গণতন্ত্র

সব কিছুর মত স্বাধীনতাও আপেক্ষিক। আসলে প্রতিটি মানুষই পরাধীন। কেউ বাইরের শক্তির কাছে, কেউ স্থানীয় মোড়লদের কাছে আবার কেউ পরিস্থিতির কাছে। মোড়ল দেশী বা বিদেশী যেই হোক সে মোড়ল, শাসক এবং বেশির ভাগ ক্ষেত্রে শোষক। তবে সে কতটুকু জনদরদী আর কতটুকু গণবিরোধী সেটা নির্ভর করে তার শিক্ষা, সংস্কৃতি ও মানবিক মূল্যবোধের উপর। আজ ইউরোপে সরকার বলছে জনগণকে কৃচ্ছতা সাধন করতে। পাঁচ মিনিটের বেশি স্নান না করতে। এমনকি আশির দশকের শেষের আর নব্বুইয়ের দশকের সোভিয়েত ইউনিয়ন ও রাশিয়ায় এমনটি দেখা যায়নি। কী কারণে? রাশিয়াকে শাস্তি দিতে যাকে তারা নিজেরাই যুদ্ধে নামিয়েছে। বায়োলজিক্যাল ল্যাব সম্পর্কে নূল্যান্ডের স্বীকারোক্তি আর ২০১৪ সাল থেকে ন্যাটো রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে এ বিষয়ে স্টলটেনবার্গের স্বীকারোক্তি এ ব্যাপারে কোন সন্দেহের অবকাশ রাখে না। সেসব দেখে মনে হয় কোন দেশের সরকার আজ আর জনগণের নয়, জনগণ দ্বারা নির্বাচিত নয় (ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন আক্ষরিক অর্থেই) এবং জনগণের জন্যেও নয়। আজকাল অধিকাংশ সরকার বৃহৎ পুঁজির দ্বারা নির্ধারিত বৃহৎ পুঁজির জন্য এবং বৃহৎ পুঁজির পকেটস্থ সরকার। 

দুবনা, ০৫ জুলাই ২০২২


Comments

Popular posts from this blog

২৪ জুনের দিনলিপি

প্রায়োরিটি

ছোট্ট সমস্যা