Posts

Showing posts from September, 2024

প্রস্তাব

Image
আমাদের ফোটোগ্রাফির একটা ক্লাব আছে। ২০০৬ সালে আমরাই সেটা প্রতিষ্ঠা করি। যেহেতু একাধিক মানুষ একসাথে চলতে গেলে সবার জন্য গ্রহণযোগ্য কিছু নিয়ম-কানুন মানতে হয় তাই আমরা একটি গঠনতন্ত্রও লিখি। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রকম সংযোজন সংশোধন তাতে করা হয়েছে। মূল কথা সেটা যেন আমাদের সবার জন্য সুবিধাজনক হয়, আমাদের কাজকর্ম করার পথ সহজ করে। কারণ গঠনতন্ত্র আমাদের চলাকে সহজ করার জন্য। আর এই পরিবর্তন করেছি বাস্তব অভিজ্ঞতার আলোকে। বাংলাদেশের বিগত তেপান্ন বছরের রাজনীতির ইতিহাস থেকে দেখি যারাই ক্ষমতা হারায় তারাই নবনির্বাচিত সরকারের বিশেষ আতিথ্যে দিনযাপন করে। নবাগত সরকার বিদায়ী সরকারকে এতটাই ভালোবাসে যে সহজে ছাড়তে চায় না, এমনকি যাতে পালিয়ে যেতে না পারে সেজন্য তাদের ২৪ ঘন্টা কড়া নজরদারিতে রাখে। এসব কথা মাথায় রেখে সংবিধানে একটি নতুন বিধি সংযোজন করা যায়। বিদায়ী সরকারকে বাধ্যতামূলক ভাবে জেলের ভাত খেতে হবে। এর মেয়াদ বিগত দিনের শাসনামলে তাদের কাজকর্ম দ্বারা নির্ধারিত হবে, তবে কোন মতেই ৪ বছরের বেশি হবে না যাতে তারা পরবর্তী নির্বাচনের অংশগ্রহণ করার জন্য সার্বিক ভাবে প্রস্তুতি নিতে পারে। এতে করে দুর

সমাধান

Image
কথা হচ্ছিল সেভার সাথে সমস্যা ও তার সমাধান নিয়ে। - পাপ, এমন কোন সমস্যা কি আছে যার সমাধান নেই? - সব সমস্যারই সমাধান আছে এবং একাধিক সমাধান আছে। তাই মূল সমস্যা সমস্যায় নয়, এর মূল সমস্যা হল অনেকগুলো সমাধান থেকে নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে সবচেয়ে উপযোগী সমাধান বেছে বের করা।  - যেমন? - ধর একজন লোক অসুস্থ হয়েছে। সে খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করতে পারে, ডাক্তার দেখাতে পারে, অষুধ খেতে পারে, অপারেশন করাতে পারে, এমনকি মরেও যেতে পারে।  - মানে? - মানে আর কি? মৃত্যু সব অসুখের জন্য সবচেয়ে কার্যকরী ওষুধ। জানিস না? সেভার হাসতে হাসতে পেটে খিল।‌ কথা তখনকার মত এখানেই শেষ। দুবনা, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

দায়বদ্ধতা

Image
ফেসবুকের খবর বিশ্বাসযোগ্য হলে ঢাবির শিবির সভাপতি নিজের পরিচয় গোপন করে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সমন্বয়ক হয়েছিল। রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে কৌশলগত ভাবে ঠিক হলেও এটা ছিল মিথ্যাচার।  অধ্যাপক আলী রীয়াজ সংবিধান সংশোধন কমিটির প্রধান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। তিনি একজন বাংলাদেশী আমেরিকান। ফেসবুকে কেউ কেউ লিখেছেন তিনি আমেরিকার নাগরিক। হয়তো বাংলাদেশের নাগরিকত্ব এখনও ধারণ করেন। যতদূর জানি আমেরিকার নাগরিকত্ব পাওয়ার সময় সেই দেশের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে শপথ নিতে হয়। সেক্ষেত্রে আমেরিকার নাগরিক হলে অধ্যাপক আলী রীয়াজ কোন দেশের প্রতি অনুগত থাকবেন? বিভিন্ন লেখায় ও বক্তব্যে তিনি দায়বদ্ধতার কথা বলেন। তিনি যদি আমেরিকান নাগরিক হন এবং একই সাথে বাংলাদেশের সংবিধান সংশোধন কমিটির প্রধান হন তাহলে বাই ডিফল্ট তিনি কোন একটি দেশের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করতে অপারগ হবেন। খেলাধূলার ক্ষেত্রে ভিনদেশী প্রশিক্ষক নিয়োগ আর দেশের সংবিধান সংশোধন বা রচনা এক জিনিস নয়। এমনকি তিনি নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করলেও তাঁর নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। সেক্ষেত্রে এটা কি দ্বিচারিতা নয়? তাহলে ঢাবির শিবির সভাপতির সাথে তাঁর পার্থক্য কোথায়

