Posts

Showing posts from July, 2025

হুজুগ

Image
১৯৯৪ সালে যখন দুবনা আসি ধীরে ধীরে অনেক মানুষের সাথে পরিচয় হয়। এদের একজন ছিলেন আফানাসিয়েভ। আমার মত উনিও শুক্রবার মস্কো ফিরতেন। তাই প্রায় দুই বছর আমাদের অনেকটা পথ একসাথে চলা। বেশ হাসিখুশি ও রসিক। একদিন উনি আমাকে পেস্তভের সাথে আলাপ করিয়ে দিলেন। - এ সেই পেস্তভ যে কিনা তার ছাত্রীর সাথে প্রেম করেছিল। পেস্তভ খুব ভালো মানুষ। ভালো বিশেষজ্ঞ। এটা শুনে উনি লজ্জায় লাল হয়ে গেলে আফানাসিয়েভ বললেন - ভুল হয়ে গেছে। এ সেই পেস্তভ যে তার ছাত্রীর সাথে প্রেম করেনি। আসলে এখন যারা গণহারে মেটা বা ফেসবুককে নিজ তথ্য ব্যবহারের অধিকার দিচ্ছে বা দিচ্ছে না তারা আসলে মেটার প্রচার চালাচ্ছে। এখানে যেকোনো লেখা যখন ওনলি মি নয়, তা তৃতীয় পক্ষের, তা সে বন্ধু হোক আর পাবলিক হোক, জন্য উন্মুক্ত তা ব্যবহার করার অনুমতি ফেসবুক অটোমেটিক্যালি পেয়ে গেছে। আর ফেসবুকে একাউন্ট খোলার সময় চুক্তিতে স্বাক্ষর করে সবাই নিজের অধিকার সীমিত করেছি। হুজুগে কান না দিয়ে আগের মত ফেসবুকিং করে যান। তবে এটাও হতে পারে যে আমার মত এখানে কেউ সর্বহারা নয়, তাই হারানোর অনেক কিছু থাকতেই পারে। আমার হারানোর কিছু নেই, ফেসবুক যে নিজের কথা অন্যদের ...

কথোপকথন

Image
আমাদের দেশের সমস্যা সমাধানের কি কোন পথই নেই? পথ নেই তা বলব না, সব কিছুরই সম্ভাবনা থাকে - বেশি আর কম। আমাদের সেই সম্ভাবনাটা কি? নির্বাচন! নির্বাচন বর্তমান সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য সবচেয়ে যৌক্তিক ও প্রায় একমাত্র সমাধান, যদিও নির্বাচন দেবার সম্ভাবনা খুবই কম। কিন্তু সংস্কার না করে নির্বাচনে কি কোন লাভ হবে? আমাদের সমস্যা কিন্তু নির্বাচনের জন্য হয়নি, হয়েছে নির্বাচন না হবার জন্য। তার মানে বর্তমানের নির্বাচনী বিধির আওতায় নির্বাচন হলেও সমস্যা নেই? আমার মনে হয় উপদেষ্টা শব্দটির মধ্যেই যত সমস্যা। উপদেষ্টার ঠিক ততটা দায়বদ্ধতা নেই যতটা আছে এমনকি ভারপ্রাপ্ত সরকার প্রধান, তত্ত্বাবধায়ক সরকার বা ঐ জাতীয় কিছুর মধ্যে। বলা হয় সবার আগে ছিল শব্দ। তাই কি নামে কাউকে ডাকা হচ্ছে সেটাও গুরুত্বপূর্ণ। দেশকে বর্তমান পরিস্থিতি থেকে টেনে তুলতে হলে দরকার দায়বদ্ধতা সম্পন্ন পদ আর সেটা উপদেষ্টা নয়। উপদেশ নিঃসন্দেহে ভালো জিনিস, কিন্তু ইতিহাস বলে বাঙালি ও বাংলাদেশী মধ্যবিত্ত সাধারণত অন্যের ক্ষতি করার জন্য উপদেশ দেয়, অন্যের মাথায় কাঁঠাল ভেঙে খাওয়ার জন্য উপদেশ ফেরি করে বেড়ায়। নির্বাচিত সরকারই এদেশে জবাবদিহ...

