দুঃস্বপ্ন

দিনের ক্লান্তি শেষে ডোনাল্ড ট্রাম্প বসে বসে ঝিমুচ্ছেন। আধো ঘুম আধো জাগরণের মধ্যেই কানে ভেসে আসছে সমর্থকদের উল্লাস ধ্বনি। আবার কখনো আদালতের গুঞ্জন। এভাবে এক সময় তিনি ঘুমিয়ে পড়লেন। হঠাৎ আমেরিকার ভাগ্য বিধাতা তাঁর কাঁধে হাত রেখে বললেন

- দেখ, আমি গণতন্ত্র রক্ষায় বদ্ধপরিকর। আমার এক সন্তান তোমাকে হত্যা করতে চাইছে। এটা তার গণতান্ত্রিক অধিকার। আমি না করতে পারি না। কিন্তু তুমিও তো আমার সন্তান, যদিও বখে যাওয়া। এমতাবস্থায় তোমাকে আমি কীভাবে সাহায্য করতে পারি?
- আপনার যে সন্তান আপনার অন্য এক সন্তান মানে আমাকে হত্যা করতে চায় তাকে পুলিশে ধরিয়ে দিন।
- সেটা আমি করতে পারব না কারণ তাতে তার গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব করা হব। তবে আমি তোমাকে দুটো অপশন দিতে পারি বেছে নেবার জন্য। শত হলেও গণতন্ত্র বলে কথা। তার মূলেই তো রয়েছে এই বেছে নেবার অপশন।
- কি সেই অপশনগুলো আমাকে বলবেন কি? বেঁচে থাকা না মরে যাওয়া? সেখানেও কিন্তু দুটো অপশন।
- না। তুমি লিংকনের মত মরতে চাও নাকি কেনেডির মত? মানে কার ভাগ্যে অনুসরণ করে তুমি আমেরিকার ইতিহাসে অমর হতে চাও?
- আমি নিজের ভাগ্য অনুসরণ করেই আমেরিকার ইতিহাসে অমর হতে চাই।
- তথাস্তু। সেটা কিন্তু তোমাকে জীবনের গ্যারান্টি দেয় না। তবে এটাও তোমার বেছে নেবার গণতান্ত্রিক অধিকার।

পরের দিন এক জনসভায় বক্তৃতা দেবার সময় ট্রাম্প এসব ভাবছিলেন আর ঠিক তখনই একটি বুলেট তাঁর কানে মৃত্যুর জয়গান করতে করতে তীব্র গতিতে ছুটে চলে গেল।

দুবনা, ১৫ জুলাই ২০২৪

Comments

Popular posts from this blog

পরিমল

নেতা

শুভ নববর্ষ ১৪৩১