যুদ্ধ নেশা
গতকাল সারা দিন কেটেছে প্রচন্ড ব্যস্ততায়। দুবনার পথে রওনা দেবার আগে খবরে লাভরভের কড়া বার্তা শুনে টের পেলাম রাতে প্রেসিডেন্ট পুতিনের অনেকগুলো আবাসের একটিতে ইউক্রেন আক্রমণ করেছে। ৯১ টি আক্রমণকারী ড্রোনের সবগুলো ভূপাতিত করা হয়। রাত প্রায় একটায় দুবনা ফিরে বিস্তারিত জানলাম। এ ধরণের আক্রমণ সাধারণত এমআই-৬ এর কাজ যদিও ইউক্রেনের হাত দিয়ে। যদিও নিজের ক্রিস্টমাস বার্তায় জেলেনস্কি মাত্র একজন লোকের মৃত্যু কামনা করেছে, আক্রমণ ব্যর্থ হবার পর সে তার বা ইউক্রেনের যোগসাজশ অস্বীকার করছে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন দেশের নেতারা এই আক্রমণের নিন্দা করেছেন। সেদিক থেকে ইউক্রেন ও তার ইউরোপীয় সঙ্গীরা আরও বেশি একঘরে হয়ে গেছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই আক্রমণে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন, কারণ এটা কার্যত তাঁর শান্তি প্রচেষ্টা ভন্ডুল করছে। রাশিয়ার বিভিন্ন মহল থেকে যুদ্ধের বেগ বাড়ানোর দাবী উঠেছে, দাবী উঠেছে ইউক্রেনে পাল্টা আঘাত হানার। তবে অনেকের ধারণা ইউরোপ এটাই চায়। রাশিয়া বেসামরিক স্থাপনায় আক্রমণ করলে ইউরোপ সেখানে আরও বেশি অস্ত্র পাঠানোর অজুহাত খুঁজে পাবে। তবে এই আক্রমণ যে রাশিয়ার অবস্থান আরও কঠোর করবে সেটা বলাই বাহুল্য। ইউক্রেন ও তার ইউরোপীয় মিত্ররা চেষ্টা করেছিল ট্রাম্পের দেয়া প্রস্তাব কাটছাঁট করতে। এবার রাশিয়া যদি দনবাসের পাশাপাশি শুধু জাপারোঝিয়া ও হেরসন নয়, আরও কিছু এলাকা যোগ করে তাতে অবাক হবার কিছু থাকবে না। যেখানে একবার রুশ সেনার পা পড়ে সেটাই রাশিয়া - এই দাবী যোগ করার পক্ষে অনেকেই মত প্রকাশ করছে।
দুবনা, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫
Comments
Post a Comment