ট্রাম্পের শুল্ক

ট্রাম্পের শুল্ক নিয়ে বাজার গরম। শুল্ক আর পাল্টা শুল্কে এটা অনেকটা পারস্পরিক নিষেধাজ্ঞার রূপ নিয়েছে। সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের পর সোভিয়েত ইউনিয়নের উপর যখন সার্বিক নিষেধাজ্ঞা ছিল তখন এদেশ শিল্পে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়। বিগত কয়েক বছরে রাশিয়ার উপর যখন ২৩ হাজারের মত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয় তখন নব্বইয়ের দশকে ভেঙে পড়া তাদের শিল্প নিজের পায়ে দাঁড়ায়। এখন তাদের প্রবৃদ্ধি যেকোনো পশ্চিমা দেশের চেয়ে বেশি। লোকে বলে আমেরিকায় বিপ্লব না হবার অন্যতম প্রধান কারণ সেখানে আমেরিকার দূতাবাস নেই। আমেরিকা তো নিজের উপর নিজে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারে না তাই বিদেশি পণ্যের উপর চড়া শুল্ক আরোপ করে মূলতঃ সেটাই করছে। হিসেব মনে হয় যদি সে বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়া নিজেদের শিল্প ঘরে ফেরাতে পারে, নিজের লোকদের জন্য কর্মসংস্থান করতে পারে এবং এর মাধ্যমে রাশিয়ার মত দেশের শিল্প চাঙ্গা করতে পারে। যেন ডলার, রঙিন বিপ্লব আর অস্ত্রের বাইরেও বিভিন্ন জিনিস বাইরে রপ্তানি করা যায়। সত্য মিথ্যা জানি না, তবে চড়া শুল্ক আরোপের পেছনে এমন কারণ থাকলে অবাক হব না।

মস্কো, ০৭ এপ্রিল ২০২৫



Comments

Popular posts from this blog

প্রশ্ন

রিসেটের ক্ষুদ্র ঋণ

পরিমল