Posts

Showing posts from March, 2025

সম্ভাবনা

Image
মীর জাফর ভেবেছিল ইংরেজ বেনিয়াদের সহায়তায় ক্ষমতা দখল করে সেই হবে বাংলা বিহার উড়িষ্যার একচ্ছত্র অধিপতি। বাস্তবে সে হয়েছিল ইংরেজদের হাতের পুতুল। একজন কৃষকের যে স্বাধীনতা ছিল সেটাও তার ছিল না। একই কথা বলা যায় মোশতাক সম্পর্কে। অন্যের বলে বলীয়ান হয়ে ক্ষমতায় এসে রাজার অভিনয় করা যায়, রাজা হওয়া যায় না। কারণ সিংহাসন মানুষকে রাজা করে না, রাজা করে দেশের ভালো মন্দে স্বাধীন ভাবে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা। মীর জাফর, মোশতাকরা যা পারেনি অন্যেরা যে সেটা পারবে না একথা যেমন নিশ্চিত করে বলা যায় না, তেমনি সেটার সম্ভাবনা যে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র এ নিয়ে সন্দেহ করারও তেমন অবকাশ থাকে না। মস্কো, ৩১ মার্চ ২০২৫

হাইজ্যাকার

Image
কী আওয়ামী লীগ সরকার কী বর্তমান সরকার - দুই দলই হাইজ্যাকার। আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধ হাইজ্যাক করেছিল সেটা বিক্রি করে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য, বর্তমান সরকার মুক্তিযুদ্ধকে হাইজ্যাক করেছে তাকে প্রাণে মারার জন্য।‌ নিজের অস্তিত্বের জন্য আওয়ামী লীগের একাত্তরের চেতনা জিইয়ে রাখা যতটা অত্যাবশ্যক ঠিক তেমনি ভাবে বর্তমান সরকার ও তাদের মদত দানকারী শক্তির অস্তিত্বের জন্য দরকার একাত্তরের চেতনা বাংলাদেশের বুক থেকে চিরতরে মুছে ফেলা। এখানে আপোষের সুযোগ তেমন নেই।  দুবনা, ২৭ মার্চ ২০২৫

রাজনীতির কানা গলি

Image
অভিযোগ উঠেছে যে সেনাবাহিনী বা সেনাপ্রধান শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনতে ষড়যন্ত্ররত। কথাটা সত্য না মিথ্যা সে ব্যাপারে কিছুই বলার নেই। তবে একটি কথা সত্য - শেখ হাসিনার ফিরে আসার পথে যারা লাল গালিচা বিছিয়ে দিচ্ছে তারা আর কেউ নয়, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, সমন্বয়করা আর নব্য রাজনৈতিক দল। সব ক্ষেত্রেই এদের অদক্ষতা ও বাড়াবাড়ি শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী শাসনকে ছাড়িয়ে গেছে। আর এ কারণেই যে মানুষ গত জুলাই আগস্টে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছিল আজ তারাই শেখ হাসিনার সময়ে ভালো ছিল বলে অভিমত প্রকাশ করছে। সেনাবাহিনীও দেশ চালনায় বর্তমান সরকারের অযোগ্যতা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে। তাই সেনাবাহিনী, ভারত, আমেরিকা, বিএনপি - এদের ঘাড়ে দোষ চাপানোর আগে নিজেদের অর্থ ও ক্ষমতার লোভ সংবরণ করে আইন শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে মনোযোগী হওয়া আর সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও প্রতিনিধিত্বমূলক নির্বাচনের ব্যবস্থা করে দেশকে সত্যিকার অর্থে স্বৈরাচার মুক্ত করার কোন বিকল্প পথ নেই। দুবনা, ২২ মার্চ ২০২৫