প্রশ্ন

Image
ফেসবুকে বিভিন্ন স্ট্যাটাস দেখে সমাজের মনোজগতের কমবেশি এক সামগ্রিক চিত্র পাওয়া যায়। আমার ফেসবুক বন্ধুদের বেশির ভাগ জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। দ্বিতীয় বৃহত্তম গোষ্ঠী সোভিয়েত ইউনিয়ন বা রাশিয়ান গ্র্যাজুয়েট। বাংলাদেশের কিন্তু সোভিয়েত গ্র্যাজুয়েট নয় এদের এক বড় অংশ দেশের বাইরে - উন্নত বিশ্বের বাসিন্দা, জীবনে প্রতিষ্ঠিত। এদের অনেকের স্ট্যাটাস দেখে মাঝেমধ্যে অবাক হতে হয়। বাংলাদেশ নিয়ে আমাদের আবেগ, সে থেকে কোন রাজনৈতিক দলের প্রতি সমর্থন বা কোন দলের বিরোধিতা করা বোধগম্য। কিন্তু একই সাথে তৃতীয় দেশের নাগরিক হয়ে ভারত ও পাকিস্তানের প্রতি এদের মনোভাব দেখে মনে হয় শারীরিক ভাবে বিদেশে অবস্থান করলেও এদের মন বাংলাদেশের চোরাবালিতে আটকে গেছে। সবচেয়ে অবাক হই বর্তমানে নিজেদের ভারতীয় বা পাকিস্তানী বংশোদ্ভূত স্বদেশী আমেরিকান, কানাডিয়ান, ইউরোপিয়ানদের প্রতি তাদের দৃষ্টিভঙ্গি দেখে। আর কবে আমরা উন্নত বিশ্বের স্বাধীন নাগরিক হবে? এতদিন বিদেশে থেকেও যদি মানসিকতা বদলাতে না পারি তাহলে দেশে বিদেশি প্রেসক্রিপশনে বিভিন্ন ধরণের উন্নয়ন ও সংস্কার কি দেশের মানুষকে আদৌ মুক্তমনা মানুষ হতে সাহায্য করবে? আমরা যেমন

দায়

Image
আপনি কি আজ হাতে রক্তের দাগ দেখেছেন? শুনেছেন মৃত্যু পথ যাত্রীর আর্ত চিৎকার? আমার মনে হয় আমি দেখেছি। একটা সময় পর্যন্ত কোটা বিরোধী আন্দোলনের সমর্থক হিসেবে এই হত্যার দায় আমাদের অনেকের। একটা সময় পর্যন্ত এ কারণে যে যখনই সেটা সরকার পতনের আন্দোলনে পরিণত হয়েছে আমি মনে করেছি আমরা ভুল পথে যাচ্ছি। এর মানে এই নয় আমি আওয়ামী সরকারের সমর্থক ছিলাম বা আছি। আসলে স্বৈরাচারী শাসন, দুর্নীতি, টাকা পাচার ইত্যাদি দেশের অপুরনীয় ক্ষতি করলেও আমার মনে হয় দেশের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে রাজনীতিহীনতায়। যেহেতু তখন মাঠে কোন রাজনৈতিক শক্তি ছিল না একটি দেশপ্রেমিক সরকার গঠনের জন্য তাই আমার মনে হয়েছিল কিছুটা হলেও সময় নেয়া দরকার রাজনীতিকে গোছানোর জন্য। অন্যথায় শাসনের লাগাম এমন সব মানুষের হাতে চলে যেতে পারে যে এত প্রাণের বিনিময়ে যা অর্জিত হয়েছিল সবই বৃথা যাবে। আমরা চেয়েছিলাম বৈষম্যহীন সমাজ, কিন্তু আজ বৈষম্য এন্ট্রপির মত ক্রমাগত বাড়ছে। মানুষ নাজেহাল হচ্ছে তার ধর্মীয় পরিচয়ে, রাজনৈতিক পরিচয়ে, এমনকি শুধু সন্দেহের ভিত্তিতে। আমাদের লড়াই ছিল বিচার বহির্ভূত হত্যার বিরুদ্ধে। কিন্তু আজ চারিদিকে শুধুই বিচার বহির্ভূত হত্যার ছড়াছড়ি। যেদি

