বাল্য ব্যাধি

২০১০ সালে বাংলাদেশ প্রবাসী পরিষদ রাশিয়া নামে আমরা এক সংগঠন প্রতিষ্ঠা করি। নির্দলীয় এই সামাজিক সংগঠনের মূল উদ্দেশ্য ছিল মস্কোস্থ বাংলাদেশীদের একটি প্ল্যাটফর্মে দাঁড়ানোর সুযোগ তৈরি করে দেয়া। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আমরা মস্কোর বিভিন্ন সংগঠনের লোকজনকে আমন্ত্রণ জানাতাম। তখনই প্রথম খেয়াল করলাম কে কখন বক্তব্য রাখবে সেটার উপর বক্তা ও তার সংগঠনের মর্যাদা নির্ভর করে। আরও যে বিষয়টি খুবই অবাক করত তা হল অনুষ্ঠান যে উদ্দেশ্যেই হোক না কেন তাতে দেশনেত্রী, জননেত্রী, জাতির পিতা, স্বাধীনতার ঘোষক সবাই এসব সংগঠনের বক্তাদের কল্যাণে অবলীলায় প্রবেশ করতেন। এটাকে আমার মনে হত বক্তাদের রাজনৈতিক প্রজ্ঞার ঘাটতি কারণ অপ্রাসঙ্গিক সব কিছুই সাধারণত হাসির উদ্রেক করে। এটা যে সমস্ত ব্যক্তিদের কথা বক্তব্যে এসেছে তাদের প্রতি অবজ্ঞা নয়, বক্তার পরিমিতিবোধ নিয়ে প্রশ্ন। আজকাল বাম প্রগতিশীল বলে পরিচিত অনেকেই ঈদের শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে জুলাই অভ্যুত্থানের প্রসঙ্গ টেনে আনছেন। এরা হয়তো বর্তমান রাজনৈতিক স্রোতে নিজেদের প্রাসঙ্গিক করার জন্য অপ্রাসঙ্গিক ভাবে এটা করছেন , তবে এটাকে আমার তাদের রাজনৈতিক দীনতা বলেই মনে হয়। এমনকি যদি এটা রাজনৈতিক কৌশল হয় তারপরও এটাকেই মনে হয় লেনিন বলেছিলেন কমিউনিজমের বামপন্থার বাল্য ব্যাধি।

মস্কোর পথে, ০৮ জুন ২০২৫

Comments

Popular posts from this blog

প্রশ্ন

সিপিবি কংগ্রেস

রিংকু