যোগ্যতা

পিছিয়ে পড়া বা জোর করে এতদিন পেছনে ফেলে রাখা জাতি বা গোষ্ঠীকে অবশ্যই উঠে আসার সুযোগ দিতে হবে কিন্তু একই সাথে যোগ্যতার বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে। কারণ তা না হলে একদিকে যেমন কোয়ালিটিকে কম্প্রোমাইজ করা হয় একই ভাবে অনেক যোগ্য প্রার্থীর প্রতি অবিচার করে তাদের কর্মবিমুখ করা হয়। এর উদাহরণ বিশ্বের দেশে দেশে ভুঁড়ি ভুঁড়ি।

শুনলাম আমেরিকায় এখন নিকি, কমলা আর মিশেলকে নিয়ে ভাবা হচ্ছে। আর এই ভাবনার পেছনে বড় কারণ তারা নারী। নারী বলে যেমন কাউকে অবহেলা করা উচিৎ নয়, তেমনি উচিৎ নয় নারী বলে কাউকে কনশেসন দেয়া বিশেষ করে আমেরিকার মত দেশের প্রেসিডেন্ট পদে। কারণ এটা পারমাণবিক শক্তিধর দেশ যার প্রেসিডেন্টের হাতে মানব সভ্যতার অস্তিত্ব অনেকটাই নির্ভর করে। আজ যদি নারী বলে কাউকে সামনে আনা হয় কাল বিএলএম, এলজিবিটি এসব ক্রাইটেরিয়া সামনে চলে আসতে পারে। যেকোন পদের জন্য প্রথম ও একমাত্র ক্রাইটেরিয়া হওয়া উচিৎ সেই দায়িত্ব পালনে তার পেশাগত যোগ্যতা। অন্যান্য বিষয়গুলো অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে, তবে সেগুলো যেন মূল না হয়।

বলতে পারেন আমেরিকার প্রেসিডেন্টের ব্যাপারে আমার এত মাথা ব্যাথা কেন? হত না যদি না তার হাতে পারমাণবিক বোমা নামে একটা ব্রহ্মাস্ত্র থাকত।

দুবনা, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

Comments

Popular posts from this blog

২৪ জুনের দিনলিপি

প্রায়োরিটি

ছোট্ট সমস্যা