শেখ হাসিনা
যে যায় ক্ষমতায় সেই হয় শেখ হাসিনা। সহজে গদি ছাড়তে চায় না। এমনকি ডঃ ইউনুসও না। আচ্ছা যারা তাঁকে বিনা নির্বাচনে আরও ৪-৫ বছর ক্ষমতায় রাখতে চাইছে তাদের আন্দোলনটা কিসের জন্য ছিল - সুস্থ নিরপেক্ষ নির্বাচন নাকি ক্ষমতায় বসে নতুন শেখ হাসিনা সাজা। এ জন্যেই কি গণভবন লুট করে লোকজন শেখ হাসিনার জামা-কাপড় লুট করেছিল - যাতে দীর্ঘ দিন ক্ষমতায় বসে থাকার কায়দাটা ভালো করে রপ্ত করতে পারে? এখনও মনে আছে যখন আওয়ামী লীগের পরিচিত লোকজন প্রসঙ্গে অপ্রসঙ্গে শেখ হাসিনার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে উঠত, ওদের বলতাম তোমরাই শেখ হাসিনার পতনের পথ তৈরি করছ না কারণ তোমাদের কথায় বিশ্বাস করে তিনি বাস্তবতা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছেন। তাছাড়া মানুষ যদি সত্যি সত্যিই ডঃ ইউনুসকে চায়, তিনি তো ভোটে জিতেই ক্ষমতায় থেকে যেতে পারেন। তাহলে একদিকে যেমন তাঁর শত্রুদের মুখ বন্ধ হবে অন্যদিকে তেমনি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণে তাঁকে ছাত্রদের বা জামাত শিবিরের মুখাপেক্ষী হতে হবে না। সমস্যাটা ডঃ ইউনুসের দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকা নয়, সমস্যা সাংবিধানিক উপায়ে তাঁকে ক্ষমতায় রাখা। এমনকি কারচুপির নির্বাচনেও অন্য কারো জিতে যাবার ক্ষীণ সম্ভাবনা আছে, কিন্তু নির্বাচনই যদি না হয় তাহলে মানুষকে সেই ক্ষীণ সম্ভাবনা থেকেও বঞ্চিত করা হয়। সেটা করা হলে বলতে হয় উপদেষ্টা আসে উপদেষ্টা যায়, শেখ হাসিনা ঠিকই ক্ষমতায় বসে থাকেন। শেখ হাসিনা এখানে ব্যক্তি নয়, শেখ হাসিনা ক্ষমতালোভী এক ধারণা।
দুবনা, ০২ এপ্রিল ২০২৫
Comments
Post a Comment