Posts

Showing posts from June, 2025

স্বাবলম্বী

Image
একান্নবর্তী পরিবার ভিন্ন হওয়া সবসময়ই ট্র্যাজেডি, তারপরেও পরিবার ভেঙে যায়। ভাঙে ভবিষ্যত নিয়ে বিভিন্ন সদস্যের বিভিন্ন ধারণা থেকে। আগে অধিকাংশ মানুষ নিজ নিজ এলাকার বাইরে নিজেকে নিয়ে তেমন ভাবতে পারত না, ফলে ভিন্ন হওয়ার প্রক্রিয়া ছিল বেশ বেদনাদায়ক। এখন অধিকাংশ মানুষ কর্মক্ষেত্রে বিভিন্ন জায়গায় থাকে তাই ফর্মালি ভিন্ন হবার আগেই ভিন্ন হয়ে যায়। তারপরেও সম্পত্তি নিয়ে অনেক ক্ষেত্রেই বিতর্ক বা মনোমালিন্য হয়। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এমনকি নিজে উদ্যোগী হয়ে ভিন্ন হলেও যে পৈত্রিক ভিটা ছেড়ে চলে যায় সে নিজেকে বঞ্চিত মনে করে। দেশ ভাগের ক্ষেত্রেও মনে হয় এটাই ঘটে। ভারত বিভক্ত হয়েছিল ধর্মীয় কারণে। যারা পাকিস্তান চেয়েছিল তারা সব জেনেই দিল্লির মসনদ ত্যাগ করেছিল। কিন্তু যে স্বপ্ন নিয়ে নতুন দেশ গড়েছিল অধিকাংশ মানুষের কাছে সেই স্বপ্ন অধরাই থেকে গেছে। ফল স্বরূপ নিজেদের ব্যর্থতার জন্য সব দায় তারা চাপাতে চাইছে ভারতের ঘাড়ে। ভারতের মানুষ যে দুধে ভাতে আছে তাও না। সেখানেও নিজেদের ব্যর্থতার দায় আংশিক ভাবে চাপাচ্ছে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের উপর। মজার ব্যাপার হল স্বাধীনতার আগে বাংলাদেশের মানুষ নিজেদে...

তোতা ও হাঁস

Image
অনেক আগে একসময় আমার খুব থুথু ফেলার বদভ্যাস ছিল। একদিন গ্রামের হাটখোলায় বসে বসে তোতার চাটাই বানানো দেখছি আর থুথু ফেলছি। - বিজন, তোমার মুখ তো দেখি হাঁসের পাছার মত। হাঁস যেমন একটু পর পর হাগে তুমি ঠিক সেভাবেই থুথু ফেলে যাচ্ছ। তোতার ঐ কথা ছিল ধন্বন্তরী ওষুধের মত। এরপর থুথু ফেলতে গেলেই তোতার মুখ আর হংসের পশ্চাৎদেশ চোখের সামনে ভেসে উঠতে।ওতেই আমার থুথু ফেলা বন্ধ হয়ে যায়। নির্বাচন ও আওয়ামী নিষিদ্ধ প্রশ্নে প্রধান উপদেষ্টা দেখছি দুই দিন পর পর কথা বদলাচ্ছেন। তাই কেন যেন তোতার কথা আর হাঁসের পশ্চাৎদেশের কথা মনে পড়ল। উনিও হয়তোবা একই রোগের রুগী। মস্কো, ২৩ জুন ২০২৫

প্রশ্ন?

