লেনিন

আজ লেনিনের মৃত্যু শত বার্ষিকী। ২১ জানুয়ারি ১৯২৪ সালে তাঁর মৃত্যু সংবাদ সোভিয়েত জনগণকে জানানো হয়েছিল। ৩০ আগস্ট ১৯১৮ ফান্নি কাপলানের হাতে গুলিবিদ্ধ হবার পর থেকেই তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁর শেষ জীবন কাটে মস্কোর অদূরে গোর্কি লেনিনস্কি নামে এক গ্রামে।

লেনিন নিঃসন্দেহে শুধু বিংশ শতকের নয় মানব ইতিহাসের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব যিনি বলতে গেলে স্বল্প সংখ্যক অনুসারী নিয়ে ইতিহাসের চাকা ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন। প্রতিষ্ঠা করেছিলেন পৃথিবীর প্রথম সমাজতান্ত্রিক দেশ।

তাঁর রাজনৈতিক ভাবনায় একদিকে ছিল সাধারণ মানুষের প্রতি ভালোবাসা, অন্যদিকে শাসক শ্রেণীর প্রতি প্রচন্ড ঘৃণা। ফলে এক দলের কাছে তিনি হিরো, অন্যদের কাছে ঘৃণার পাত্র। তবে যেটা দেখা যায় এই ভক্তি ও ঘৃণা প্রায়ই অন্ধ। অথচ লেনিন আর দশ জনের মতই রক্ত মাংসের মানুষ যার যেমন সাফল্য আছে তেমনি আছে ব্যর্থতা, আছে গুণ, আছে দোষ। আজ সোভিয়েত ইউনিয়ন নেই কিন্তু তার লিগেসি এখনও ঠিকই রয়ে গেছে। আজ সাবেক সোভিয়েত ভূমিতে বিশেষ করে ইউক্রেনে যে যুদ্ধ চলছ সেটাও লেনিনের রাজনীতির ফসল। তাই বিশেষ করে যারা বামপন্থায় বিশ্বাসী, যারা শোষণ মুক্ত সমাজ গড়ার সৈনিক বলে নিজেদের ভাবেন তাদের লেনিনের অভূতপূর্ব রাজনৈতিক প্রজ্ঞার পাশাপাশি রাজনৈতিক ভুলত্রুটিগুলোয় মাথায় রাখতে হবে আর সেসব মাথায় রেখেই নিজেদের রাজনৈতিক পথ নির্ধারণ করতে হবে।

দুবনা, ২১ জানুয়ারি ২০২৪

Comments

Popular posts from this blog

২৪ জুনের দিনলিপি

প্রায়োরিটি

ছোট্ট সমস্যা