বোনাস

Image
সার্ত্রে বলেছেন আমরা বাবা মা বাছাই করে নিতে পারি না। একই কথা বলা যায় ভাইবোনদের ক্ষেত্রেও। কিন্তু বন্ধু আমরা বেছে নিতে পারি, যেমন বেছে নিতে পারি রাজনৈতিক দল বা আদর্শ। অন্যান্য দলের মত কমিউনিস্ট পার্টি বা তার অঙ্গ সংগঠনগুলোর নেতা কর্মীরা দীর্ঘ দিন পরস্পরের পাশে থেকে লড়াই সংগ্রাম করে আসছে। এদের অধিকাংশের বন্ধুত্ব সময়ের পরীক্ষায় যথাযথ ভাবে উত্তীর্ণ হয়েছে। তাই আজ যখন হাসিনার স্বৈরাচার, চব্বিশের গণ আন্দোলন নিয়ে কমিউনিস্ট পার্টি, উদীচী, ছাত্র ইউনিয়ন - এসব সংগঠনের মধ্যে বিভেদ দেখি তখন ভাবি এদের কাঁধে চড়ে জামায়াত শিবির শুধু ক্ষমতাই দখল করেনি, বোনাস হিসেবে তাদের চির শত্রু বামদের মধ্যে বিভাজন তৈরি করতেও সক্ষম হয়েছে। এসব ভাঙ্গন বাম রাজনীতির বা দেশের মানুষের জন্য কতটুকু মঙ্গল বয়ে আনবে সেটা জানি না, তবে এসব যে দক্ষিণ পন্থী সাম্প্রদায়িক শক্তির হাত শক্তিশালী করবে সে ব্যাপারে কোন রকম সন্দেহের অবকাশ নেই। মস্কো, ১৮ মার্চ ২০২৫

শুভ জন্মদিন

Image
আজ ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন। তাঁর সব কাজ যে সবার পছন্দ হতেই হবে সেটা যেমন ঠিক নয় তেমনি এটাও ঠিক নয় যে বাংলাদেশের সবার কাছে তিনি সমান ভাবে গৃহীত হবেন। সেটা হলে পৃথিবীতে এত ধর্ম, এত মতবাদের দরকার হত না। তবে পছন্দ হোক আর নাই হোক একটা কথা সত্য - বাংলাদেশের রূপকার তিনিই। অনেকেই হয়তো একটি স্বাধীন দেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন - কিন্তু সেই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়েছে তাঁর হাত ধরে, তাঁর ডাকে, তাঁকে ঘিরে। শুধু মাত্র এ কারণেই বাংলাদেশের ইতিহাসে তাঁর নাম উজ্জ্বল হয়ে থাকবে। সেই দেশ কোন পথে চলবে, সে দেশের মানুষ কেমন থাকবে সেটা পুরোপুরি নির্ভর করবে এ দেশের মানুষের উপরে। তবে এ দেশের মানুষকে এমন একটি সুযোগ তৈরি করে দেবার জন্য তিনি নিঃসন্দেহে চির স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। শুভ জন্মদিন বঙ্গবন্ধু! মস্কো, ১৭ মার্চ ২০২৫

ইতিহাস

Image
 যেভাবে ইউরোপ যুদ্ধ চালিয়ে যেতে ইউক্রেনকে উদ্বুদ্ধ করে যাচ্ছে তাতে মনে হয় শুধু জেলেনস্কির নয়, ইউরোপের বর্তমান এলিটদের ভবিষ্যতও এই যুদ্ধের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ক্ষমতায় আসছে সেই সব দল যারা যুদ্ধের বিরুদ্ধে কথা বলছে। যেখানে সম্ভব সেখানে এ ধরণের প্রার্থীদের বিভিন্ন ভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত রাখা হচ্ছে। আমেরিকায় সেটা সফল না হলেও রুমেনিয়ার সম্ভব হয়েছে। তাই ইউরোপ যে ছলে বলে কৌশলে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে আগ্রহী হবে তাতে সন্দেহ নেই। আমরা ইউরোপকে সভ্যতার সুতিকাঘর মনে করলেও সত্যিই কি তাই? ইউরোপের অনেক আগেই চীন, ভারত, মিশর, সিরিয়া, ইরাক, পারস্য - এ সব এলাকায় সভ্যতার বিকাশ ঘটেছিল। শিল্প বিপ্লবের পর ইউরোপ অন্যদের ছাড়িয়ে গেলেও এখানেই জন্ম নিয়েছে র‍্যাসিজম, কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প, ফ্যাসিজম। এখানেই শতাব্দী ধরে চলেছে বিভিন্ন যুদ্ধ। দুই দুটো বিশ্বযুদ্ধ ঘটেছে এখানেই। বর্তমানে আমরা যে প্রযুক্তির বিকাশ দেখি সেটার জন্ম যেমন এখানে, ঠিক তেমনি এখানেই জন্মও নিয়েছে উপনিবেশবাদ। সারা পৃথিবীকে এরাই পদানত করেছে, সারা বিশ্বের সম্পদ এরাই শোষণ করেছে। তাই ইউরোপ আমেরিকার কাছ থেকে শুধু লাভের ...

