Posts

Showing posts from July, 2024

লাল

Image
গতকাল ফেসবুক ভরে গেছিল লালে। এটা ছিল রাষ্ট্রীয় শোকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ - লাল শোক। তবে কালো শোক যে একেবারেই ছিল না তা নয়। তাই দেখে মনে হল লাল আর কালোয় লেগেছে আজ লড়াই আমিই সঠিক - করছে দু' জন বড়াই কালো শোক নিয়ে বলব না। অনেকেই বলেছে। তাই লাল নিয়ে কথা। সব লাল কি একই রকম লাল ছিল? ছোটবেলা থেকে শুনেছি "কালো আর ধলো বাহিরে কেবল ভিতরে সবারই সমান রাঙা"। কিন্তু যতই বড় হয়েছি তত বেশি করে টের পেয়েছি সব লাল সমান লাল নয়। হাসপাতালে না হলেও সমাজে রক্তের বর্ণ আছে, ধর্ম আছে আর এই রক্ত নিয়ে আছে মারামারি কাটাকাটি। গতকালের এই লালের ছিল বিভিন্ন শেড। কোনটা ছিল কোটা আন্দোলনে নিহতদের রক্তে রঞ্জিত, কোনটা ছিল অধরা বিপ্লবের রং যার ভেতর কাস্তে হাতুড়ী শোভা পাচ্ছিল, আবার কোনটা ছিল ভবিষ্যতে লাল সবুজের পরিবর্তে লাল পতাকার ডাক, সাথে নতুন জাতীয় সঙ্গীত। প্রতিটি লালের আছে নিজস্ব এজেন্ডা, নিজস্ব লক্ষ্য - কখনও কখনও সম্পূর্ণ বিপরীতমুখী। এখন সবাই জয়ের স্বপ্নে বিভোর। কিন্তু জয়ের পরে শুরু হবে নতুন লড়াই, আসল লড়াই, নির্দয় লড়াই, অস্তিত্বের লড়াই। সেই লড়াইয়ে আমরা প্রস্তুত তো? দুবনা, ৩১ জুলাই

জবাবদিহিতা

Image
আমাদের সমস্যা হল আমরা শুধু অন্যদের কাছে জবাবদিহিতা আশা করি। জবাবদিহি করতে হবে সবাইকে। সব রাজনৈতিক দলকে, তা সে সরকারি দল হোক আর বিরোধী দল হোক। কোন দল যদি নিজেকে গণতান্ত্রিক দল বলে মনে করে তাদের ভেতরে বাইরে যেমন গণতন্ত্রের চর্চা করতে হবে, কোন দল নিজেদের সমাজতন্ত্রী বা সাম্যবাদী দাবি করলে তাদেরও এমন ভাবে রণকৌশল ঠিক করতে হবে যাতে তাদের রাজনীতি দেশকে প্রতিক্রিয়াশীলদের হাতে তুলে না দেয়। রাজনৈতিক দলগুলোর মনে রাখা দরকার যে তাদের বাইরেও প্রচুর মানুষ এসব আদর্শ ধারণ করে। তাই তাদের অধিকার নেই রাজনীতির নামে হাজার হাজার মানুষের আদর্শ নিয়ে ছিনিমিনি খেলা। রাজনীতির জন্য রাজনীতি নয়, আদর্শের জন্য রাজনীতি - এই আদর্শ সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই। দুবনা, ২৯ জুলাই ২০২৪

তাল গাছ

Image
আইন কী? এটা কোন দেশে ন্যায় অন্যায় নির্ণয়ের বিধান। সব কিছুর মত ন্যায় অন্যায়ের ধারণা সমাজ ভেদে ভিন্ন। এখানে মূল কথা হল সমাজের সবার না হলেও বেশির ভাগ লোকের কনসেনসাস বা ঐক্যমত যা সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে সামাজিক রীতি বা আইনের রূপ নেয়। আমাদের সমস্যা হল জীবনের প্রায় সব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে এই মতৈক্যের অভাব। আমরা সবাই ন্যায় বিচার চাই তবে তার আগে তাল গাছ যে আমার সেই নিশ্চয়তাও চাই।  কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সবাই ন্যায় বিচার দাবি করছি। একদল দাবি করছি সরকারের পদত্যাগ তাদের সব দোষে দোষী সাব্যস্ত করে। আরেক দল সব দোষ বিরোধীদের ঘাড়ে চাপিয়ে ক্ষমতার ঘোড়ায় চেপে উন্নয়নেয় শেখরে পৌঁছুতে চাইছি। কিন্তু এত বড় একটা ঘটনায় যে সব পক্ষের বিভিন্ন মাত্রার ভূমিকা আছে সেটা বুঝতে চাইছি না রাজনৈতিক বিবেচনা থেকে আর এখানেই আমাদের ন্যায় বিচারের দাবিতে তাল গাছের মত কিছু অন্যায় আবদার ঢুকে যাচ্ছে বা ঢুকিয়ে দেয়া হচ্ছে। অথচ দেশের ভবিষ্যতের জন্য, যে তরুণ সমাজ কোটা সংস্কারের দাবিতে মাঠে নামল, জীবন পর্যন্ত বিসর্জন দিল সেই তরুণ সমাজ ও ভবিষ্যতের সকল প্রজন্মের স্বার্থে ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত ও আইনি

