নস্যি

ইদানীং কালে রাশিয়ান টিভি প্রায়ই সেই সমস্ত লোকদের খবর দেখায় যারা অনলাইন চিটারদের হাতে ধরা খেয়েছে। এই চিটাররা সাধারণত ইউক্রেন ভিত্তিক। তারা বিভিন্ন ভাবে বিশেষ করে বৃদ্ধ বৃদ্ধাদের বোঝাতে সক্ষম হয় যে তাদের টাকা গায়েব হয়ে যেতে পারে, তাই দ্রুত সেটা সাময়িক ভাবে অন্য একাউন্টে সরিয়ে নেয়া দরকার। এরা সাধারণত নিজেদের ব্যাংকের প্রতিনিধি বা আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতিনিধি হিসেবে পরিচয় দেয়। দীর্ঘ দিন যাবত টিভিতে এসব ব্যাপারে সতর্ক করা সত্ত্বেও অনেকেই ফাঁদে পা দিচ্ছে, কেউ কেউ এদের কথায় অসামাজিক কাজে লিপ্ত হচ্ছে। এসব কমাতে সরকার ইতিমধ্যে এমনকি ভুক্তভোগী অনেককেই শাস্তি দিয়েছেন, কেননা তারা পারতপক্ষে ইউক্রেন বাহিনীকে অর্থ সাহায্য করছে। এইতো কিছুদিন আগে এক বিখ্যাত গায়িকা এভাবে ৫ কোটি রুবল চিটারদের হাতে তুলে দিয়েছে। এক স্কুলের ছাত্রকে বলা হয়েছে যে তার বাবা মা আসলে ইউক্রেনের সেনাদের টাকা দিচ্ছে, তাই সেই টাকা সরিয়ে ফেলা দরকার। সেই ছেলে বাবা মার অনুপস্থিতিতে সেফ ভেঙে ২০ কোটি রুবল এদের হাতে তুলে দিয়েছে আর যখন ভুল বুঝতে পেরেছে তখন আত্মহত্যা করছে। গতকাল বন্ধুরা জিজ্ঞেস করল

- তোমাদের দেশে নিশ্চয়ই এমনটা হয় না।
আমি কিছুক্ষণ ভেবে বললাম
- বিশ্বাস করবে না যে আমাদের দেশের সব শ্রেণীর জনগণ মিলে কিছুদিন আগে পুরো দেশটাকেই সোনার থালায় করে পাকিস্তানের হাতে তুলে দিয়েছে। যান তো এই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে লড়াই করে ৩০ লাখ মানুষের জীবনের বিনিময়ে এই দেশটাকে তারা স্বাধীন করেছিল। তাই তোমাদের মানুষদের কিছু টাকা বা কিছু বাড়ি ঘর ইউক্রেনের হাতে তুলে দেয়া - সেটা আমাদের তুলনায় নস্যি।

দুবনা, ০৫ মার্চ ২০২৫

Comments

Popular posts from this blog

রিসেটের ক্ষুদ্র ঋণ

প্রশ্ন

পরিমল