লাভ ভার্সেস love

Image
লাভটাই যদি জীবনের অন্যতম প্রধান চালিকাশক্তি হয় তবে সে জীবনে আর যাই থাকুক অন্যের জন্য দরদ বা ভালোবাসা থাকে না। আজকাল রাজনীতিতে টাকার খেলা চলে, অনেকেই রাজনীতি ব্যবহার করে অর্থ উপার্জন করে, তবে এরাও রাজনীতিটাই প্রথমে রাখে, পরে ব্যবসা। রাজনীতি এদের জীবনে প্রথম প্রেম। কিন্তু আমাদের প্রধান উপদেষ্টা মনে হয় রাজনীতি ব্যবহার করছেন ব্যবসায়িক টুল হিসেবে, উপার্জনের একটি উপায় হিসেবে। শিক্ষক হিসেবে শুরু করলেও পরবর্তীতে ওনার সব কাজ প্রমাণ করে যে উনি জন্মগত ভাবে ব্যাংকার যার মূল উদ্দেশ্য লাভ করা। তাই ক্ষমতায় এসে প্রথমেই নিজেকে করমুক্ত বা সত্যিকার অর্থে দায়মুক্ত করেছেন। কারণ কাছে তার দায়? দেশের ও দেশের মানুষের কাছে। কিন্তু তিনি ও তারা আক্ষরিক অর্থেই আজ দায়মুক্ত। তার সরকারের বন্যার সময়ে ত্রাণ তহবিলে জমানো অর্থ উপযুক্ত খাতে ব্যয় করেনি বলে অভিযোগ আছে। এখন তিনি দেশবাসীর কাছে আবেদন জানিয়েছেন বিমান ধ্বংসের ফলে অগ্নিদগ্ধ মানুষের জন্য আর্থিক সাহায্যের। সাধারণ মানুষ ইতিমধ্যেই রক্ত দিয়ে সাধ্যমত নিজেদের দায়িত্ব পালন করেছে। বছরব্যাপী অরাজকতা ও মব সংস্কৃতির কারণে মানুষের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। এই মানুষ...

মনস্তত্ত্ব

Image
পাশের বাড়ির বাচ্চাকে কাঁদতে দেখে একটা লজেন্স হাতে ধরিয়ে দিলে হাজারটা কথা শুনতে হবে যদি না প্রতিবেশী কেউকেটা কেউ হয়। একই ঘটনা ঘটবে কাউকে কিছু না ভেবেই সাহায্য করলে। মানে একজনের ছোটখাটো কোন সমস্যা হল, কেউ সাতপাঁচ না ভেবে সাহায্য করল। আর যাবে কোথায়? এটাকে বলা হবে অন্যের ব্যাপারে নাক গলানো। যাদের সাহায্য করা হল তাদের প্রেস্টিজ হ্যাম্পার। অবশ্য সাহায্যকারী যদি যদু মধু না হয়ে এলাকার কোন ধনাঢ্য ব্যক্তি বা রাজনৈতিক নেতা হয় তাহলে অন্য কথা। এটা ফলাও করে প্রচার করা হবে সমাজে নিজেদের অবস্থান দেখাতে। অবশ্য হতেই পারে যে সাধারণ মানুষটি কোন দূরাভিসন্ধি ছাড়া একটু সাহায্য করেছিল আর কেউকেটা লোকজন ভাবছিল তার ভোট অথবা ভিটা বাগিয়ে নেবার কথা। এটা সবক্ষেত্রেই। তাই বিশ্বনন্দিত শান্তির ফেরিওয়ালা বা মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক যখন সাহায্যের নামে দেশের খোলনলচে বদলে দেয় সেটা আমরা সহজেই হজম করি। মেইড ইন ইউএসএ বলে কথা! দুবনা, ২১ জুলাই ২০২৫