লক্ষ্য

Image
গাণিতিক লজিক খুব মজার জিনিস। অনেক সময় অসম্ভবও সম্ভব হবার সম্ভাবনা থাকে এখানে। যেমন কাউকে প্রশ্ন করা হল যে ঘর থেকে বেরুলেই সে ডাইনোসরের দেখা পাবে সেই সম্ভাবনা কতটুকু। যদিও সে ১০০% নিশ্চিত যে এমন ঘটনা জীবনেও ঘটবে না তার পরেও সে বলবে ৫০/৫০ - কারণ সে হয় ডাইনোসরের দেখা পাবে না হয় দেখা পাবে না। এভাবে জীবনের অনেক কিছুই দেখা যায়। যেমন জীবনের লক্ষ্য। কেউ ডাক্তার হতে চায়, কেউ ইঞ্জিনিয়ার বা অন্য কিছু। একসময় সেটাই হয়। এখন এদের জীবনের আল্টিমেট গোল বা লক্ষ্য হল এই ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হওয়া। আবার জীবনের আল্টিমেট গোল মরে যাওয়াও হতে পারে কারণ একদিন সবাই সেখানেই পৌঁছে। লীগ, বিএনপি, জামাত শিবির সবার লক্ষ্য ক্ষমতা। গণতন্ত্র, ধর্ম বা মানবাধিকার এসব ওটা অর্জনের ঘুম পাড়ানী গান। তবে দুই দলের পার্থক্য হল একদল চেতনা ধারণ করে যদিও আমি মনে করি তারা চেতনা বিক্রেতা, অন্যদল চেতনা বিরোধী, চেতনাকে সংক্রামক ব্যাধির মত ভয় পায়। তবে উভয় পক্ষই সমান ভাবে একটি ব্যাপারে সফল। তা হল মানুষের মধ্যে চেতনার প্রতি বিতৃষ্ণা জাগানো। বিশেষ করে যারা সত্যিকার অর্থেই বাহাত্তরের সংবিধানে বিশ্বাসী তারা আজ দ্বিধাবিভক্ত। কোটা আ

তুমি কে?

Image
এই প্রশ্ন আমার কাছে সব সময়ই আরও কিছু প্রশ্নের সাথে জড়িত ছিল, এখনও আছে  আমি কে? কেন জন্ম? কিসে বা কল্যাণ?  কোন ক্লাসে পড়েছিলাম মনে নেই। খুব সম্ভব স্বামী বিবেকানন্দের বাণী। এটা "নিজেকে জান" - সক্রেটিসের সেই অমর বাণীর আধুনিক রূপ। কিছু দিন আগে কোটা আন্দোলনের সময় "তুমি কে? আমি কে?" এই প্রশ্নের এক ব্যঙ্গাত্মক উত্তর মিলেছে "রাজাকার" শব্দে। এর বিপরীতে "বাঙালি" ফিরে এসেছে বাংলাদেশে।  ফেসবুকে কোটা আন্দোলন প্রশ্নে বন্ধুরা দ্বিধাবিভক্ত। কোটা সংস্কারের দাবিতে এবং সেই সমস্যার হ্যান্ডলিং নিয়ে সরকারের ব্যর্থতার ব্যাপারে একমত হলেও এর পেছনে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির যে মদদ রয়েছে এবং এরাই যে এখন কলকাঠি নাড়াচ্ছে সে ব্যাপারে সবাই একমত হতে পারেনি। অন্ধভাবে একদল হাসিনা সরকারকে দায়ী করছে, আরেক দল বিএনপি জামাত শিবিরকে। সত্যটা মনে হয় মাঝামাঝি। সরকারের ভুল বিরোধীরা নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করেছে। কিছু প্রশ্নের উত্তর যা এড়িয়ে যাওয়া যেত বা আবেগ বর্জিত ভাবে দেয়া যেত সেটা করার ব্যর্থতাই কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভোকেশন নাকি অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের ফল - তবে ফলাফল প্রম

