ইতিহাস
যেভাবে ইউরোপ যুদ্ধ চালিয়ে যেতে ইউক্রেনকে উদ্বুদ্ধ করে যাচ্ছে তাতে মনে হয় শুধু জেলেনস্কির নয়, ইউরোপের বর্তমান এলিটদের ভবিষ্যতও এই যুদ্ধের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ক্ষমতায় আসছে সেই সব দল যারা যুদ্ধের বিরুদ্ধে কথা বলছে। যেখানে সম্ভব সেখানে এ ধরণের প্রার্থীদের বিভিন্ন ভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত রাখা হচ্ছে। আমেরিকায় সেটা সফল না হলেও রুমেনিয়ার সম্ভব হয়েছে। তাই ইউরোপ যে ছলে বলে কৌশলে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে আগ্রহী হবে তাতে সন্দেহ নেই। আমরা ইউরোপকে সভ্যতার সুতিকাঘর মনে করলেও সত্যিই কি তাই? ইউরোপের অনেক আগেই চীন, ভারত, মিশর, সিরিয়া, ইরাক, পারস্য - এ সব এলাকায় সভ্যতার বিকাশ ঘটেছিল। শিল্প বিপ্লবের পর ইউরোপ অন্যদের ছাড়িয়ে গেলেও এখানেই জন্ম নিয়েছে র্যাসিজম, কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প, ফ্যাসিজম। এখানেই শতাব্দী ধরে চলেছে বিভিন্ন যুদ্ধ। দুই দুটো বিশ্বযুদ্ধ ঘটেছে এখানেই। বর্তমানে আমরা যে প্রযুক্তির বিকাশ দেখি সেটার জন্ম যেমন এখানে, ঠিক তেমনি এখানেই জন্মও নিয়েছে উপনিবেশবাদ। সারা পৃথিবীকে এরাই পদানত করেছে, সারা বিশ্বের সম্পদ এরাই শোষণ করেছে। তাই ইউরোপ আমেরিকার কাছ থেকে শুধু লাভের আশা করা ভুল, কারণ অন্য দেশ শোষণ করে নিজেদের ভালো থাকার শিক্ষা এদের অস্থি মজ্জায়। ওদের উপর অতিমাত্রায় নির্ভর করার আগে এই ইতিহাস মনে রাখা আমাদের অত্যাবশ্যক।
মস্কোর পথে, ১৬ মার্চ ২০২৫
Comments
Post a Comment