Image
ইরানের ভেতরে ইসরাইল যেভাবে নিজেদের নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে তাতে আবারও প্রমাণিত হয় সেখান সরকার বিরোধী শক্তি যথেষ্ট শক্তিশালী। ইরানের শাসনব্যবস্থা যে পরিবর্তিত হওয়া উচিত এ বিষয়ে সন্দেহের অবকাশ নেই। সেখানে সংস্কৃতি ও বিজ্ঞান চর্চা এগিয়ে গেলেও ধর্মীয় শাসন মানবাধিকারের সাথে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সাংঘর্ষিক। আধুনিক বিশ্বে সেটা গ্রহণযোগ্য নয়। কিন্তু কথা হল এই অবস্থা থেকে মু্ক্তির উপায় কি? ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় যে আমেরিকা ও পশ্চিমা বিশ্বের সহযোগিতায় মুক্তি আসে না, আসে পরাধীনতা। এদের হাতে ইরান ইসলামী শাসন থেকে মুক্তি পেলেও নব্য ঔপনিবেশিক শাসনের কবল থেকে রক্ষা পাবে কিনা সে প্রশ্ন থেকেই যাবে। আর মুক্তি যদি পায় তাহলে ইরান তার বর্তমান ভৌগলিক সীমারেখা রক্ষা করতে পারবে নাকি বহুজাতিক এই অঞ্চলে একাধিক নতুন দেশ জন্ম নেবে সেই প্রশ্ন এড়িয়ে যাওয়া যায় না। মহাবিশ্বে এন্ট্রোপি শুধু বাড়তেই পারে তাই কোন দেশে শৃঙ্খলা আনার চেষ্টা যে সার্বিক ভাবে বিশৃঙ্খলা বৃদ্ধি করবে না সে গ্যারান্টি কেউ দিতে পারবে না। আসলে ইরানের উপর আক্রমণ শুধু ইরানকে শিক্ষা দেবার জন্য নয় ইউনিপোলার বিশ্ব ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখা...

চরিত্র

Image
শীত প্রধান দেশ হওয়ায় রাশিয়ার অধিকাংশ স্থাপনায় দুটো করে দরোজা থাকে। ফলে স্থাপনায় ঢোকার সময় কেউ একজন আপনার জন্য দরোজা খুলে দিলে আপনি প্রায় সাথে সাথে দ্বিতীয় দোরোজায় তার ঋণ শোধ করতে পারেন। এটা আসসালামুয়ালাইকুম ও ওয়ালাইকুম সালামের ১০ ও ৫ ছোঁয়াবের কথা মনে করিয়ে দেয়। সোভিয়েত ইউনিয়ন ভাঙনের পরে একদল নেতাকর্মী সিপিবি থেকে বেরিয়ে যায়, আরেক দল নতুন করে পার্টি গুছিয়ে অন্যদের সংশোধনবাদী ট্যাগ দেয়। এখন সেই গোষ্ঠীর মূল নেতারা সিপিবি ভাঙন যজ্ঞে ঘি ঢালছে বলে খবরে প্রকাশ। রোল চেজ্ঞের পালা। রোলের বাংলা চরিত্র। চরিত্র বদল। ছোটবেলায় পড়েছিলাম সমাজতন্ত্র হল পুঁজিবাদকে বাইপাস করে সাম্যবাদে পৌঁছুনর পথ। এ নিয়ে রিগ্যান গরবাচভকে নাকি বলেছিলেন যে সমাজতন্ত্র হল পুঁজিবাদে পৌঁছুনর প্রচণ্ড কঠিন ও ঘোরা পথ। আমাদের অনেক কমরেডদের(?) লেখা পড়লে মনে হয় তারা সিপিবির সংকুল পথে বেয়ে মৌলবাদে উত্তীর্ণ হবার বৃথা চেষ্টা করছে। বৃথা - কারণ এরা কখনোই বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করতে পারবে না। আর বিশ্বাসীরা বিশ্বাস না করলে সেখানে অবস্থান জীবনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। দুবনা, ২০ জুন ২০২৫

