লেখক

এক বন্ধুর সাথে দেখা অনেক দিন পরে। গল্প গুজব, পরিচিত অপরিচিতদের হাড্ডি কচলানো (এটা না করলে নিজেদের মনে হয় বাঙালি মনে হয় না)। শেষে কথা উঠল ফেসবুকে আমার লেখালেখি নিয়ে।

তুমি ফেসবুকে এত লেখালেখি করে তা একটা বই লেখ না কেন?
তুমি উসপেনস্কির আঙ্কেল ফিওদর, কুকুর ও বিড়াল গল্পটি পড়েছ?
না। কি আছে সেখানে?
বাচ্চাদের বই। স্কুল পড়ুয়া ফিওদর, কুকুর শারিক আর বিড়াল মাত্রোসকিনের কাহিনী। একদিন কুকুরের খুব ইচ্ছে হল ক্যামেরা কেনার। ক্যামেরা কিনে খরগোশের ছবি তুলতে গিয়ে ওর পেছনে ঘন্টা দুয়েক দৌড়ে ব্যর্থ মনোরথ হয়ে ফিরে এলো সে। আসলে খরগোশ বুঝতেই পারেনি যে কুকুর তাকে ধরতে আসেনি, ছবি তুলতে এসেছে। ওকে মন খারাপ করতে দেখে বিড়াল বলে ভাগ্যিস খরগোশের ছবি তুলিসনি। নাহলে ছবি দেবার জন্য আরও কয়েক ঘণ্টা ওর পেছনে দৌড়াতে হতো। 
কিন্তু বইয়ের সাথে এর সম্পর্ক কি?
বই প্রকাশ করলে পাঠকদের দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হত বই বিক্রি করার জন্য। এত সময় পাঠকদের পেছনে ঘুরে কাটালে লিখব কখন?

মস্কো, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

Comments

Popular posts from this blog

২৪ জুনের দিনলিপি

প্রায়োরিটি

ছোট্ট সমস্যা