আমরা

Image
বর্তমান সময়ে অধিকাংশ খারাপ কাজ করা হয় ভালো ভালো স্লোগানের আড়ালে। ঈশ্বরের নামে হাজার হাজার মানুষকে কচুকাটা করা হয়, গণতন্ত্র আর মানবতার নামে দেশের পর দেশ ধ্বংস করা হয়। তাই শ্রুতিমধুর ও আশা জাগানিয়া স্লোগানে ভোলার আগে আমাদের দেখা দরকার যারা স্লোগান দিচ্ছে তাদের পেছনে কারা, তাদের চেহারা চরিত্র কেমন, তাদের হাতে আন্দোলন হাইজ্যাক হয়ে গেলে কি হবে দেশের বা সমাজের। যেকোনো পরিবর্তন সব সময়ই রিস্কি। তবে রিস্ক নেবার আগে আমরা যদি বিচক্ষণতার সাথে সব দিক বিবেচনায় না নেই তাহলে সমূহ বিপদের সম্ভাবনা আছে। এটা আমাদের দুর্বলতা। কারণ আমরা বিচ্ছিন্ন। আমরা বড় জোর সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে স্লোগান দিতে পারি, এখানে সেখানে লিখে জনমত গঠন করতে পারি বা আমাদের সমর্থন দেখিয়ে আসল কুশীলবরা নিজেদের অন্যদের চোখে গ্রহণযোগ্য করে তুলতে পারে, কিন্তু আমাদের না আছে এসব আন্দোলনে নেতৃত্ব দেবার ক্ষমতা, না আছে আন্দোলনের লাগাম নিজদের হাতে ধরে রাখার শক্তি। আমাদের কোন কাজ যাতে হঠকারীদের কোন রকম সুযোগ তৈরি করে না দেয় সেটা ভেবে দেখার দায়িত্ব আমাদের নিজেদের। দিনের শেষ ফলাফলই নির্ধারণ করে আমরা কে, ইতিহাসের কোন দিকে। দুবনা, ২৩ জুলাই ২০২৪

অপ্রাসঙ্গিক?

Image
অনেকের কাছে অপ্রাসঙ্গিক মনে হতে পারে। তবে ছোট হয়ে আসা পৃথিবীতে আপাত বিচ্ছিন্ন অনেক ঘটনা আসলে তা নয়। পশ্চিমা বিশ্ব যখন ইউক্রেন ও রাশিয়ার উপর যুদ্ধ চাপিয়ে দেয় সেটা ইউক্রেনের প্রতি ভালোবাসা থেকে নয়, নিজেদের স্বার্থ উদ্ধার করতে। কারণ এতে শত্রু রাশিয়া দুর্বল হবে, দুই পক্ষেই রুশরা মরবে, নিজেদের যেসব পুরানো অস্ত্র অনেক অর্থ ব্যয় করে ধ্বংস করতে হত তা যুদ্ধে ব্যবহার করে উল্টো অর্থ লাভ হবে, নতুন অস্ত্র যুদ্ধক্ষেত্রে পরীক্ষা করা যাবে.…... আজ কোটা আন্দোলনকে শিখন্ডী করে জামায়াত-শিবির যা করার চেষ্টা করছে সেটা ইউক্রেন যুদ্ধের আঞ্চলিক রূপ। শুরুটা যেভাবেই হোক আন্দোলনের লাগাম চলে গেছে ওদের হাতে। সরকারের ভুল পদক্ষেপে সেটা নিয়েছে রক্তাক্ত রূপ। মারা যাচ্ছে মূলত একাত্তরের পক্ষের মানুষ তা সে যে পক্ষের হোক না কেন। এতে করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি (সরকারি, বিরোধী দুই শিবিরের) দুর্বল হচ্ছে, জামাত শিবির শক্তিশালী হয়ে নিজেদের লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের দেশপ্রেমিক শক্তি এখন সত্যিকার অর্থেই ক্রস রোডে। দাঁড়িয়ে থাকার সময় নেই, আবার প্রতিটি পদক্ষেপই বি