রাব পিকনিক ২০২৫

Image
গতকাল ১৯ জুলাই ২০২৫ দীর্ঘ বিরতির পরে রাশিয়ায় অবস্থানরত বাংলাদেশী গ্র্যাজুয়েটদের সংগঠন রাবের উদ্যোগে খ্লেবনিকোভা রিসোর্টে এক পিকনিকের আয়োজন করা হয়। শতাধিক লোকের উপস্থিতিতে মুখরিত হয়ে ওঠে মস্কো নদীর তীর। ১৯৭৪ থেকে শুরু করে সদ্যজাত ভিপুস্কনিকদের অনেকেই সপরিবারে অংশগ্রহণ করে এই বন প্লাস নদী ভোজনে। একাধিক পরিবারের তিন প্রজন্মের (বাংলাদেশী গ্র্যাজুয়েট, তার সন্তান ও নাতি নাতনি) উপস্থিতি পিকনিককে আরও অর্থময় করে তোলে। অনেক দিন পরে বন্ধুদের সাথে সরাসরি মেলামেশা করার এই যে সুযোগ করে দেয় রাব সেটা সকলের প্রশংসা কুড়ায়। ফলে প্রায় রাত দশটায় সমাপনী অনুষ্ঠানে সবাই রাবকে শক্তিশালী ও প্রাণবন্ত করার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করে এবং রাবকে আরো গতিময় করার প্রতিশ্রুতি জানিয়ে সকাল ১১ থেকে রাত ১০ পর্যন্ত চলমান এই মনোজ্ঞ অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করে। মস্কো, ২০ জুলাই ২০২৫

ভুল

Image
মানুষ ভেবেছিল শেখ হাসিনা সহজে পড়বে না। ভুল ভেবেছিল। মানুষ ভেবেছিল রাজনৈতিক ভিত্তিহীন ইউনুস সরকার শক্ত হাতে দেশ চালাতে পারবে না। এত রক্ত মনে হয় এর আগে কোন আমলেই ঝরেনি। আর কত শক্ত হতে হবে হাত! মানুষ আবার ভুল করল। অনেকেই ভাবে সেনাবাহিনী দেশকে এই অরাজকতা থেকে রক্ষা করতে পারবে। গোপালগঞ্জ কি সেই বিশ্বাসে চিড় ধরায় না?শুনি দেশের ৩০ না ৪০ ভাগ মানুষ আওয়ামী সমর্থক। আরও ৩০ ভাগ বিএনপি। তাহলে কীভাবে কয়েক জন সমন্বয়ক দেশে এরকম তান্ডব লীলা চালায়? নাকি এখানেও মানুষ ভুল করছে? বাইরে বাইরে পরস্পরের বিরুদ্ধে কথা বললেও কেন যেন মনে হয় সেনাবাহিনী, মৌলবাদী শক্তি আর পশ্চিমা শক্তিগুলো স্বাধীন সার্বভৌম একাত্তরের বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ। এই সম্মিলিত শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করতে হলে বাকিদের নিজেদের মধ্যে ঐক্যমতে পৌঁছানোর কোন বিকল্প নেই। নাকি বাকিরাও ভেতরে ভেতরে বর্তমানে যা ঘটছে সেটা সমর্থন করে? কিছু দিন আগে বাংলাদেশকে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর জন্য সমাধান ভাবা হত। কিন্তু আজ সে অন্য দেশ তো বটেই নিজের জন্যেও বিশাল সমস্যা। আর এর নেপথ্যে রয়েছে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর দেশকে অপরাজনীতির পথে ঠেলে দেবার দীর্ঘ ইতিহা...