গলা

Image
আমি কখনোই না সাদ্দাম হোসেনের, না মুয়াম্মার গাদ্দাফীর, না বাশার আল আসাদের, না শেখ হাসিনার - কারো ফ্যান ছিলাম না। বরং বিভিন্ন সময়ে শেখ হাসিনা তথা আওয়ামী লীগের সমালোচনা করেছি। অনেকেই ইরান আর ইসরাইলের যুদ্ধে ইরানের মোল্লাতন্ত্রের পতনের আভাস পেয়ে উচ্ছ্বসিত। আমি উল্টো ভীত। না, এ জন্যে নয় যে আমি এই মোলাতন্ত্রের সমর্থক। কিন্তু ঘরপোড়া গরু যেমন সিঁদুরে মেঘ দেখলে ভয় পায় আমারও সেই অবস্থা। সাদ্দামের পতনে অনেককেই খুশি হতে দেখেছি এক অত্যাচারী বিদায় নিল বলে। কিন্তু অত্যাচারীর সাথে সাথে কি অত্যাচার বিদায় নিয়েছে? নেয়নি। বরং ইসলামিক স্টেটের মত আরও ভয়ঙ্কর অত্যাচারী জন্ম নিয়েছে। গাদ্দাফীর বিদায়ে কি সেদেশের মানুষের অবস্থার এতটুকু উন্নতি ঘটেছে? মনে হয় না। বরং দেশটি আজ ধ্বংসের সম্মুখীন। একই অবস্থা সিরিয়ায়। আফগানিস্তানের কথা বাদই দিলাম। আমাদের দেশের দিকেই তাকালে কি দেখব? আবার সেই স্বৈরাচার। আগে ছিল এক জনের এখন একদল মানুষের। মবের স্বৈরাচার কিন্তু সর্বহারার একনায়কত্ব নয়। বর্তমানের শাসকদের দেশের প্রতি সামান্যতম মায়া আছে বলে মনে হয় না। এরা দেশের ইতিহাসের প্রতি নিজেদের দায়বদ্ধ বলে মনে করে না। যদি আগে তবুও দুই এক...

সন্ধি

Image
দেবতা আর দানবের মধ্যে সন্ধি হয় না। এমনকি দু'দল মিলে সমুদ্র মন্থন করে অমৃত আহরণ করলেও সেই অমৃতই হয় নতুন কলহের কারণ। সব সমস্যার মূলে তাই এক দলের নিজেদের দেবতা বলে ঘোষণা করে অন্যদের দৈত্য বলে ট্যাগ করা। ইউরোপ, আমেরিকা, ইসরাইল বা তাদের দোসররা যখন বেসামরিক লোক হত্যা করে সেটা হয় গণতন্ত্র দেবতার উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধাঞ্জলি কিন্তু ইরান, রাশিয়া, চীন বা অন্য কোন দেশ সেটা করলে তা হয় মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ, হয় দানবীয় কাজ। যতদিন না তথাকথিত সভ্য সমাজ অন্যদের সভ্যতাকে শ্রদ্ধা করার মত সভ্য হবে ততদিন সভ্যতার এই দ্বন্দ্ব চলতেই থাকবে আর আমরা একটু একটু করে পারমানবিক আর্মাগেডনের দিকে অগ্রসর হব। আর যদি তেমনটা ঘটে তবে তার সিংহভাগ দায় সভ্য বিশ্বের। একই কথা বলা চলে মানুষকে মানুষ হিসেবে না দেখে হিন্দু মুসলমান বৌদ্ধ খ্রিস্টান স্বৈরাচারী লালবদরি ট্যাগ দিয়ে সমাজকে বিভক্ত করলে। দুবনার পথে, ১৬ জুন ২০২৫

ঋণ

Image
আজ গেলাম তাগানস্কায়া। সেখানে কয়েক দিন আগে স্তালিনের প্রতিকৃতি স্থাপনের পর পরই যাব বলে ভেবেছিলাম। আজ মনিকার সাথে গেছিলাম ৎসারিৎসিনো মিউজিয়ামে। ফেরার পথে তাই তাগানস্কায়া হয়ে আসা। স্তালিন সম্পর্কে বিভিন্ন লোকের বিভিন্ন মতামত আছে। আমি তাঁর অন্ধ ভক্ত যেমন নই, তেমনি নই তাঁর অন্ধ শত্রু। আমার অভিজ্ঞতা বলে সোভিয়েত ইউনিয়নের বিশাল সংখ্যক মানুষের লেনিনের প্রতি অন্ধ ভক্তি আর স্তালিনের প্রতি অন্ধ ঘৃণা সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। কারণ এতে করে তারা লেনিনের ভুলগুলো যেমন দেখতে পায়নি তেমনি এড়িয়ে গেছে রাষ্ট্র গঠনে স্তালিনের গঠনমূলক কাজ। আজ ভিন্ন পরিস্থিতিতে বসে আমরা তাদের সম্পর্কে যাই ভাবি না কেন, শুধু রাশিয়া বা সোভিয়েত ইউনিয়ন নয়, বিশ্ব ইতিহাসে তাঁরা নিজেদের নাম খোদাই করে রেখে গেছেন। তাদের ভুলের সমালোচনা করার পাশাপাশি দেশ গঠনে সাফল্য ও কৃতিত্বের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েই আমরা উপযুক্ত উত্তরসূরী হতে পারব। এমনকি আমরা যদি তাদের আদর্শ ধারণ নাও করি শুধুমাত্র কালের পরিক্রমায় আমরা আমাদের বর্তমানের জন্য তাদের কাছে ঋণী। সব দেশেই, সব কালেই। মস্কো, ১৫ জুন ২০২৫