অপব্যবহার

Image
যে বাচ্চা কথায় কথায় কাঁদে এক সময় তার কান্নায় কেউ গুরুত্ব দেয় না। শান্ত গম্ভীর মানুষকে লোকে সমীহ করে কারণ জানে সে রাগলে খবর আছে। কিন্তু যে উঠতে বসতে রাগে তার রাগেও আর কেউ কান দেয় না। এক সময় কারণে অকারণে হরতাল ডেকে ডেকে হরতালকেই অপ্রাসঙ্গিক করে তোলে আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো। এখন এসেছে গ্রেফতারের আর মামলা করার পালা। এভাবে চললে কিছুদিন পরে মামলা গ্রেফতার এসবও অর্থহীন হয়ে পড়বে। তাই কাউকে গ্রেফতার বা কারো বিরুদ্ধে মামলা করার আগে ভাবুন সেটার আদৌ দরকার আছে কি না। অযথা রাষ্ট্রকে হাস্যকর করবেন না কারণ রাষ্ট্র এক গুচ্ছ স্বার্থান্বেষী তথাকথিত বিপ্লবীর নয়, রাষ্ট্র বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষের।  দুবনা, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

প্রশ্ন

Image
সোভিয়েত ইউনিয়নে পড়াশুনা করেছে এরকম অনেককেই বলতে শুনি তারা তো সোভিয়েত ইউনিয়নে লেখাপড়া করেছে সোভিয়েত সরকারের বৃত্তি নিয়ে তাই বর্তমান রাশিয়ার প্রতি তাদের কোন দায়বদ্ধতা নেই। এখানে দুটো বিষয় আমাকে ভাবায়। যেহেতু সুযোগ পেলেই এরা বলে দেশের টাকা তো জনগণের টাকা তাই সোভিয়েত সরকারের বৃত্তি মানে এ দেশের মানুষের কষ্টার্জিত অর্থে দেয়া সে বৃত্তি। সরকার বদলানোর সাথে সাথে কি দেশের জনগণ বদলে গেছে? জনগণ সেই জারের আমলে, সোভিয়েত আমলে বা বর্তমান রাশিয়ায় কমবেশি একই আছে। সব আমলেই অধিকাংশ মানুষ রাজাকেই ঈশ্বর জ্ঞানে পূজা করে, জার, জেনারেল সেক্রেটারি বা প্রেসিডেন্টের প্রতি আনুগত্যকে দেশের প্রতি আনুগত্য মনে করে। তাই তো এরা মহান পিতৃভূমির যুদ্ধের সময় বলত জারের জন্য, জন্মভূমির জন্য অথবা স্তালিনের জন্য জন্মভূমির জন্য এই লড়াই। তাই জনগণ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রাজের সমর্থক হলেও তারা আসলে দেশের জন্যই এসব করে। সাধারণ মানুষই বারবার দেশের বিপদে দেশের পাশে দাঁড়ায়, জীবন দিয়ে দেশ রক্ষা করে। তাই দিনের দেশে তথাকথিত এলিট শ্রেনী নয়, এই সাধারণ মানুষই দেশ। তাহলে কি এই জনগণের প্রতি এদের কোন দায়বদ্ধতা নেই? দ্বিত