পর

Image
আশির দশকে আমাদের ছাত্রজীবনে অনেকেই গ্রীষ্মের ছুটিতে লন্ডন যেত ইন্ডিয়ান (সিলেটী) রেস্টুরেন্টে কাজ করে কিছু পয়সা কামানোর জন্য। আমার এক পরিচিত ছুটি নিয়ে প্রায় এক বছর ওখানে কাজ করে আর বেশ ভালো অংকের টাকা (পাউন্ড) নিয়ে মস্কো ফেরে। ফিরে সে তাদের ইনস্টিটিউটের এক বড় ভাইকে সেই টাকা ধার দেয়। শুনেছি সেই বড় ভাই তাকে অল্প অল্প করে টাকা ফেরত দিত আর দিত রুবলে। যেহেতু ইনফ্লাশন তখন সেই বিগ ব্যাং -এর ঠিক পরবর্তী অবস্থার মতই, তাই বলা চলে সে কোন টাকা আর ফেরত পায়নি। এজন্যেই মা বলতেন পুঁথিগত বিদ্যা আর পর হস্তে ধন নহে বিদ্যা নহে ধন হলে প্রয়োজন আমাদের দেশের অবস্থা এখন সেই বন্ধুর মত। আমেরিকা বা পশ্চিমা বিশ্বের কাছে নিজেদের স্বার্থ (দেশ) বন্ধক রেখে গণতন্ত্র লাভের স্বপ্নে বিভোর দেশের নেতারা কিছু দিন পরে যা পাবে তখন তাকে দেশ বা রাষ্ট্র বলা যাবে কি না সেটাই সন্দেহ। অনেকেই আশা করেছিল ট্রাম্পের আগমনে একটা হিল্লে হবে। কিন্তু এখানে তো ট্রাম্প বাইডেনের প্রশ্ন নয়, প্রশ্ন আমেরিকার স্বার্থের। এতে দেশের কি হল না হল তাতে তাদের কি এসে যায়? বেচারা জেলেনস্কি, এতো ভালো অভিনয় করেও আমাদের দেশের নেতাদের এই সহজ সত্যটা বোঝাতে স...

অফ লাইন

Image
আজ মানে ০৭ জুলাই ২০২৫ মস্কোর বাউমান ইউনিভার্সিটিতে শুরু হল দ্বিবার্ষিক সম্মেলন - ফিজিক্যাল ইন্টারপ্রিটেশন অফ রিলেটিভিটি থিওরি । আমি গত ২০২৩ সালে প্রথমবারের মত এতে অংশগ্রহণ করি। সেবার প্রফেসর বিভূদুত্য মিশ্র আর প্রফেসর সুনীল ত্রিপাঠীর সাথে আলাপ। বিভূ আসছে জানতাম। ভেবেছিলাম সুনীলের সাথেও দেখা হবে। ওরা দু'জনেই উড়িষ্যা থেকে। সকালে বাউমান ইউনিভার্সিটিতে গিয়ে বিভূর সাথে দেখা। আরও জনা দুয়েক ভারতীয় দেখে বুঝলাম ওর ছাত্র। এমন সময় হঠাৎ একজন এসেছে জিজ্ঞেস করলেন  - কেমন আছেন? বাংলায় কথা শুনে প্রচন্ড অবাক হলাম। - ভালো। কিন্তু আপনাকে তো চিনতে পারলাম না। - আমি রঞ্জন শর্মা। - ও, তাই বলুন। ফেসবুকে আলাপ। আমার ধারণা ছিল উনি সোভিয়েত ফেরৎ। ভুল ধারণা। উনি ইন্ডিয়ায় লেখাপড়া করেছেন। সাউথ আফ্রিকায় অনেক দিন কাজ করেছেন। দুই দেশেই আমাদের অনেক কমন পরিচিত। মাত্র কয়েক দিন আগেও আমার ফেসবুক স্ট্যাটাসে কমেন্ট করেছেন অথচ বলেননি যে মস্কো আসছেন। জানালেন আমরা লেখা প্রায়ই পড়েন আর ছবি দেখেন। রোগাপাতলা হবার এই এক সমস্যা - গর্বে বুকের ছাতি ফুলে ওঠে না। এখন শিলিগুড়ি আছেন। আরও দুজন প্রফেসরের সাথে আলাপ করিয়ে দিল...