উপলব্ধি

Image
আজ সোভিয়েত ইউনিয়নের উপর এক বন্ধুর লেখা পড়ে কয়েকটি প্রশ্ন মাথায় এল।‌ শুধু মাত্র সোভিয়েত ইউনিয়ন নয় বিশ্বের বহু দেশই এভাবে হারিয়ে ফেলেছে তার পথ, তার স্বপ্ন। যে সমস্ত মানুষের ত্যাগ তিতিক্ষায় একটি দেশ অর্জিত হয় যে স্বপ্ন নিয়ে একটি নতুন দেশ জন্ম নেয় - তা প্রায়ই অধরা থেকে যায়। সোভিয়েত ইউনিয়নে অনেক কারণের একটি ছিল এক দলীয় শাসন। কিন্তু তাই যদি হয় তবে আমাদের দেশের মত বহু দলীয় শাসনের দেশে আমরা কেন একাত্তরের সব অর্জন হারিয়ে ফেললাম? সোভিয়েত ইউনিয়নের কমিউনিস্ট পার্টির ভেতরে বিভিন্ন স্রোত ছিল। সমাজতন্ত্র বা সাম্যবাদ কিভাবে গড়তে হবে এ নিয়ে ছিল বিভিন্ন মতামত। কিন্তু পার্টির ভেতরে গণতান্ত্রিক পরিবেশ না থাকায় ক্ষমতার রদবদল হত প্রাসাদ ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ও পার্টির ভেতরে নিজ নিজ ক্লান তৈরি করার মধ্য দিয়ে। যেহেতু সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হতেন প্রায় আজীবনের জন্য তাই অন্যান্য ক্লানের ফিরে আসার সম্ভাবনা ছিল না বললেই চলে। তাছাড়া বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বিরোধীদের নিষ্ক্রিয় করা হত। আমাদের দেশেও প্রায় একই ঘটনা ঘটে। ক্ষমতাসীন দল সর্বোতভাবে চায় বিরোধী দলকে ক্ষমতার বাইরে রাখতে। তাই তারা আই...

নতুন স্বাধীনতা

Image
তৃতীয় বিশ্বের দেশে দেশে সমাজতন্ত্রের আদর্শে বিশ্বাসী সংগঠন গড়ে তুলতে সোভিয়েত ইউনিয়ন বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করত। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর এসব সংগঠন সম্পূর্ণ ভাবে না হলেও সমাজ সেবায় উদ্বুদ্ধ কর্মীদের অনেকেই সরোস ফাউন্ডেশন, ইউএসএইড ও অন্যান্য পশ্চিমা সংগঠন থেকে সহযোগিতা লাভ করতে শুরু করে। বাহ্যিক ভাবে সোভিয়েত সমর্থন পুষ্ট সংগঠনের মত হলেও আদর্শের দিক থেকে এরা একেবারেই ভিন্ন। সোভিয়েত সমর্থন পুষ্ট সংগঠনগুলো সমাজতান্ত্রিক আদর্শের কথা প্রকাশ্যে বলত ও সেই লক্ষ্যে রাজনৈতিক ব্যবস্থার পরিবর্তনের জন্য সামাজিক কর্মকাণ্ড চালাত। কিন্তু পশ্চিমা সমর্থন পুষ্ট এনজিও নিজেদের আসল রাজনৈতিক উদ্দেশ্য মানবতা ও গণতন্ত্র ইত্যাদি মুখোসের আড়ালে লুকিয়ে রাখে আর দেশে দেশে নব্য উপনিবেশবাদ কায়েম করতে সমাজকে ভেতর থেকে অচল করে দিয়ে লাল নীল সবুজ ইত্যাদি বিভিন্ন রকমের বিপ্লব ঘটায়। আপাত দৃষ্টিতে এসব বিপ্লব দেশে গণতন্ত্র ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য হলেও বাস্তবে এর মধ্য দিয়ে দেশে দেশে এনার্কি বা অরাজকতা সৃষ্টি হয় যার সুযোগে পশ্চিমা দেশগুলো এসব দেশে নিজেদের পছন্দের সরকার ক্ষমতায় বসিয়ে এসব এলাকা...

