দায়বদ্ধতা

ফেসবুকের খবর বিশ্বাসযোগ্য হলে ঢাবির শিবির সভাপতি নিজের পরিচয় গোপন করে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সমন্বয়ক হয়েছিল। রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে কৌশলগত ভাবে ঠিক হলেও এটা ছিল মিথ্যাচার। 

অধ্যাপক আলী রীয়াজ সংবিধান সংশোধন কমিটির প্রধান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। তিনি একজন বাংলাদেশী আমেরিকান। ফেসবুকে কেউ কেউ লিখেছেন তিনি আমেরিকার নাগরিক। হয়তো বাংলাদেশের নাগরিকত্ব এখনও ধারণ করেন। যতদূর জানি আমেরিকার নাগরিকত্ব পাওয়ার সময় সেই দেশের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে শপথ নিতে হয়। সেক্ষেত্রে আমেরিকার নাগরিক হলে অধ্যাপক আলী রীয়াজ কোন দেশের প্রতি অনুগত থাকবেন? বিভিন্ন লেখায় ও বক্তব্যে তিনি দায়বদ্ধতার কথা বলেন। তিনি যদি আমেরিকান নাগরিক হন এবং একই সাথে বাংলাদেশের সংবিধান সংশোধন কমিটির প্রধান হন তাহলে বাই ডিফল্ট তিনি কোন একটি দেশের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করতে অপারগ হবেন। খেলাধূলার ক্ষেত্রে ভিনদেশী প্রশিক্ষক নিয়োগ আর দেশের সংবিধান সংশোধন বা রচনা এক জিনিস নয়। এমনকি তিনি নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করলেও তাঁর নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। সেক্ষেত্রে এটা কি দ্বিচারিতা নয়? তাহলে ঢাবির শিবির সভাপতির সাথে তাঁর পার্থক্য কোথায়?

মস্কো, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

Comments

Popular posts from this blog

পরিমল

নেতা

শুভ নববর্ষ ১৪৩১