রাজনীতিবাজ

Image
 রাজনীতিবিদদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হল তারা নিজেদের চাহিদার চেয়েও জনগণের চাহিদা সম্পর্কে বেশি অবগত বলে মনে করে। বেদেনীর মত যারা সারা বিশ্বের মানুষের ভাগ্য বদলায় কিন্তু কী এক অজ্ঞাত কারণে নিজেদের ভাগ্য বদলাতে পারে না রাজনীতিবিদরা জনগণের সমস্যার সমাধান করতে চায়। জনগণের জন্য কি ভালো আর কি মন্দ সেটা নিজের উর্বর মস্তিষ্ক থেকে আবিষ্কার চেষ্টা না করে এরা যদি জনগণের কাছে সেটা জিজ্ঞেস করার সাহস রাখত তাহলে রাজনীতির গতিপথ বদলে যেত আর পৃথিবী অনেক বেশি বাসযোগ্য হত। রাজনীতিবাজরাই আজকের সব সমস্যার নাটের গুরু। দুবনা, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

অধিকার

Image
ছোটবেলায় খুব ভালো লাগতো মায়ের মুখে গল্প শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে পড়তে। সন্ধ্যায় ছিল রামায়ণ, মহাভারত ও দেবদেবীর গল্প। ঘুমানোর আগে অন্য কিছু। সেরকম একটি গল্পের নায়ক ছিল মৃত এক ব্যক্তি যার শবদেহ জল বা মাটি কেউই গ্রহণ করত না। জলে ফেললে ঢেউ তাকে মাটিতে তুলে দিত আর তখন প্রবল বাতাস তাকে উড়িয়ে জলে ফেলত। সেই গল্প শুনতে শুনতে ভয়ে কুঁকড়ে উঠতাম। অনেক দিন পরে সেই গল্প মনে পড়ল ফেসবুকে ঝর্ণা দাসদের ভাগ্যের নির্মম পরিহাস সম্পর্কে অবগত হয়ে। জীবিত অবস্থায় বাংলাদেশ এদের সীমান্ত পেরিয়ে ভারত যেতে বাধ্য করে কিন্তু ভারত তাদের গ্রহণ করে না, বাংলাদেশে ফিরে যেতে বাধ্য করতে গিয়ে হত্যা পর্যন্ত করে। পরে আবার বাংলাদেশেই ভারতের বিরুদ্ধে সীমান্ত হত্যার প্রতিবাদ হয়। এক্ষেত্রে জীবিত ঝর্ণা দাসদের চেয়ে মৃত ঝর্ণা দাসরাই বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষের জন্য অনেক বেশি কাঙ্ক্ষিত কারণ এতে করে মৌলবাদীরা যেমন আরও একজন বিধর্মীর মৃত্যুতে আনন্দিত হয়, প্রগতিশীলরাও তেমনি ভারত বিরোধী স্লোগানের অজুহাত পায়। মানুষ, মানুষের জীবন এখানে হিসেবের মধ্যেই আসে না। ফলে কী জীবিত, কী মৃত যেকোনো অবস্থায়ই ঝর্ণা দাসদের রাজনৈতিক গুরুত্ব অপরি

ইতিহাসের চাকা

Image
আশির দশকের শেষ দিকে আমরা অনেকেই মনে করতাম গর্বাচভের পেরেস্ত্রোইকা থমকে দাঁড়িয়েছে, সেটাকে চলমান অবস্থায় ফিরিয়ে আনার জন্য দরকার ইয়েলৎসিনের গতিশীল নেতৃত্ব। পরিণাম আমরা জানি।  উন্নয়ন আর ডিজিটাল বাংলাদেশের ঘুমপাড়ানি গানের সাথে মদিনা সনদ যুক্ত হলে অনেকেই শেখ হাসিনাকে পরিত্যাগ করে। আর যারা বাংলাদেশে শরিয়া আইন চায় তারা হয়তো আমাদের মতই উতলা হয়ে উঠছিল এর ধীর গতিতে। ছাত্র জনতার আন্দোলনে স্বৈরাচার নিপাত যাওয়ার পরে আমরা মনে হয় দ্রুত মদিনা সনদের দিকেই এগুচ্ছি।  এক বন্ধুর সাথে গল্প করার সময় আমরা প্রায়ই বলতাম শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ জিয়াউর রহমানের রাজনীতিকে জটিল করার মিশন খুব ভালো ভাবে পালন করছে। এখন বলার সময় এসেছে বর্তমান শাসকগোষ্ঠী শেখ হাসিনার মদিনা সনদ বাস্তবায়ন করার পথে খুব সাফল্যের সাথে অগ্রসর হচ্ছে। মস্কোর পথে, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