প্রশ্ন

Image
প্রাচীন কাল থেকেই লক্ষ্য অর্জনে মানুষ ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে কিছু না কিছু উৎসর্গ করত। এক সময়ে নরমেধ যজ্ঞ করা হত। পরে সেটা গোমেধ, অশ্বমেধ ইত্যাদি যজ্ঞে রূপান্তরিত হয়। এখন তো মানুষ পাঁঠা, মুরগি এমনকি কুমড়া পর্যন্ত বলি দেয়। এটা মনে হয় আধুনিকতার লক্ষণ।  তবে এই বাংলায় মানুষের রক্ত ছাড়া মনে হয় কোন লক্ষ্যই অর্জিত হয় না। পাকিস্তান আমলেই বাংলা ভাষা রাষ্ট্রীয় ভাষার মর্যাদা পায়, একাত্তরে দেশ স্বাধীন হয়, তিরাশিতে মজিদ খানের শিক্ষানীতি বাতিল হয়, ২০২৪ এ কোটা সংস্কার হয়। একাত্তর বাদে এ সবই হতে পারত আলোচনার ভিত্তিতে, কোন রক্তপাত ছাড়াই। কিন্তু রক্তের বন্যা ছাড়া কোন অন্যায় ধোয়া মনে হয় আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। অথবা কোন কিছুকে অন্যায় প্রমাণ করার জন্য হলেও রক্ত আমাদের ঝরাতেই হবে।  যে দেশে প্রায় শতভাগ মানুষ অনবরত টাকার পেছনে ছুটছে দিকবিদিক জ্ঞান শূন্য হয়ে সেখানে জীবন এত সস্তা কেন? মস্কো, ২১ জুলাই ২০২৪

কোটা সমস্যা

Image
কোটাকে কেন্দ্র করে চলমান আন্দোলনকে বিভিন্ন মহল থেকেই বিতর্কিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আর সেটা করা হচ্ছে সুপরিকল্পিত ভাবে। তবে অধিকাংশ সাধারণ ছাত্রছাত্রী না বুঝেই, অনেকটা আবেগের বশেই এই বিতর্কের শিকার হচ্ছে বলে আমার ধারণা। তাই ঢালাওভাবে তাদের দোষারোপ না করে আমাদের ভেবে দেখা উচিৎ কেন এরা আজ এই ধরণের শ্লোগান দিচ্ছে। একটা ন্যায্য দাবি নিয়ে তাদের আন্দোলন কীভাবে স্বাধীনতা বিরোধীদের হাতে চলে যাচ্ছে। ঘটনা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় আগেই সব পক্ষের কথা বার্তা বলার বিষয়ে সতর্ক হওয়া উচিৎ আর সাংবাদিকদের উত্তেজক প্রশ্ন করে আগুনে ঘি ঢালার আগে দশবার ভাবা উচিৎ। এটা জাতীয় সমস্যা ও সেই সমস্যার স্থায়ী সমাধান দরকার। সেটা সম্ভব সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সমন্বয়ে গঠিত কোন ক্ষমতাসম্পন্ন কমিশন গঠন করে যেখানে শিক্ষক, ছাত্রসমাজ, রাজনৈতিক দল, আইনজীবী ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শুরু করে বিভিন্ন পেশার মানুষ থাকতে পারে। চাকরি ক্ষেত্রে কোটা নিয়ে সমস্যা আজ সীমানা ছাড়িয়ে এক রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সমস্যায় পরিণত হয়েছে। সর্বোচ্চ গুরুত্ব সহকারেই তাই এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান আজ সময়ের দাবি। দুবনা, ১৬ জুলাই ২০২৪

