জন্মদিনের প্রশ্ন

আজ নেতাজী সুভাষ বোসের জন্মদিন। আমার অন্যতম প্রিয় নেতাদের একজন। ছোটবেলা থেকে মায়ের কাছে গল্প শুনে শুনে কখন যে সেই স্থান দখল করেছেন সেটা টেরই পাইনি। আজ হঠাৎ করেই একটি প্রশ্ন মাথায় এল। তাঁর লেখায়, কাজে, বক্তৃতায় তিনি যে ভারতবর্ষের স্বপ্ন দেখতেন, যে ভারতবর্ষের কথা বলতেন নেতাজীর সেই ভারতবর্ষ মোদির ভারতের চেয়ে নেহেরুর ভারতের অনেক কাছে। অথচ নেহেরুর ভারতে তিনি ততটা স্বীকৃতি পাননি যতটা পেয়েছেন মোদির ভারতে। তবে এটা বিজেপির রাজনৈতিক কৌশল বই কিছু নয়। কিন্তু যে প্রশ্নটা মাথায় এলো সেটা হল "কী হত যদি নেতাজী গান্ধীর উপর অভিমান না করে কংগ্রেসে থেকে যেতেন, নিজের মত প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করতেন?" হ্যাঁ, তিনি লড়াই করেছেন আজাদ হিন্দ ফৌজের মাধ্যমে। কিন্তু কথা হচ্ছে এই লড়াইটা যদি তিনি ভেতর থেকে করতেন। একই কথা বলা যায় বাংলাদেশের রাজনীতির অন্যতম নক্ষত্র তাজউদ্দীন আহমদের ক্ষেত্রে। কারণ কোন কাজই একবার শুরু করলে উদ্যোক্তাদের সরে যাওয়ার সাথে সাথে সেটা শেষ হয়ে যায় না। তার রেশ থাকে। তাই শুরু করা কাজের ভালোমন্দের দায় তাঁদেরও। বর্তমানে ভারতে বা বাংলাদেশে যা ঘটছে নেতাজী সুভাষ বা তাজউদ্দীন আহমদ তার দায়িত্ব এড়াতে পারবেন কি? এটা যতটা না তাদের উদ্দেশ্যে তারচেয়ে বেশি বর্তমান নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলা।

মস্কো, ২৩ জানুয়ারি ২০২৪

Comments

Popular posts from this blog

২৪ জুনের দিনলিপি

প্রায়োরিটি

ছোট্ট সমস্যা