সম্ভাবনা

Image
সত্যিকার একজন শিক্ষিত ও গুণী মানুষ নিজে অবজ্ঞার শিকার হলে অন্য কোন গুণী মানুষের পাশে দাঁড়ান এমনকি তিনি যদি রাজনৈতিক ভাবে ভিন্ন মতাদর্শেরও হন। বিভিন্ন জনের প্রতিক্রিয়া দেখে মনে হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ভিসি প্রফেসর আরেফিন সিদ্দিকী বাংলাদেশের শিক্ষাঙ্গনে একজন পরিচিত ও সম্মানিত ব্যক্তিত্ব। কেন যেন মনে হয় বর্তমান সরকার তাঁর প্রতি মরণোত্তর শ্রদ্ধা জানাতে কিছুটা হলেও কার্পণ্য করেছে। একজন শিক্ষিত ও গুণী মানুষ হিসেবে ডঃ ইউনুস নিজে এগিয়ে এসেই সেটা করতে পারতেন। সরকারের প্রতি মানুষের শ্রদ্ধা ভালোবাসা এমনি এমনি তো আর গড়ে ওঠে না। আমাদের দেশের প্রতিটি সরকার আসে অনেক সম্ভাবনা নিয়ে কিন্তু কেন যেন সবাই দ্রুত সেই সম্ভাবনাগুলো অসম্ভব করে তোলে। দুবনা, ১৪ মার্চ ২০২৫

রাবণ

Image
এক সময় রাশিয়ায় এক জোক চালু ছিল - যে রাজনৈতিক দলই গঠন কর না কেন দিনের শেষে তা সিপিএসইউ বা সোভিয়েত ইউনিয়নের কমিউনিস্ট পার্টি হয়ে যায়। বিগত কয়েক বছর বিভিন্ন লেখায় বলেছি আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ চারিত্রিক ভাবে জামায়াত শিবির হয়ে যাচ্ছে। আজ দেশের সরকার ডি ফ্যাক্টো জামায়াত শিবির দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে । নিয়তির কি নির্মম পরিহাস যে বলতে হচ্ছে - জামায়াত শিবির আজ আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ হয়ে যাচ্ছে। যে অন্যায় অত্যাচার, যে আইনহীনতার, স্বজনপ্রীতির বিরুদ্ধে লড়াই করে সরকার ফেলানো হল আজ সেই সবই নতুন করে বিকশিত হচ্ছে বহু গুণ বর্ধিত কলেবরে।  দুবনা, ১৩ মার্চ ২০২৫

