উপলব্ধি
কয়েক বছর আগে থেকে অনেকেই জানত ও বলত যে আওয়ামী লীগের ভেতরে জামাত শিবির ঢুকেছে। ফেসবুকের দেয়াল অন্তত সেটাই বলে। অন্যেরা বললেও আওয়ামী লীগ এতে খুব একটা পাত্তা দেয়নি অথবা ওরা লীগে এতটাই শক্তিশালী ছিল যে পাত্তা দিতে দেয়া হয়নি। ফলে বাংলা সাহিত্য, সংস্কৃতি ও সাম্প্রদায়িকতা প্রশ্নে আওয়ামী শাসনের শেষের দিকটা অনেকটা জামাত হেফাজতের শাসন বলেই মনে হয়।কিন্তু এরা যে পরোক্ষভাবে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের বাম প্রগতিশীল মানুষদের মধ্যেও ঢুকে গেছিল সেটা আমরা বুঝতে পারিনি আওয়ামী লীগের সমালোচনায় ব্যস্ত ছিলাম বলে। ফলে আমাদের কাঁধে বন্দুক রেখে তারা শুধু আওয়ামী লীগকেই ধ্বংস করেনি, একাত্তরের পক্ষের সবকিছু ধ্বংস করেছে, করছে। স্বাধীনতার পক্ষের সব শক্তির মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করে দেশটাকে আবারও একাত্তর পূর্ব অবস্থায় নিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু আমরা এখনও স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে বিজয়ের আনন্দে ভাসছি, সামনে অন্ধকারাচ্ছন্ন ভবিষ্যত দেখতে পাচ্ছি না। যখন প্রয়োজন ঐক্য তখন আমরা ব্যস্ত বিভাজনের কুচকাওয়াজ চালিয়ে যেতে।
দুবনা, ১৬ এপ্রিল ২০২৫
Comments
Post a Comment