বাল্য ব্যাধি

Image
২০১০ সালে বাংলাদেশ প্রবাসী পরিষদ রাশিয়া নামে আমরা এক সংগঠন প্রতিষ্ঠা করি। নির্দলীয় এই সামাজিক সংগঠনের মূল উদ্দেশ্য ছিল মস্কোস্থ বাংলাদেশীদের একটি প্ল্যাটফর্মে দাঁড়ানোর সুযোগ তৈরি করে দেয়া। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আমরা মস্কোর বিভিন্ন সংগঠনের লোকজনকে আমন্ত্রণ জানাতাম। তখনই প্রথম খেয়াল করলাম কে কখন বক্তব্য রাখবে সেটার উপর বক্তা ও তার সংগঠনের মর্যাদা নির্ভর করে। আরও যে বিষয়টি খুবই অবাক করত তা হল অনুষ্ঠান যে উদ্দেশ্যেই হোক না কেন তাতে দেশনেত্রী, জননেত্রী, জাতির পিতা, স্বাধীনতার ঘোষক সবাই এসব সংগঠনের বক্তাদের কল্যাণে অবলীলায় প্রবেশ করতেন। এটাকে আমার মনে হত বক্তাদের রাজনৈতিক প্রজ্ঞার ঘাটতি কারণ অপ্রাসঙ্গিক সব কিছুই সাধারণত হাসির উদ্রেক করে। এটা যে সমস্ত ব্যক্তিদের কথা বক্তব্যে এসেছে তাদের প্রতি অবজ্ঞা নয়, বক্তার পরিমিতিবোধ নিয়ে প্রশ্ন। আজকাল বাম প্রগতিশীল বলে পরিচিত অনেকেই ঈদের শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে জুলাই অভ্যুত্থানের প্রসঙ্গ টেনে আনছেন। এরা হয়তো বর্তমান রাজনৈতিক স্রোতে নিজেদের প্রাসঙ্গিক করার জন্য অপ্রাসঙ্গিক ভাবে এটা করছেন , তবে এটাকে আমার তাদের রাজনৈতিক দীনতা বলেই মনে হয়। এমনকি যদি এট...

আশা

Image
সফল ব্যবসায়ী প্রচুর জন্মায়, কিন্তু রতন টাটা লাখে দশ লাখে একজন। তাই কোন সফল ব্যবসায়ীর হাতে সমাজ সংস্কারের দায়িত্ব দিলে সেই লোক যে অভ্যাস বশত নিজের লাভ লোকসানের বিষয়টি সর্বাগ্রে দেখবে সেই সম্ভাবনাই বেশি। বিষয়টি ঐ লোকের অর্থনৈতিক অবস্থার উপর নির্ভর করে না। এটাই তার জীবন দর্শন - যেকোনো উপায়েই হোক লাভ করা। বিলিয়নিয়াররা অর্থাভাব থেকে অর্থ উপার্জন করে না, এটা তাদের জীবনের অংশ হয়ে যায়, উপার্জন না করলে তারা দিনটা মাটি হয়ে গেল বলে মনে করে। স্বার্থের সংঘাত বলে একটা ধারণা আছে। একজন করদাতা আর একজন কর আদায়কারীর স্বার্থ পরস্পর বিরোধী। এজন্যেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হিসেবে বিচারপতি নিয়োগ করা হয়। তাই ডঃ ইউনুসের কাছ থেকে নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা হস্তান্তরের আশা করা আর শেয়ালের কাছে মুরগি বর্গা দিয়ে তাকে অক্ষত অবস্থায় ফিরে পাবার আশা করা একই কথা। দুবনা, ০১ জুন ২০২৫