দুঃস্বপ্ন

Image
দিনের ক্লান্তি শেষে ডোনাল্ড ট্রাম্প বসে বসে ঝিমুচ্ছেন। আধো ঘুম আধো জাগরণের মধ্যেই কানে ভেসে আসছে সমর্থকদের উল্লাস ধ্বনি। আবার কখনো আদালতের গুঞ্জন। এভাবে এক সময় তিনি ঘুমিয়ে পড়লেন। হঠাৎ আমেরিকার ভাগ্য বিধাতা তাঁর কাঁধে হাত রেখে বললেন - দেখ, আমি গণতন্ত্র রক্ষায় বদ্ধপরিকর। আমার এক সন্তান তোমাকে হত্যা করতে চাইছে। এটা তার গণতান্ত্রিক অধিকার। আমি না করতে পারি না। কিন্তু তুমিও তো আমার সন্তান, যদিও বখে যাওয়া। এমতাবস্থায় তোমাকে আমি কীভাবে সাহায্য করতে পারি? - আপনার যে সন্তান আপনার অন্য এক সন্তান মানে আমাকে হত্যা করতে চায় তাকে পুলিশে ধরিয়ে দিন। - সেটা আমি করতে পারব না কারণ তাতে তার গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব করা হব। তবে আমি তোমাকে দুটো অপশন দিতে পারি বেছে নেবার জন্য। শত হলেও গণতন্ত্র বলে কথা। তার মূলেই তো রয়েছে এই বেছে নেবার অপশন। - কি সেই অপশনগুলো আমাকে বলবেন কি? বেঁচে থাকা না মরে যাওয়া? সেখানেও কিন্তু দুটো অপশন। - না। তুমি লিংকনের মত মরতে চাও নাকি কেনেডির মত? মানে কার ভাগ্যে অনুসরণ করে তুমি আমেরিকার ইতিহাসে অমর হতে চাও? - আমি নিজের ভাগ্য অনুসরণ করেই আমেরিকার ইতিহাসে অমর হতে চাই। - তথ

দাঁড়ি কমা হীন

Image
মস্কোর মেট্রোয় বসে অনেক দিন পরে তোমাকে মনে পড়ল এমনিতেই কোন কারণ ছাড়াই  আমাকে অবাক করে তোমার মুখ উঁকি দিল মনের কোণে  আমাদের কখনোই কোন ভবিষ্যৎ ছিল না  না ভালো না মন্দ  আসলে তেমন কোন স্বপ্নও ছিল না  ছিল সুন্দর এক বর্তমান  যা অনেক আগেই গ্রাস করেছে অতীত  এটা অনেকটা ভিন্ন গন্তব্যের দিকে ধাবিত দুই পথিকের মত  যারা কিছুটা পথ গেছে একই বাসে  পাশাপাশি বসে  ভদ্রতার খাতিরে অথবা চলাটাকে সতেজ রাখতে বলেছে দু চারটি কথা  আর তারপর  নেমে গেছে যে যার স্টেশনে  ফেলে গেছে অতীতের স্মৃতি  স্মৃতি অনেকটাই রাস্তায় পড়ে থাকা কানা পয়সার মত  কেউ সযত্নে তুলে নিয়ে আবার হারিয়ে ফেলে  আবার কেউ সেটা তুলে নেবার কথা ভাবেই না কোনদিন  তবে বিগ ব্যাংয়ের স্মৃতি নিয়ে মহাবিশ্বের সব কিছু যেমন অন্তত কাল ধরে একে অন্যের থেকে দূরে সরে যায়  আমরাও তাই তাই তো মাঝে মাঝে তুমি ভেসে ওঠ মনের আয়নায় মস্কো, ০৭ জুলাই ২০২৪ দুবনা, ১৩ জুলাই ২০২৪

অমরত্ব

Image
বাংলাদেশে এখন এক নতুন রোগ মহামারীর আকার ধারণ করেছে। সে রোগের নাম শাহজাহান। সম্রাট শাহজাহান স্ত্রী মমতাজ বেগমের মৃত্যুর পরে তার স্মৃতিকে অবিস্মরণীয় করার জন্য তাজমহল তৈরি করেন। মমতাজের নামে হলেও অধিকাংশ মানুষ তাজমহলের নাম শুনলে শাহজাহানের কথাই প্রথমে মনে করে। এটা তাই নিজেকে অমর করার এক অভিনব কায়দা। শাহজাহান রোগাক্রান্ত বাংলাদেশের নব্য ধনীরা জীবিতাবস্থায় স্ত্রীদের নামে জাহাজ কিনছে, অট্টালিকা তৈরি করছে, ইউরোপ আমেরিকায় জমিদারি কিনছে। কে বলে বাঙালিরা ভালোবাসতে জানে না? ইতিহাসে না হলেও তারা ইতিমধ্যে ফেসবুক, হলুদ সংবাদপত্র ইত্যাদির পাতায় স্থান পেয়েছে। কেউ কেউ পুলিশের খাতায় নাম উঠিয়েছে। শুধু ভবিষ্যৎ বলতে পারবে ইতিহাসে তাদের নাম কতটুকু দীর্ঘস্থায়ী হবে। দুবাই, ১২ জুলাই ২০২৪