মানুষ

Image
আমরা যখন সোভিয়েত ইউনিয়নে আসি তখন তা সব অর্থেই ছিল ভিন গ্রহের দেশ। ছোটবেলা থেকে যেসব জিনিস সঠিক বা ন্যায় বলে জেনে এসেছি এখানে সেসবের অনেক কিছুই ছিল ভুল বা অন্যায়। বিশেষ করে কেনা বেচার ক্ষেত্রে। এর কারণ ছিল সম্পদের উপর মালিকানা সম্পর্কের ভিন্নতা। আমাদের অনেকেই নতুন বাস্তবতা মেনে ও মানিয়ে নিয়ে চলেছে, অনেকেই আবার এসব আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ব্যবসা বাণিজ্য করে আয়েশী জীবন যাপন করেছে। পেরেস্ত্রোইকা ও গ্লাসনস্তের দমকা হাওয়ায় এসব বাধানিষেধ উড়ে গেলে বেশিরভাগ মানুষ সোৎসাহে ব্যবসায় নামে। অনেকেই নামে সেই সময়ে স্টাইপেন্ডের টাকায় জীবন ধারণ অসম্ভব হয়ে পড়ায়। অনেকেই সেই সুযোগে নিজের অর্থনৈতিক অবস্থা পরিবর্তন করতেও ব্যবসায় নামে। নতুন বাস্তবতায় সেটা অন্যায় কিছু ছিল না। তবে এটা প্রমাণ করে যে যারা আদর্শের কারণে নিজেদের উপর এ ধরণের কৃত্রিম বাধানিষেধ (কৃত্রিম এ কারণে যে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের অপ্রতুলতা যে চাহিদার জন্ম দেয় সেটা সমাধান করার পরিবর্তে জনগণকে নিজেদের মধ্যেই প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের লেনদেন করা বেআইনি ঘোষণা করে সোভিয়েত সরকার) আরোপ করেছিল তাদের অনেকেই সেটা করেছিল অনিচ্ছায়। এদ...

বন্ধু ও শত্রু

Image
রাজনীতির মাঠে শত্রুর সাথে সমঝোতা হতে পারে কিন্তু বন্ধুত্ব নয়। কারণ রাজনৈতিক দলের মূল লক্ষ্য থাকে ক্ষমতা, থাকে ক্ষমতা দখলের লড়াই, থাকে বিপক্ষ দলকে ক্ষমতার লড়াই থেকে দূরে ঠেলে দেবার অবিরাম প্রয়াস। তাই কোন প্রশ্নে সমঝোতা মানে শত্রুতার শেষ নয়। গর্বাচভ বা ইয়েলৎসিন এটা না বোঝায় দেশ হারিয়েছে। ভোটের রাজনীতি করে একই ভাবে ঠকেছে, ঠকছে উপমহাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। আদর্শিক শত্রু শত্রুর শত্রু হলেও বন্ধু হতে পারে না। এই সহজ সত্যটি বুঝতে না পারলে আখেরে পস্তাতে হয়। উদাহরণ খুঁজতে খুব দূরে যেতে হবে না। বাংলাদেশের যে সব রাজনৈতিক দল বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন ও একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের প্রতি আস্থাশীল তারা সবাই বিভিন্ন সময়ে এই ভুলটি করে আসছে। এদের ভুলের কারণেই সেই স্বাধীনতাই এখন প্রশ্নের সম্মুখীন। মস্কো, ১০ মার্চ ২০২৫

রাষ্ট্র

Image
বর্তমান সরকারের যারা স্টেক হোল্ডার তারা আপ্রাণ চেষ্টা করছে বাংলাদেশকে ইসলামী রাষ্ট্র করার। কিন্তু সব দেখে মনে হয় রাষ্ট্র উল্টো হিন্দু হয়ে যাচ্ছে। বিশ্বাস হয় না? বাংলাদেশের হিন্দুদের মূল বৈশিষ্ট্য হল নিজেদের বাঁচাতে প্রতিবাদ বা প্রতিরোধ করার অক্ষমতা ও আক্রমণকারীদের দয়ার উপর নিজের ভাগ্য ছেড়ে দেয়া। বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটি এই মুহূর্তে ঠিক তাই করছে। রাষ্ট্রের কাঠামো যারা ধ্বংস করছে তাদের প্রতিরোধ তো করছেই না, উল্টো অনুনয় বিনয় করছে তাদের শান্ত হবার জন্য। মব জাস্টিস, ধর্ষণ এসব দমন করতে রাষ্ট্র অসহায়ত্বের পরিচয় দিচ্ছে। রাষ্ট্রের এই চেহারা হিন্দু সহ বিভিন্ন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের চেহারা থেকে আলাদা নয়। তাই সংবিধানে যাই লেখা থাকুক না কেন চারিত্রিক ভাবে রাষ্ট্র এখন সংখ্যালঘুতে পরিণত হয়েছে। মস্কোর পথে, ০৯ মার্চ ২০২৫

