ঋণ

আজ গেলাম তাগানস্কায়া। সেখানে কয়েক দিন আগে স্তালিনের প্রতিকৃতি স্থাপনের পর পরই যাব বলে ভেবেছিলাম। আজ মনিকার সাথে গেছিলাম ৎসারিৎসিনো মিউজিয়ামে। ফেরার পথে তাই তাগানস্কায়া হয়ে আসা। স্তালিন সম্পর্কে বিভিন্ন লোকের বিভিন্ন মতামত আছে। আমি তাঁর অন্ধ ভক্ত যেমন নই, তেমনি নই তাঁর অন্ধ শত্রু। আমার অভিজ্ঞতা বলে সোভিয়েত ইউনিয়নের বিশাল সংখ্যক মানুষের লেনিনের প্রতি অন্ধ ভক্তি আর স্তালিনের প্রতি অন্ধ ঘৃণা সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। কারণ এতে করে তারা লেনিনের ভুলগুলো যেমন দেখতে পায়নি তেমনি এড়িয়ে গেছে রাষ্ট্র গঠনে স্তালিনের গঠনমূলক কাজ। আজ ভিন্ন পরিস্থিতিতে বসে আমরা তাদের সম্পর্কে যাই ভাবি না কেন, শুধু রাশিয়া বা সোভিয়েত ইউনিয়ন নয়, বিশ্ব ইতিহাসে তাঁরা নিজেদের নাম খোদাই করে রেখে গেছেন। তাদের ভুলের সমালোচনা করার পাশাপাশি দেশ গঠনে সাফল্য ও কৃতিত্বের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েই আমরা উপযুক্ত উত্তরসূরী হতে পারব। এমনকি আমরা যদি তাদের আদর্শ ধারণ নাও করি শুধুমাত্র কালের পরিক্রমায় আমরা আমাদের বর্তমানের জন্য তাদের কাছে ঋণী। সব দেশেই, সব কালেই।

মস্কো, ১৫ জুন ২০২৫

Comments

Popular posts from this blog

প্রশ্ন

সিপিবি কংগ্রেস

রিংকু