প্রশ্ন

Image
দেশের ক্রান্তিকালে মানুষ রাজনৈতিক দল ও সেনাবাহিনীর দিকে তাকিয়ে থাকে। বাংলাদেশের সেনাবাহিনী ভিন দেশের শান্তি রক্ষার অজুহাতে নিজ দেশের মানুষকে অশান্তির আগুনে জ্বলতে দেখেও নিশ্চিন্তে বাঁশি বাজাচ্ছে। অন্যদিকে রাজনৈতিক দলগুলো ক্ষমতার স্বপ্নে বিভোর হয়ে দেখছে কীভাবে দেশটা ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে জয় নাকি মৌলবাদের কাছে পরাজয় ঠিক কোনটি দেশের জন্য মঙ্গলজনক সেই বিষয়ে নিশ্চিত না হতে পারা এখন তথাকথিত একাত্তরের পক্ষের অবশিষ্ট শক্তির প্রধান সমস্যা। কী সামরিক, কী রাজনৈতিক, কী বুদ্ধিবৃত্তিক - সব সেক্টরে এমন নপুংশক, দিশেহারা ও অদক্ষ নেতৃত্ব বাঙালি জাতির জীবনে কখনো এসেছে বলে মনে হয় না। জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে সুবর্ণ সুযোগ এরা পেয়েছিল মবের কাছে সেই সুযোগ হারিয়ে ফেলার নজির বিশ্বের কোথাও আছে কি? দুবনা, ০৫ জুলাই ২০২৫

স্বার্থ

Image
রাশিয়ার আফগানিস্তানের তালিবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়া ও ভিয়েতনামের আমেরিকার পণ্যের উপর শুল্ক উঠিয়ে নেয়া সম্পর্কে কিছু স্ট্যাটাস দেখলাম। হ্যাঁ, মস্কোর আফগান দূতাবাসে আগের তিনরঙা পতাকার পরিবর্তে নতুন পতাকা উড়ানো হয়েছে। এ নিয়ে বিভিন্ন কথা হবে। তবে আমার মনে হয় বিভিন্ন দেশ যদি অন্যান্য দেশের গ্রাউন্ড রিয়ালিটি বিবেচনায় নিয়ে কাজ করে তাহলে পৃথিবীর অনেক সমস্যারই সমাধান হয়। গ্রাউন্ড রিয়ালিটি একেক দেশে একেক রকম, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সেটা স্থানীয় জনগণের দ্বারা সমর্থিত। অন্য দেশ সেটা না মানলে একটাই উপায় থাকে - সরকার পরিবর্তন। কিন্তু প্রায়ই সেটা হয় রক্তক্ষয়ী। অন্যদিকে সেই সরকারকে স্বীকৃতি না দিলে কূটনৈতিক কাজকর্ম চলে না, তাতে আর যাই হোক সে দেশের সাধারণ মানুষের কোন লাভ হয় না। কুটনীতিও চাপ সৃষ্টি করার একটি মাধ্যম। কিন্তু কথাই যদি না বলি কথা শুনাব কীভাবে? তালিবানের কাজকর্ম সমর্থনযোগ্য নয়, কিন্তু তার সংশোধনের জন্য হলেও যোগাযোগ দরকার। এই স্বীকৃতি আফগান জনগণের জন্য কোন উপকার বয়ে আনবে কিনা সেটা বলা কষ্ট, তবে চেষ্টা তো করা যাবে। হামাজকে স্বীকৃতি দিয়েছিল বলেই রাশিয়া সেখান থেকে নিজেদের লোকদের বের করে আনতে পেরেছে, ...

