেহভাজন। কনফারেন্স তো সমাবেশই।
- একটা কথা বলার ছিল তোমাকে।
- বলুন।
একটু অবাক হয়েই লিখলাম। কারণ ঐ একটাই। আমরা সরাসরি বলাটাই পছন্দ করি।
- কিছু টাকা পাঠাতে পারবে বিকাশে?
এবার আমার অবাক হবার পালা। আবিদ জানে আমি রাশিয়ায়। তাহলে বিকাশে কেন? তাছাড়া আমার বন্ধুরা আমার পকেট যে গড়ের মাঠ সেটা ভালো করেই জানে। ওরা ফোন করে জানার জন্য আমার টাকা লাগবে কি না বা আমি দেশে আসব কি না? এলে টিকেট পাঠাতে হবে কি না? আবিদ অবশ্য বন্ধু নয়। তারপরেও। তাই আগ্রহ আরও বেড়ে গেল। বললাম
- আমি যোগাযোগ করব।
- একটু আর্জেন্ট লাগবে। আমি ফ্রি হয়ে তোমার সাথে দেখা করব নি। সমস্যা নেই। দিতে পারবে?
এতক্ষণে আমি বুঝে গেছি ব্যাটা ফেইক আবিদ। তাই লিখলাম
- আপনি চাইলেও দেখা করতে পারবেন না। আমি ধরাছোঁয়ার বাইরে।
তবে খেলাটা জমানোর জন্য জিজ্ঞেস করলাম
- কত দরকার?
- ১৫ হাজার টাকা। এখান থেকে এই টাকা পাঠাতে চার্জ পড়বে এরচেয়ে বেশি। আমি এত কম পয়সা লেনদেন করি না।
এরপর অনেকক্ষণ কোন সাড়াশব্দ নেই। অনেক পরে লিখল
- Hacked my account. Don't do anything.
এখন আমার প্রশ্ন শেষের কথা কি আবিদ লিখল নাকি ফেইক আবিদ নিজের মুখোশ উন্মোচন হয়েছে টের পেয়ে।
কাজান, ২৭ নভেম্বর ২০২৪
Comments
Post a Comment