প্রশ্ন

সঠিক বলতে পারব না, তবে অনেকের কাছে গল্প শুনে, বিভিন্ন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের বক্তব্য শুনে মনে হয়েছে আমেরিকার অধিকাংশ মানুষের অন্য দেশ সম্পর্কে জ্ঞান খুবই কম অথবা বলা যায় অন্য দেশ সম্পর্কে তাদের আগ্রহ কম। তাই হঠাৎ করেই মনে প্রশ্ন জাগল এটা কি মানুষের সহজাত অনীহা নাকি সরকারের রাজনৈতিক কৌশল? কারণ যখন মানুষ বিভিন্ন দেশ সম্পর্কে জানে, সেসব দেশের আর্থ-সামাজিক, রাজনৈতিক ব্যবস্থা সম্পর্কে অবহিত হয় তখন তাদের মধ্যে পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষা জাগতে পারে। ধর্ম কিন্তু এভাবেই কাজ করে। কোন একটা গ্রন্থে বিশ্বাস, অন্য গ্রন্থ অগ্রাহ্য করা - এটা এক ধরণের বর্ম। কারণ মানুষ যত জানে তত প্রশ্ন করে, তত পরিবর্তন চায়। আমেরিকার নিজেদের এক্সক্লুসিভ ঘোষণা করার পেছনে হয়তো সেই সিস্টেমের বিভিন্ন দুর্বলতা থেকে রক্ষা কবচ হিসেবে কাজ করে। তাদের আগ্রাসী মনোভাবের পেছনেও আছে এই এক্সক্লুসিভনেস। ধর্মে তার উদাহরণ আমরা প্রায়ই দেখি। কারও শ্রেষ্ঠত্ব যখন শক্তি নির্ভর হয় তখন তা অন্যদের জন্য হুমকি স্বরূপ। আর নিজে শ্রেষ্ঠ বিধায় সে নিজের অন্যায় কার্যকলাপ ন্যায় বলে চালিয়ে দিতে পারে, দেয়। এটাও হয়তো ধর্মকে রাজনৈতিক ভাবে ব্যবহারের আরও একটা উদাহরণ।

দুবনা, ১৭ জানুয়ারি ২০২৪

Comments

Popular posts from this blog

২৪ জুনের দিনলিপি

প্রায়োরিটি

ছোট্ট সমস্যা