মোর ভাবনারে

ফিনল্যান্ড আর সুইডেন ন্যাটোতে যোগ দিতে কাগজ পত্র জমা দিয়েছে বেশ কিছুদিন আগে। রাশিয়া বলেছে এ নিয়ে ওদের তেমন কোন মাথা ব্যথা নেই। আসলে ওদের নিরপেক্ষতা ছিল আপেক্ষিক। সবাই জানত রাশিয়া আর ন্যাটোর মধ্যে কোন ঝামেলায় ওরা ন্যাটোর পক্ষ নেবে। তাহলে লাভ? এখন বরং ওদের সব সময় রাশিয়ার মিসাইলের নিশানায় থাকতে হবে। ