Talking to myself : 15 August: In our school days we used to take private coaching. That was not an exectional day and I was coming back home after taking English tutoria...
সোভিয়েত ইউনিয়নে পড়াশুনা করেছে এরকম অনেককেই বলতে শুনি তারা তো সোভিয়েত ইউনিয়নে লেখাপড়া করেছে সোভিয়েত সরকারের বৃত্তি নিয়ে তাই বর্তমান রাশিয়ার প্রতি তাদের কোন দায়বদ্ধতা নেই। এখানে দুটো বিষয় আমাকে ভাবায়। যেহেতু সুযোগ পেলেই এরা বলে দেশের টাকা তো জনগণের টাকা তাই সোভিয়েত সরকারের বৃত্তি মানে এ দেশের মানুষের কষ্টার্জিত অর্থে দেয়া সে বৃত্তি। সরকার বদলানোর সাথে সাথে কি দেশের জনগণ বদলে গেছে? জনগণ সেই জারের আমলে, সোভিয়েত আমলে বা বর্তমান রাশিয়ায় কমবেশি একই আছে। সব আমলেই অধিকাংশ মানুষ রাজাকেই ঈশ্বর জ্ঞানে পূজা করে, জার, জেনারেল সেক্রেটারি বা প্রেসিডেন্টের প্রতি আনুগত্যকে দেশের প্রতি আনুগত্য মনে করে। তাই তো এরা মহান পিতৃভূমির যুদ্ধের সময় বলত জারের জন্য, জন্মভূমির জন্য অথবা স্তালিনের জন্য জন্মভূমির জন্য এই লড়াই। তাই জনগণ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রাজের সমর্থক হলেও তারা আসলে দেশের জন্যই এসব করে। সাধারণ মানুষই বারবার দেশের বিপদে দেশের পাশে দাঁড়ায়, জীবন দিয়ে দেশ রক্ষা করে। তাই দিনের দেশে তথাকথিত এলিট শ্রেনী নয়, এই সাধারণ মানুষই দেশ। তাহলে কি এই জনগণের প্রতি এদের কোন দায়বদ্ধতা নেই? দ্বিত...
সিপিবির কংগ্রেসে মঞ্জুরুল আহসান খান মঞ্জু ভাইকে দেখলাম। মস্কোয় পড়াশুনা করার সুবাদে সেই সময়ের সিপিবির অনেক কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে পরিচয় হয়, অনেকের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তাই এখনও সেই সময়ের নেতাদের রাজনৈতিক গতিবিধি সম্পর্কে খবর রাখার চেষ্টা করি। মঞ্জু ভাইয়ের বিগত কয়েক বছরের অনেক কাজ খুব ভালো ভাবে নিতে পারিনি। একজন ব্যক্তি হিসেবে তাঁর স্বাধীনতা আছে বিভিন্ন বিষয়ে নিজস্ব মত পোষণ করার। তবে যেহেতু তিনি ছিলেন অনেকের কাছেই পথপ্রদর্শক স্বরূপ, যেহেতু তাঁকে দেখে অনেকেই সিপিবির রাজনীতিতে যোগ দিয়েছে, তাই কিছু কিছু প্রশ্নে তাঁর ইউ-টার্ন অনেককে ব্যথিত করেছে। অনেক দিন পরে তাঁকে দেখে মনে হল সক্রিয় রাজনীতিতে ফিরে আসার মত শারীরিক অবস্থা ওনার নেই। যতদূর জানি তিনি পার্টি থেকে বহিষ্কৃত এবং সেটা সঙ্গত কারণেই। তবে তাঁর বয়স, অতীতে পার্টি ও জাতীয় রাজনীতিতে তাঁর অবদান এসব বিবেচনা করে পার্টি যদি এই কংগ্রেসে তাঁর সদস্য পদ পুনর্বহাল করে সেটা শুধু পার্টির জন্যই নয়, এর আগে বিভিন্ন কারণে পার্টি থেকে বহিষ্কৃত বা স্বেচ্ছায় বেরিয়ে যাওয়া অনেকের জন্যই হবে সবুজ সংকেত। এটা পার্টির ভাবমূর্তি উজ্জ্বল ক...
হঠাৎ হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে প্রশান্তর মেসেজ থেকে রিংকুর মৃত্যু সংবাদ জানলাম। গণ মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট ছাড়াও রিংকুর আরেকটি পরিচয় ও রাশেদের ভাই। এছাড়া ও দীর্ঘ দিন আমার আরেক পরিচিতা উড়িষ্যার জুলির সাথে একই কোম্পানিতে কাজ করেছে। এছাড়া বিভিন্ন সংগঠন তো আছেই। তাই আমার সাথে রিংকুর পরিচয় বহুমুখী যদিও দেখা বা কথা হত কালেভদ্রে। এ বছর ফেব্রুয়ারি মাসে গণ মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬৫ বছর পূর্তি উৎসবে দেশ থেকে অনেকেই যোগ দেয়। সেখানে আমাদের এক গেট টুগেদারে রিংকুর সাথে দেখা। তখন ও জানায় ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার কথা। এরপর দেখা হয় ২৬ এপ্রিল মস্কো সফররত সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহুল হোসেন প্রিন্সের সাথে এক আলোচনা সভায়। আমি রিংকুকে বলতে ভুলে গেছিলাম। রাত এগারোটার দিকে সানু ফোন করে জিজ্ঞেস করে রিংকুকে বলেছি কিনা। সাথে সাথে ওকে ফোন করি। পাইনি। ২৬ তারিখ সকালে ও ফোন করলে বিকেলের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানাই। ওখানেই আমাদের শেষ দেখা। গত ১৯ তারিখে বাংলাদেশের রাশান গ্র্যাজুয়েটদের পিকনিকে রাশেদের সাথে দেখা। রিংকুর কথা জিজ্ঞেস করলে জানাল ও হাসপাতালে। আজকাল ক্যান্সার আর আগের মত দূরারোগ্য ব্য...
Comments
Post a Comment