প্রশ্ন

দেশে সরকার পরিবর্তনের পরে যেভাবে ভূত তাড়ানোর মত প্রশাসনের লোকজনদের তাড়ানো হচ্ছে ইংরেজরা উপমহাদেশ ছেড়ে চলে যাবার সময়ও সেভাবে ইংরেজদের ভূত তাড়ানো হয়নি। তবে যেকোন সরকারের পতনের পরেই দেশে এই প্রক্রিয়া শুরু হয়। এটা অনেকটা আশির দশকের সোভিয়েত সুব্বোৎনিকের মত, একবার এখানকার ময়লা ওখানে ফেলা, পরের বার সেই ময়লা আগের জায়গায় ফিরিয়ে আনা। বিশেষ করে শিক্ষকদের জোর করে পদত্যাগ করানো, ডাক্তারদের উপর হামলা এসব দেখে মনে হয় পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়নি, পরিবর্তন হয়েছে শুধু নাটের গুরুদের। এ নিয়ে কেউ কিছু বললে রেডিমেড উত্তর - ১৫ বছর সহ্য করলেন, আর দুই দিন পারবেন না। না, পারব না। সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে গেছিল বলেই তো মানুষ রাস্তায় নেমেছিল। তাছাড়া আজ যা মনে হচ্ছে বিচ্ছিন্ন ঘটনা সেটা যে সুপরিকল্পিত নয় সে ব্যাপারে কি আপনি নিশ্চিত? কথায় আছে একবার দুর্ঘটনা, দুইবার কাকতালীয়, তৃতীয়বার প্যাটার্ন। এখন সব কিছুর জন্য বিগত ১৫ বছরের দোষ দেন, কিন্তু ঘটনা এভাবে ঘটতে থাকলে কি বলবেন? ১৫ বছরে সবাই এতটাই পচে গেছে যে এরচেয়ে ভালো কোন শাসন ব্যবস্থা আর সম্ভব নয়। এজন্য দরকার সব কিছুর আমূল পরিবর্তন, আর তার শুরু হতে হবে সংবিধান পরিবর্তন করে? এটাই কি এই বিপ্লবের নীল নকশা?

মস্কো, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

Comments

Popular posts from this blog

পরিমল

নেতা

শুভ নববর্ষ ১৪৩১