মানুষের পৃথিবী

একসময় ধারণা ছিল শুধু মাত্র বিশ্বব্যাপী বিপ্লবের মধ্য দিয়েই শোষণমুক্ত সমাজ ব্যবস্থা কায়েম করা যাবে। অন্যথায় পুঁজিবাদী ও সামন্ত তান্ত্রিক ব্যবস্থা যাদের মূলে রয়েছে শোষণ তারা নতুন ব্যবস্থা টিকতে দেবে না। লেনিন অনেকটা পরীক্ষামূলক ভাবেই রুশ বিপ্লব করেন। একাত্তর বছর পরে তার পতন ঘটে। এর পেছনে পুঁজিবাদের হাত যেমন ছিল তেমনি ছিল সমাজতান্ত্রিক সমাজের অন্তর্নিহিত দুর্বলতা, সময়ের সাথে পরিবর্তিত হবার ক্ষেত্রে অনমনীয়তা। আজ বিশ্বে সবচেয়ে বেশি দরকার সহমর্মিতা, ন্যায় বিচার। সম্পদের সুষম বন্টন না হলেও কমবেশি ন্যায্য বন্টন ও আইনের সুষম প্রয়োগ। আর এসব সম্ভব যদি সহমর্মিতা, সমবেদনা এসব ক্ষেত্রে মানুষ সিলেকটিভ না হয়। যেকোনো মানুষের মৃত্যু, শিশুর মৃত্যু তা সে প্যালেস্টাইনের হোক, দনবাসের হোক, ইউরোপিয়ান, এশিয়ান, আফ্রিকান, ল্যাটিন বা ইসরাইলি হোক, হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খৃষ্টান, ইহুদি বা নাস্তিক যেই হোক, যদি সবার মন স্পর্শ করে, মানুষকে ব্যথিত করে। একমাত্র সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই - এই মন্ত্রে দীক্ষিত হলেই আমরা একদিন মানুষের পৃথিবী গড়ে তুলতে পারব।

দুবনা, ০৮ এপ্রিল ২০২৫

Comments

Popular posts from this blog

প্রশ্ন

রিসেটের ক্ষুদ্র ঋণ

পরিমল