জন্মদাগ

আমাদের ইনস্টিটিউটে রিয়্যাক্টর, কোলাইডার এসব আছে বলে সেই প্রতিষ্ঠার (১৯৫৬) সময় থেকেই সেখানে খুব কড়াকড়ি। এখন ঢোকার ও বেরুবার সময় আইডি কার্ড ও চেহারা মিলিয়ে তবে সয়ংক্রিয় দরোজা খুলে। আমি ইচ্ছে করেই এই দাড়ি রাখি তো এই গোঁফ। কিন্তু মেশিন ব্যাটা কেমনে কেমনে ঠিক বুঝে যায় এটা আমি। আজ পর্যন্ত জামাকাপড়, হেয়ারস্টাইল বা দাড়ি গোঁফের পরিবর্তন করে ওকে ঠকাতে পারিনি। তাই ধর্ম বা পোশাক নিয়ে যতই মাতামাতি করি না কেন আমাদের বাঙালিত্ব যে চেহারা চরিত্রে, চলনে বলনে প্রতিটি কোষের রন্ধ্রে রন্ধ্রে লেখা আছে সেটা কিছুতেই লুকানোর উপায় নেই। আর তাই যদি হয় তাহলে বাঙালিত্ব লুকানোর জন্য এত সময় নষ্ট করে কী লাভ? মনে রাখবেন আরবের বা পাকিস্তানের ওরা আমাদের বাঙালি বলেই ডাকে।‌ তাহলে কেন অযথা নিজের আর অন্যদের জীবন বিষিয়ে তোলা? কবে নিজের পরিচয়ে গর্ব বোধ করবে বাংলার মুসলমান?

মস্কো, ১৫ এপ্রিল ২০২৫

Comments

Popular posts from this blog

প্রশ্ন

সিপিবি কংগ্রেস

রিংকু