খেলা খেলা সারা বেলা

যুদ্ধ তো নয় যেন কাজিনো বা পাশা খেলা চলছে। যুধিষ্ঠির যেমন দুর্যোধনের কাছে রাজ্য থেকে শুরু করে একে একে ভাইদের, এমনকি স্ত্রী দ্রৌপদীকে পর্যন্ত হারিয়েছিলেন ইউক্রেন সহ ইউরোপের অবস্থাও তাই। ন্যাটোর প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের মিটিংএ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে যেমন করেই হোক রাশিয়ার বিজয় রোধ করতে হবে। মূল যুক্তি - মরবে ইউক্রেনের মানুষ, ইউরোপ বা আমেরিকার নয়। এর চেয়ে আর কত স্পষ্ট করে বলতে হবে যে ওদের কাছে ইউক্রেনের মানুষ ইউরোপিয়ান নয়। ধীরে ধীরে ইউরোপ আমেরিকার সরকার হারাচ্ছে জন সমর্থন। আচ্ছা যে যুদ্ধের পেছনে জনগণের সমর্থন নেই, যে যুদ্ধের ফলে সেসব দেশে জনজীবন অতিষ্ঠ, তারপরেও এরা কীভাবে গনতাত্রিক, জন দরদী সরকার হয় আর জনগণের সমর্থন যাদের পেছনে আছে সেই সব সরকার হয় কর্তৃত্ববাদী, একনায়ক - তা সে পুতিন হোক, সি হোক, মোদী হোক আর হাসিনা হোক। আজ যুদ্ধ চালিয়ে যাবার জন্য ইউরোপের আর আমেরিকার জনগণকে জুজুর ভয় দেখানো হচ্ছে। ফিনল্যান্ড সহ অনেক দেশে বাঙ্কার তৈরির হিজিগ পড়ে গেছে শুনলাম। জনগণকে ভয়ের মধ্যে রেখে, ভয় দেখিয়ে কীভাবে গণতান্ত্রিক সরকার হওয়া যায় সেটাই আমার মাথায় ঢুকে না। নাকি বিশ্বের দেশে দেশে নতুন করে পাঠ্য পুস্তক লেখা হচ্ছে যেখানে বদলে যাচ্ছে ভাল মন্দের ধারণা, যুধিষ্ঠির আর দুর্যোধন পরস্পরের সাথে স্থান বদল করেছে, উল্টে গেছে পাশার ঘুটি।

দুবনা, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

Comments

Popular posts from this blog

২৪ জুনের দিনলিপি

প্রায়োরিটি

ছোট্ট সমস্যা