সার্বক্ষণিক
যখন দেশে ছিলাম তখন অনেককেই দেখতাম সার্বক্ষণিক রাজনীতি করতে। এদের বেশিরভাগই বামপন্থী। অনেকেই আশু বিপ্লবের স্বপ্নে বিভোর হয়ে বাড়িঘর, পরিবার পরিজন, স্ত্রী সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা বেমালুম ভুলে যেতেন। এ নিয়ে এসব সংসারে অশান্তি কম ছিল না। তবে সবার শান্তির জন্য অনেকেই ব্যক্তিজীবনে এই অশান্তিটুকু মেনে নিতেন। এখন একই ভাবে পশ্চিমা বিশ্বের নেতারা নিজ নিজ দেশের কৃষক, শ্রমিক, সাধারণ মানুষের সুখ শান্তির কথা ভুলে ইউক্রেনে গণতন্ত্র রক্ষায় ব্যস্ত যদিও বর্তমান ইউক্রেনের গণতন্ত্র আইয়ুব খানের গণতন্ত্রের চেয়ে কোন মতেই সরস নয়। বরং এই গণতন্ত্র ফ্যাসিবাদী অলঙ্কারে সজ্জিত। এই দু ধরণের লোকদের মধ্যে মিলটা এখানে যে তারা কেউই তারা কেউই বর্তমান পরিস্থিত মেনে নিতে পারছে না। দেশের সার্বক্ষণিক কর্মীরা সেটা বদলাতে চাইত, পশ্চিমা নেতারা সেটা প্রাণপণে ধরে রাখতে চায় নিজেদের শাসন ও শোষণের ভিতটা আরও বেশিদিন টিকিয়ে রাখার জন্য।
দুবনা, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
দুবনা, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
Comments
Post a Comment