চিন্তা

রাতে ভালো ঘুম হয়নি। এমনটি প্রায়ই হয়। তবে আজকের কারণ ছিল ভিন্ন। কয়েকদিন আগে শুভ ফোন করল


- দাদা, আপনি যদি কসমোলজির উপর সহজ ভাষায় একটা বই লিখতেন খুব ভালো হতো। এদিক থেকে যে ধরণের সাহায্য দরকার আমি করবো।
- শুভ বই লেখা তো খুব কঠিন কাজ। তাছাড়া আমি দেশে থাকি না, ঠিক কী ধরণের বই লিখলে সহজপাঠ্য হবে সেটাও জানি না। সময় একটা ফ্যাক্টর।
- দাদা, আপনি একটু ভেবে দেখেন।
- ঠিক আছে। একটু সময় দাও। তোমাদের ওখানে গত বছর এর উপর আমি একটা টক দিয়েছিলাম। আরও কিছু লেখা পাঠাচ্ছি। তুমি এসব পড়ে ভেবে দেখ। আমিও ভাবি।


গতরাতে আবার নক করল শুভবলল  
-        আপনি শুরু করেন, ইংরেজি বা রাশানে লেখেন, আমি অনুবাদ করবো।
কী করা। ভাবলাম, যদি লিখতে হয় বাংলায়ই লিখি। প্রত্যেকের লেখার নিজস্ব স্টাইল আছে। তাই দেরি না করে শুরু করলাম। এর সুবিধা একটাই। বই লেখা না হলেও এ উপলক্ষ্যে কিছু নতুন বই পড়া হবে, কিছু নতুন জ্ঞান লাভ হবে। আর যদি শুভ বইটা বের করে তো পোয়া বার। যাকে বলে উইন উইন সিচুয়েশন।


বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মানুষের সাথে দেখা হয়, কথা হয়। স্বাভাবিকভাবেই অনেকে জিজ্ঞেস করে আমার কাজকর্মের কথা। অনেক সময় আমাদের কথোপকথন এরকম রূপ নেয়
- আপনি কি করেন?
- আপনি কসমোলজি নিয়ে কাজ করি।
- কসমেটোলজি?
- না না, কসমোলজি। অ্যাসট্রোনমির কথা শুনেছেন? অনেকটা এ ধরণের সাবজেক্ট।
আমি চেষ্টা করি কথাটাকে সহজবোধ্য করতে।
- হুম, বুঝেছি এটা অ্যাসট্রোলজির সাথে জড়িত। তাই?
- না না, আমরা সরাসরি মানুষের ভবিষ্যৎ বলি না, তবে মহাবিশ্বের অতীত ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলি।
এ রকম ঘটনা যে শুধু আমাদের দেশেই ঘটে তা নয়, অপেক্ষাকৃত উন্নত দেশের সাধারণ মানুষও কসমোলজি সম্পর্কে খুব অল্প ধারণাই রাখে।

রাতে বারবার ঘুম ভেঙ্গে গেছে আর বিভিন্ন প্লট আসছে মাথায়। একটু একটু করে লেখাও হচ্ছে আর পড়াও। দেখি কি দাঁড়ায় শেষ পর্যন্ত।


দুবনা, ২৯ জানুয়ারী ২০১৮


Comments

Popular posts from this blog

২৪ জুনের দিনলিপি

ছোট্ট সমস্যা

প্রায়োরিটি