পতাকা

Image
পতাকা নিজে কথা বলে না, কাউকে কোথাও ডাকে না। কিন্তু এই পতাকা হাতে নিয়ে, পতাকার সম্মান রক্ষার জন্য মানুষ যুদ্ধে যায়, শত্রুকে পরাজিত করে। শেখ মুজিব স্বাধীনতা চেয়েছিলেন কি না, তিনি স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন কি না সেই প্রশ্ন তুলে আজ বিভ্রান্তির সৃষ্টি করা তাই অবান্তর। কারণ একাত্তরে তিনি ছিলেন সেই পতাকা যাকে ঘিরে, যাকে বাঁচাতে আপামর বাঙালি যুদ্ধ করেছিল। এটা যারা বুঝতে চায় না তাদের দেশপ্রেম সন্দেহাতীত নয়। মোরা একটি ফুলকে বাঁচাব বলে যুদ্ধ করি এটা তখন ছিল বাঙালির মনের কথা। আর স্বাধীনতার জন্য সেই লড়াইয়ে জয় বাংলা ছিল মানুষের প্রাণের স্লোগান, তার প্রাণশক্তি তার বাঁচার মন্ত্র। দুবনা, ০৭ মার্চ ২০২৫

নস্যি

Image
ইদানীং কালে রাশিয়ান টিভি প্রায়ই সেই সমস্ত লোকদের খবর দেখায় যারা অনলাইন চিটারদের হাতে ধরা খেয়েছে। এই চিটাররা সাধারণত ইউক্রেন ভিত্তিক। তারা বিভিন্ন ভাবে বিশেষ করে বৃদ্ধ বৃদ্ধাদের বোঝাতে সক্ষম হয় যে তাদের টাকা গায়েব হয়ে যেতে পারে, তাই দ্রুত সেটা সাময়িক ভাবে অন্য একাউন্টে সরিয়ে নেয়া দরকার। এরা সাধারণত নিজেদের ব্যাংকের প্রতিনিধি বা আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতিনিধি হিসেবে পরিচয় দেয়। দীর্ঘ দিন যাবত টিভিতে এসব ব্যাপারে সতর্ক করা সত্ত্বেও অনেকেই ফাঁদে পা দিচ্ছে, কেউ কেউ এদের কথায় অসামাজিক কাজে লিপ্ত হচ্ছে। এসব কমাতে সরকার ইতিমধ্যে এমনকি ভুক্তভোগী অনেককেই শাস্তি দিয়েছেন, কেননা তারা পারতপক্ষে ইউক্রেন বাহিনীকে অর্থ সাহায্য করছে। এইতো কিছুদিন আগে এক বিখ্যাত গায়িকা এভাবে ৫ কোটি রুবল চিটারদের হাতে তুলে দিয়েছে। এক স্কুলের ছাত্রকে বলা হয়েছে যে তার বাবা মা আসলে ইউক্রেনের সেনাদের টাকা দিচ্ছে, তাই সেই টাকা সরিয়ে ফেলা দরকার। সেই ছেলে বাবা মার অনুপস্থিতিতে সেফ ভেঙে ২০ কোটি রুবল এদের হাতে তুলে দিয়েছে আর যখন ভুল বুঝতে পেরেছে তখন আত্মহত্যা করছে। গতকাল বন্ধুরা জিজ্ঞেস করল - তোমাদের দেশে নিশ্চয়ই এমনটা হয়...