প্রশ্ন

Image
দেশে সরকার পরিবর্তনের পরে যেভাবে ভূত তাড়ানোর মত প্রশাসনের লোকজনদের তাড়ানো হচ্ছে ইংরেজরা উপমহাদেশ ছেড়ে চলে যাবার সময়ও সেভাবে ইংরেজদের ভূত তাড়ানো হয়নি। তবে যেকোন সরকারের পতনের পরেই দেশে এই প্রক্রিয়া শুরু হয়। এটা অনেকটা আশির দশকের সোভিয়েত সুব্বোৎনিকের মত, একবার এখানকার ময়লা ওখানে ফেলা, পরের বার সেই ময়লা আগের জায়গায় ফিরিয়ে আনা। বিশেষ করে শিক্ষকদের জোর করে পদত্যাগ করানো, ডাক্তারদের উপর হামলা এসব দেখে মনে হয় পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়নি, পরিবর্তন হয়েছে শুধু নাটের গুরুদের। এ নিয়ে কেউ কিছু বললে রেডিমেড উত্তর - ১৫ বছর সহ্য করলেন, আর দুই দিন পারবেন না। না, পারব না। সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে গেছিল বলেই তো মানুষ রাস্তায় নেমেছিল। তাছাড়া আজ যা মনে হচ্ছে বিচ্ছিন্ন ঘটনা সেটা যে সুপরিকল্পিত নয় সে ব্যাপারে কি আপনি নিশ্চিত? কথায় আছে একবার দুর্ঘটনা, দুইবার কাকতালীয়, তৃতীয়বার প্যাটার্ন। এখন সব কিছুর জন্য বিগত ১৫ বছরের দোষ দেন, কিন্তু ঘটনা এভাবে ঘটতে থাকলে কি বলবেন? ১৫ বছরে সবাই এতটাই পচে গেছে যে এরচেয়ে ভালো কোন শাসন ব্যবস্থা আর সম্ভব নয়। এজন্য দরকার সব কিছুর আমূল পরিবর্তন, আর তার শুরু হতে

পিরামিড

Image
নব্বইয়ের দশকে পশ্চিমা বিশ্বের অনেক কিছুর সাথে রাশিয়াতে আসে পিরামিড। সব হারিয়ে মানুষ সর্বশান্ত। তাই যখনই কেউ দুই পয়সা উপার্জনের লোভ দেখাত তখনই সবাই ছুটত তার পেছনে। এমনও হতে পারে পুঁজিবাদী ব্যবস্থা সম্পর্কে অজ্ঞ এসব কোম্পানির মালিকরাও বিশ্বাস করত সবাই এতে লাভবান হবে। এসব কোম্পানির একটি ছিল এমএমএম। মাভরোদি ভাইদের কোম্পানি। সেখানে বিজ্ঞাপন দিত লোনিয়া গালুবকভ নামে যে লোক তার লুক এতটাই নির্বোধ ছিল যে সবার মনে প্রশ্ন জাগত যদি ও পারে আমি কেন নয়। ফলে লোকজন দেদারসে ওদের বন্ড কিনত। সারাদিন কতবার যে টিভিতে ওদের বিজ্ঞাপন দেখাত! প্রথম দিকে যোগদানকারী লোকজন পরবর্তীতে যোগ দেয়া লোকদের টাকার বদৌলতে লাভবান হলেও শেষের দিকে লোকজন কিছু পেত না। এরপর শুরু হল আইনী প্রক্রিয়া। কত লোক যে সর্বশান্ত হল।   ভেবে দেখলাম রাজনৈতিক দলগুলোও একই প্রক্রিয়ায় চলে, যেমন চলে বিপ্লব। রাজনীতিতেও কিছু মানুষ রাজা উজির হয় জনতার শক্তির উপর ভর করে। এই জনতার কাঁধে চড়ে নেতারা হয় ক্ষমতা ও সম্পদের মালিক, জনগণ নিঃস্ব থেকে যায় বরাবরের মত। বিপ্লব ব্যতিক্রম নয়। এই তো দেখুন কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়কারীদের কেউ কেউ রাজা উজির