Posts

Showing posts from December, 2025

প্রশ্ন

Image
বিভিন্ন পোস্টে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোকদের ভোটে অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানানো হচ্ছে। আচ্ছা, যদি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোকজন ভোট বয়কট করে তাহলে কি প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভোটার উপস্থিত না হওয়ায় নির্বাচন বাতিল বলে ঘোষিত হবে যেমন অনেক দেশে হয়? যদি না হয় তবে প্রাপ্ত হ্যাঁ ভোটের ভিত্তিতে কি সংবিধানের প্রস্তাবিত পরিবর্তনগুলো গৃহীত হবে? যদি হয় তাহলে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির উচিৎ হবে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে না ভোট দেয়া। তাতে তাদের সংবিধান পরিবর্তনের চক্রান্ত রুখে দেয়ার সুযোগ থাকবে। আর তাদের হয়ে কেউ ইচ্ছামত ভোট দিতে পারবে না, দিলে সেটা সংবাদ মাধ্যমে এনে নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা যাবে। অন্যদিকে বর্তমান সরকার নিজেই নির্বাচন বাতিল করতে আগ্রহী নিজের ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার জন্য। এমনকি আওয়ামী লীগ ছাড়াও যদি নির্বাচন হয় তাতে দেশের সাংবিধানিক ট্র্যাকে ফিরে আসার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাবে। মব শাসনের হাত থেকে জনগণের উদ্ধার পাওয়ার পথ তৈরি হবে। এই মুহূর্তে ভোট বাতিল বা বয়কটের ডাক রাজনৈতিক অদূরদর্শিতার পারিচায়ক বলেই মনে করি। অপশক্তিকে ওয়াক ওভার দেয়া মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির জন্...

সমস্যা

Image
বাংলাদেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দল ও নেতাদের অন্যতম প্রধান সমস্যা হল জনগণের পালস সঠিক ভাবে পড়তে না পারা। প্রগতিশীল ও বামপন্থীরা ধর্মকে মানব মুক্তির অন্যতম প্রধান বাধা মনে করে ধর্মের বিরোধিতা করে, ডানপন্থীরা ধর্মকে ক্ষমতায় উত্তরণের একমাত্র পথ ভেবে ধর্মকে প্রমোট করে। অথচ দেশের মানুষ চায় শান্তি, স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশ ও কাজের নিশ্চয়তা। শাহবাগ, নিরাপদ সড়ক বা চব্বিশের আন্দোলনে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ সেটাই প্রমাণ করে। যদি ধর্ম জনগণের রাজনৈতিক জীবনে এতটাই গুরুত্বপূর্ণ হত তাহলে জামায়াত বা হেফাজত নির্বাচন করেই ক্ষমতায় আসতে পারত। সেই বিবেচনায় শেখ হাসিনার হেফাজতকে তোষামোদ বা মদিনা সনদে বা তারেক জিয়ার নবীর পথে দেশ শাসনের ঘোষণা তাদের রাজনৈতিক অদূরদর্শিতার কথাই বলে। না হাসিনা না তারেক - কারোই আগ বাড়িয়ে ইসলাম প্রমোট করার প্রয়োজন ছিল না, কারণ এসব কথা দেশের অন্যান্য নাগরিকদের প্রতি তাদের দায়িত্বহীন মনোভাব প্রকাশ করে ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রতি তাদের অঙ্গীকার সম্পর্কে প্রশ্নের জন্ম দেয়। দুবনা, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫

শান্তি

Image
রাশিয়া ফিনল্যান্ড আক্রমণ করেছে। ঠিক রাশিয়ানরা নয়, রাশিয়ান নেকড়ে বাহিনী। ফিনরা বলছে পূব দিক মানে রাশিয়া থেকে নেকড়েরা দল বেঁধে গিয়ে নাকি সান্তা ক্লাউসের হরিণ খেয়ে ফেলছে। আচ্ছা, প্রকৃতি যখন তোমাদের বিরুদ্ধে তখন কোন আক্কেলে তোমরা রাশিয়ার সাথে লাগতে আস? কিছু দিন আগেও ফিনল্যান্ড ছিল নিরপেক্ষ দেশ। রুশ দেশ থেকে স্বল্প মূল্যে কাঁচামাল কিনে শিল্পে বানিজ্যে উন্নতি করে, দেশের মানুষকে স্বর্গ সুখে রাখে। এখন নিজেরাই সব সম্পর্ক ছিন্ন করে বেকার বাহিনীর জন্ম দিচ্ছে। প্রথম বিশ্বের অন্যতম ধনী দেশ। লোকজন শিক্ষিত। প্রচলিত অর্থে ধর্মীয় উন্মাদনা নেই। কিন্তু নিও লিবারেলিজমের ধর্মে দীক্ষিত এলিটরা আজ সমস্ত পৃথিবীকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যাচ্ছে। লিবারেল মানে তো উদারপন্থী যারা অন্যের মতামতকে সম্মান করতে জানে বা জানার কথা। এ কোন লিবারেল এখন বিশ্ব দাপিয়ে বেড়াচ্ছে যে কোন রকম ভিন্ন মত সহ্য পর্যন্ত করতে পারছে না? নিও লিবারেলিজম আধুনিক কালের মহা শান্তির ধর্ম। দুবনা, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫

অসুখ

Image
বাংলাদেশ অসুস্থ। এই অসুখের নাম কালেক্টিভ ম্যাডনেস বা সামষ্টিক পাগলামি। দিন দিন আরও বেশি লোক এতে আক্রান্ত হচ্ছে। যারা হচ্ছে না তারা ভয়ে নিজেদের চার দেয়ালের মধ্যে আটকে রাখছে, অর্থাৎ কোন ধরনের সমালোচনা, প্রতিবাদ বা প্রতিরোধ থেকে নিজেকে বিরত রাখছে। প্রতিষেধক এই ভ্যাকসিনের অনুপস্থিতিতে রোগ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। প্রতিটি মানুষ যাকে ধর্মীয়, মানসিক বা কোন না কোন ভাবে মূল স্রোতের অংশ বলে গণ্য করা হয় না, নিজেকে অনিরাপদ মনে করছে। আর এসবই হচ্ছে রাষ্ট্রীয় অনুমোদনে, তাদের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সহযোগিতায়। যারা ভাবছেন বাংলাদেশ কখনোই ইরান বা আফগানিস্তান হবে না, তারা ভেতর থেকে টের পাচ্ছেন না দেশ কবেই ইরান বা আফগানিস্তান হয়ে গেছে। সব কিছুর শুরু মবের মাধ্যমে ভিন্ন মতকে দমন করে, কারণ তাহলে কাউকে জবাবদিহি করতে হয় না। আমরা এখন যাকে বলে ইনকুবেশন পেরিওডে আছি। রোগের জীবাণু শুধু প্রবেশ করেনি, সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ছে, এমনকি কিছু কিছু ক্ষেত্রে রোগের চিহ্ন স্পষ্ট। কিন্তু কি এক অজ্ঞাত কারণে সেটা স্বীকার করার সৎ সাহস হারিয়ে ফেলেছে দেশ ও জাতি। মস্কো, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫

বাস্তবতা

Image
বাংলাদেশ জ্বলছে। কোথাও পুড়ছে সংবাদপত্র, কোথাও বাদ্যযন্ত্র আবার কোথাও বা হিন্দু শ্রমিক। যারা ভাবছেন এটা মতিউর রহমান বা মাহফুজ আনাম - তাদের বলব, এমনকি এই মব অপসংস্কৃতি উস্কে দেবার পরেও তাদের ঠ্যাঙানোয় আনন্দিত হবার কিছু নেই। কারণ সেখানে পুড়ছে আমার, আপনার বাকস্বাধীনতা। জাতীর জীবনে মৌণতার চেয়ে অপ্রিয় কথাও ভালো।‌ ছায়ানট পুড়ছে বলে যদি কেউ নিজেকে নিরাপদ ভাবেন তাদের মনে রাখা দরকার যে শুরুটা হয়েছিল বাউল দিয়ে। ছায়ানট শেষ নয়। একসময় ধান কাটতে কাটতে আপনার গাওয়া গানটিও রেহাই পাবে না। গান তো বটেই একদিন কথা বলারও অধিকার থাকবে না। যদি কেউ ভাবেন যাকে পুড়িয়ে হত্যা করা হল সে তো হিন্দু শ্রমিক। না, সেও একজন মানুষ। আপনি যদি মানুষ হন, তাহলে আপনিও নিরাপদ নন।  এসবই হচ্ছে সরকারের প্রচ্ছন্ন সমর্থনে। সব করা হচ্ছে নিজেদের ক্ষমতায় থাকাটাকে দীর্ঘায়িত করার জন্য। ইউক্রেনেও ঠিক এভাবেই ফ্যাসিবাদী শক্তি দেশ জুড়ে মবের শাসন কায়েম করেছিল। আজ জেলেনস্কি দেশবাসীর জীবন বিক্রি করে নিজের সম্পদ বৃদ্ধি করছে। যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে যাতে নির্বাচন দিতে না হয়। আমরাও কি সে পথেই হাঁটছি? ইউক্রেনের মত বাংলাদেশেও বিরোধী...

নিরপেক্ষতা

Image
আমরা প্রায়ই রাষ্ট্র ধর্মনিরপেক্ষ হবে কি না সে নিয়ে বিতর্ক করি। একদল চায় ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র, অন্যদল রাষ্ট্রকে টুপি দাড়ি বা গেরুয়া টিকি পরিয়ে ধার্মিক বানাতে চায়। রাষ্ট্র ধার্মিক হলে তা আনেকটা মসজিদ বা মন্দির হয়ে যায়, সেখানে ভিন্নধর্মী কারো প্রবেশাধিকার থাকে না। তখন এই লোকগুলো কী করবে? তাই সমস্ত নাগরিকের মৌলিক অধিকারের কথা চিন্তা করলে রাষ্ট্রের ধর্মনিরপেক্ষ হওয়াই বাঞ্ছনীয়। তবে রাষ্ট্রকে শুধু ধর্মনিরপেক্ষ হলেই চলবে না, তাকে সবার আগে দলনিরপেক্ষ হতে হবে। রাষ্ট্রের নিরপেক্ষতা মানে কারোও প্রতি পক্ষপাতিত্ব না করা। কিন্তু আমাদের দেশে সরকারি দলের কর্মীরা রাষ্ট্র থেকে বেশি সুযোগ সুবিধা পায় আর সেটাই প্রাথমিক ভাবে বৈষম্যের জন্ম দেয়। বিরোধী আসনে থাকার সময় প্রতিটি দলই চায় রাষ্ট্র যেন দলনিরপেক্ষ হয় যদিও ক্ষমতায় গেলে তা ভুলে যায়। তবে অনেক দল কোন অবস্থাতেই ধর্মনিরপেক্ষতা চায় না। আর যারা চায় না তারা কখনো নিরপেক্ষ নয়, তাদের মুখে ন্যায়ের বাণী আসলে প্রতারণা। দুবনা, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫

বিজয় দিবস ২০২৫

Image
আজ বিজয় দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনেই দীর্ঘ ২৪ বছরের সংগ্রাম সাফল্যের মুখ দেখেছিল লাখো মানুষের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে। তবে এই ২০২৫ এ জাতি বিজয় দিবস কতটুকু পালন করছে আর কতটুকু বিজয়ের অর্জন ধূলায় লুন্ঠিত হচ্ছে বিজিতদের হাতে সেটাই সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। বিজিতরা বরাবরই ঐক্যবদ্ধ প্রতিশোধের আশায়, বিজয়ীরা প্রথম থেকেই দ্বিধাবিভক্ত ভাগবাটোয়ারা নিয়ে। এমনকি এই বন্টনে ন্যায্য ভাগ পায়নি বলে যারা নিজেদের বঞ্চিত মনে করে তাদের অনেকেই আদর্শিক শত্রুর সাথে হাত মিলিয়েছে। অবস্থা অনেকটা বৌয়ের সাথে রাগ করে সব ভাত অন্য বাড়ির কুকুরকে দিয়ে খাওয়ানো আর কি!ফলাফল - ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্ত আর দুই লক্ষ মা বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা আজ প্রশ্নের সম্মুখীন। বিজয় আজ সুদূর অতীত। যে জাতির বুদ্ধিজীবী ও রাজনীতিবিদরা বিজয়ের মূল্যায়ন করতে পারে না বিজয়ের মালা তার কাছে গলার পাথর।‌ এই প্রেক্ষাপটে এবার বিজয়ের শুভেচ্ছা শুধু তাদের জন্য যারা দ্ব্যর্থহীন ভাবে বিজয়কে গ্রহণ করে ও ৭১ - ২৪ প্রশ্ন না তুলে একাত্তরের বিজয়কে রক্ষা করা নিজেদের দায়িত্ব মনে করে। দুবনা, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫

তেল

Image
যুক্তরাষ্ট্র ভেনেজুয়েলার তেল মেরেছে। আমার ধারণা ছিল তেল মারায় বাঙালিদের একচেটিয়া অধিকার। তাই ভাবতেই অবাক লাগছে যে ট্রাম্প মাডুরাকে তেল মারতে পারে!  প্রশ্ন এই তেলমারা কে কাকে শিখিয়েছে। বর্তমানে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকানদের মধ্যে দা কুমড়া সম্পর্ক দেখে মনে সেটা আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সাপে নেউলে সম্পর্কের মার্কিন ভার্সন। হান্টারকে ঘিরে বাইডেনের স্বজনপ্রীতি ও দূর্নীতি বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা মনে হয়। তাই তেলমারা যদি বাংলাদেশী অরিজিন হয় অবাক হবার কিছু থাকবে না।‌ তবে ট্রাম্প বাঙালি নন, তাই তেলের সাথে বোমা মারছেন দেদারসে। ছাব্বিশের নোবেলটা ফস্কে না গেলেই হয়!  দুবনার পথে, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫

কে?

Image
অষ্ট্রেলিয়ায় ইহুদি হত্যা নিয়ে বিভিন্ন লেখা দেখলাম। সন্দেহ নেই যে এটা সন্ত্রাসবাদী আক্রমণ ও জিহাদীদের কাজ। আক্রমণকারী বাবা ও ছেলে। তারা পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত।  নব্বইয়ের দশকে যখন রাশিয়ায় প্রায়ই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হত কিলারের পাশাপাশি আরেকটি শব্দ শোনা যেত - এই হত্যার কাস্টমার কে? কার আদেশে, কার অর্থায়নে বা অনুপ্রেরণায় এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে? বিশ্বব্যাপী আজ যে ইসলামিক জিহাদী আদর্শের বাম্পার ফলন তার পেছনে রাষ্ট্রীয় আশির্বাদ আছে। এবং এই রাষ্ট্রগুলোর নাম গোপন নয়। যদিও ইরান, আফগানিস্তান, পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়, উগ্র ইসলামিক আদর্শ বিস্তারে তুরস্ক, সৌদি আরব ও কাতারের ভূমিকা কম নয়। আন্তর্জাতিক কমিউনিটি যতদিন না উগ্র ইসলামিক আদর্শ প্রচারের জন্য অর্থায়ন বন্ধ করার জন্য এসব দেশের উপর চাপ সৃষ্টি করবে ততদিন এ ধরনের খুন ঘটতেই থাকবে। মস্কো, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস

Image
আজ ১৪ ডিসেম্বর, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। ১৯৭১ সালে নয় মাস ধরে পাকবাহিনী ও তাদের দোসররা দেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছে আর ১৪ ডিসেম্বর ছিল তার চূড়ান্ত পরিণতি। পাক শাসকরা জানত বাঙালি জাতির বিদ্রোহের মূলে রয়েছে তার শিক্ষিত জনগণ। মনে রাখতে হবে যে ভাষা আন্দোলন শুরুই হয়েছিল মূলতঃ ছাত্রদের হাত ধরে। তাই শিক্ষিত বাঙালির প্রতি তাদের ক্রোধ ছিল স্বাভাবিক। সাথে ছিল সংখ্যালঘু হিন্দু, আওয়ামী লীগ আর কমিউনিস্ট।‌ তবে ডিসেম্বরে যখন পরাজয় নিশ্চিত হয়ে যায় তখন মরণ কামড় হিসেবে তারা নতুন উদ্যমে বুদ্ধিজীবীদের উপর শেষ আঘাত হানে যাতে বাঙালি জাতি সহজে মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে। বর্তমান পরিস্থিতি দেখে মনে হয় ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর আসলে ছিল জামায়াত শিবিরের প্রতিশোধ নেবার প্রথম পদক্ষেপ। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের ইতিহাস বাঙালি ভুলে গেলেও পরাজয়ের ইতিহাস ওরা ভুলেনি। ওরা বিজয়ের উৎসব শুরু করেছে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি মুছে দেবার মধ্য দিয়ে, যদি এখনই বাঙালি এর বিরুদ্ধে রুখে না দাঁড়ায় তাহলে এর শেষ হবে বাঙালি জাতির ধ্বংসের মধ্যে দিয়ে। ওরা দৈহিক ভাবে আমাদের ধ্বংস করবে না, করবে সাংস্কৃতিক ভাবে। ভেবে দেখুন তো য...

জন্ম মৃত্যু

Image
গত কয়েকদিন থেকেই ফেসবুকে বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যু নিয়ে নানা ধরনের গুজব ছড়িয়ে পড়েছে। তিনি কি সত্যিই মারা গেছেন? তিনি কি বেঁচে আছেন? নাকি নির্বাচন ভন্ডুল করার জন্য এক নোংরা খেলায় নেমেছে ইউনূস গং। সাধারণ মানুষ তো বটেই দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যক্তিদের মৃত্যুও কি গ্রামীণ ব্যাংকের লকারে তুলে রাখা হয়েছে? অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে যদি বেগম জিয়া নিজে জনসমক্ষে এসে জীবিত থাকার প্রমাণ দিতে ব্যর্থ হন তবে যে দিনই সরকারি ভাবে বলা হোক না কেন তাঁর মৃত্যু দিবস নিয়ে সন্দেহ বা জল্পনা থেকে যাবে। অনেক আগে ফেসবুকেই তার জন্মদিন নিয়েও বিভিন্ন জল্পনা কল্পনা হয়েছে। ১৫ আগস্ট তিনি জন্মদিন পালন করলেও অনেকের ধারণা সেটা শেখ মুজিবের মৃত্যু দিবসকে কলঙ্কিত করার জন্যই। পাসপোর্ট ও সার্টিফিকেট অনুযায়ী তাঁর জন্মদিন একাধিক। এভাবেই আধুনিক বাংলাদেশের অন্যতম প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হওয়া সত্ত্বেও বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিন ও মৃত্যু দিবস নিয়ে বিতর্ক থেকে যেতে পারে যদি সরকার রাজনৈতিক লাভ লোকসানের হিসেব করে জন্ম মৃত্যুর দায়দায়িত্ব নিজের হাতে তুলে নেয়। দুবনা, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