ক্ষমতা

Image
গতকাল "তৃতীয় শক্তির জন্য জায়গা খালি" নামে আনোয়ার ভাইয়ের (সাবেক ছাত্র নেতা আনোয়ারুল হক) একটি লেখা পড়লাম। তিনি সেখানে যথার্থ ভাবেই বৃহত্তর বাম ঐক্যের জন্য ডাক দিয়েছেন। সেই লেখা পড়ে আমার প্রতিক্রিয়া এরকম ঘর ভাঙে যখন ঘরের মানুষের মধ্যে বোঝাপড়া থাকে না। দলও একই কারণে ভাঙে। যেখানে এক দলের মানুষই নিজেদের মধ্যে ঐক্যমতে পৌঁছাতে পারছে না সেখানে বিভিন্ন দলের লোক পারবে কিভাবে? হ্যাঁ, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এক হয়েছিল কারণ শেখ হাসিনাকে সবাই শত্রু মনে করত। আর শত্রুর শত্রু বন্ধু এ তত্ত্ব তো বাজারে নতুন নয়। তাই এক্ষেত্রে এমনকি শয়তানের সাথেও আঁতাত করা যায়, করে। এটা রাজনীতিতে যেমন সত্য, তেমনি সত্য সমাজে। মানে শত্রুকে যেকোনো ভাবে পরাজিত করা জায়েজ। শত্রু নিশ্চিহ্ন করার জন্য, সেখানে পাবার কিছু নেই। কিন্তু যখন গড়ার প্রশ্ন আসে তখন সামনে কোন না কোন লক্ষ্য থাকে। লক্ষ্য কোন বিমূর্ত বিষয় নয়। এখানে থাকে ক্ষমতা ও সম্পদের হাতছানি। তখন কোন পথে এই লক্ষ্য অর্জন করব, কে এর নেতৃত্ব দেবে ইত্যাদি প্রশ্ন সামনে চলে আসে। তাই অবজেক্টিভ রিজন ও রিয়ালিটি থাকা সত্ত্বেও বাম ঐক্য অধরাই থেকে গেছে। তাছাড়া এই ঐক্যের জন্...

কয়লা

Image
একটা কথা আছে - কয়লা ধুলে ময়লা যায় না। আমাদের তাই যত পরীক্ষা নিরীক্ষা, যত বিপ্লবের মধ্য দিয়েই নিয়ে যাওয়া হোক নে কেন - দিন শেষে আমরা বাংলাদেশিই থেকে যাই। শুধু নাম বদলায়, গালি বদলায়। আগে সরকারের সমালোচনা করলে বলত রাজাকার, এখন বলে স্বৈরাচারের দোসর। কিন্তু এসব বলে যে আসল সমস্যার সমাধান হয় না সেটা কেউ বোঝে না বা বুঝতে চায় না। কেউ যদি বলে আগেই ভালো ছিলাম তার অর্থ এই নয় যে সে স্বৈরাচারের সমর্থক। এর অর্থ এখন যারা ক্ষমতায় তারা মানুষের চাহিদা মেটাতে ব্যর্থ হচ্ছে। তাই মানুষকে ট্যাগ করে নয়, তাদের সমস্যা সমাধান, যে স্বপ্ন নিয়ে তারা অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণ করেছিল সেই স্বপ্ন পূরণে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের মধ্য দিয়েই শুধু জনগণের আস্থা অর্জন করা যায়। মনে রাখা দরকার উপদেষ্টা বা কিছু উচ্চাভিলাষী রাজনৈতিক নেতা কর্মীর ক্ষমতার খায়েস মেটানোর জন্য মানুষ রাস্তায় নামেনি, তারা রাস্তায় নেমেছিল নিজেদের জন্য ন্যায় বিচার ও আইনের শাসন নিশ্চিত করতে। আজকাল উন্নত বিশ্বে বসবাসরত ও নিজেদের উচ্চ শিক্ষিত বলে দাবিদার অনেককেই দেখি দেশে কাউকে জুতার মালা গলায় পরিয়ে ঘোরানো সহ বিভিন্ন বিচার বহির্ভূত কারকলাপের সাফাই গাইতে। কেউ অপর...