Talking to myself : 15 August: In our school days we used to take private coaching. That was not an exectional day and I was coming back home after taking English tutoria...
এবারের কোটা সংস্কার আন্দোলন কোন অবস্থাতেই মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী আন্দোলন ছিল না। এটা ছিল মুক্তিযুদ্ধের অর্জনকে দলীয় বলয় থেকে বের করে আনার আন্দোলন। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ হলেও সেটা করেছে দেশের সাধারণ জনগণ, এদেশের কৃষক, শ্রমিক, খেটে খাওয়া মানুষ। আর ফসল উঠেছে অন্যের ঘরে। স্বাধীনতার অর্জনের হিস্যা নিতেই ছাত্র জনতা মাঠে নেমেছিল। এই অবস্থায় রিসেট বাটনের বয়ান দেশের মানুষকে তাদের অধিকার থেকে আবারো বঞ্চিত করা, নতুন ব্যাঙ্ক খুলে জনগণকে নতুন করে নতুন স্বাধীনতার ক্ষুদ্র ঋণের জালে আটকানো। ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তের ও দুই লক্ষ মা বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে বাংলাদেশ তার চলার পথ ১৯৭১ সালেই সেট করেছে। এটা আর রিসেট করার অপেক্ষা রাখে না। জনগণের জন্য সত্যিই কিছু করতে চাইলে একাত্তরের প্রতি সম্মান জানিয়েই করতে হবে। ১৯৭১ জনগণের রায়। এটা জাতির সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফল। তাই নো ধানাই পানাই, নো রিসেটের ক্ষুদ্র ঋণ প্রকল্প। দুবনা, ০৪ অক্টোবর ২০২৪
অফিসে এসে ফেসবুক খুলতেই দেখলাম জয়নালের পোস্ট, পরিমল তুমি কোথায় গেলে? পরিমল ওদেসায় পড়াশুনা করেছে, পরে মস্কো ছিল, তারপর আমেরিকায়। ছাত্রজীবনে তেমন ঘনিষ্ঠতা ছিল বলে মনে পড়ে না। ২০১০ সালে প্রবাসী পরিষদ গঠন করলে কয়েক বার দেখা হয়েছে, তবে ও আমাদের সংগঠনের প্রতি তেমন আগ্রহ দেখায়নি। ফলে ঠিক বন্ধুত্ব গড়ে ওঠেনি। তবে আগে তেমন যোগাযোগ না থাকলেও ফেসবুকে নিয়মিত যোগাযোগ হত, আমার স্ট্যাটাসে নিয়মিত কমেন্ট করত। অনেক ক্ষেত্রে ভিন্ন মত পোষণ করলেও ফেসবুকের মাধ্যমেই এক ধরণের সখ্যতা গড়ে ওঠে। তারপর - বলা নেই কওয়া নেই - তারার খোঁজে বেরিয়ে পড়ল অন্ধকার আকাশে। আজ দু একজনের সাথে ওকে নিয়ে কথা হল। ওদের কাছেই শুনলাম ওর শারিরীক সমস্যা এখানে থাকতেই ছিল। যদিও যদি, কিন্তু এসব নিয়ে বাস্তবতা বর্ণনা করা যায় না, তারপরেও মনে হল কী হত যদি ও এখানে থাকত। এটা ঠিক অর্থনৈতিক সমস্যার কারণেই ও আমেরিকায় পাড়ি জমায়। তবে এখানে থাকলে বিনে পয়সায় চিকিৎসা পেত। আমেরিকায় পয়সা উপার্জন করলেও প্রায়ই মানুষ চিকিৎসার পেছনে অতি কষ্টে উপার্জিত অর্থ ব্যয় করতে চায় না। হয়তো পরিমলও করেনি। এটা একান্তই আমার কল্পনাপ্রসূত। হতে পারে যে ওর অসুস্থতা বোধই করেনি। ...
সোভিয়েত ইউনিয়নে পড়াশুনা করেছে এরকম অনেককেই বলতে শুনি তারা তো সোভিয়েত ইউনিয়নে লেখাপড়া করেছে সোভিয়েত সরকারের বৃত্তি নিয়ে তাই বর্তমান রাশিয়ার প্রতি তাদের কোন দায়বদ্ধতা নেই। এখানে দুটো বিষয় আমাকে ভাবায়। যেহেতু সুযোগ পেলেই এরা বলে দেশের টাকা তো জনগণের টাকা তাই সোভিয়েত সরকারের বৃত্তি মানে এ দেশের মানুষের কষ্টার্জিত অর্থে দেয়া সে বৃত্তি। সরকার বদলানোর সাথে সাথে কি দেশের জনগণ বদলে গেছে? জনগণ সেই জারের আমলে, সোভিয়েত আমলে বা বর্তমান রাশিয়ায় কমবেশি একই আছে। সব আমলেই অধিকাংশ মানুষ রাজাকেই ঈশ্বর জ্ঞানে পূজা করে, জার, জেনারেল সেক্রেটারি বা প্রেসিডেন্টের প্রতি আনুগত্যকে দেশের প্রতি আনুগত্য মনে করে। তাই তো এরা মহান পিতৃভূমির যুদ্ধের সময় বলত জারের জন্য, জন্মভূমির জন্য অথবা স্তালিনের জন্য জন্মভূমির জন্য এই লড়াই। তাই জনগণ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রাজের সমর্থক হলেও তারা আসলে দেশের জন্যই এসব করে। সাধারণ মানুষই বারবার দেশের বিপদে দেশের পাশে দাঁড়ায়, জীবন দিয়ে দেশ রক্ষা করে। তাই দিনের দেশে তথাকথিত এলিট শ্রেনী নয়, এই সাধারণ মানুষই দেশ। তাহলে কি এই জনগণের প্রতি এদের কোন দায়বদ্ধতা নেই? দ্বিত...
Comments
Post a Comment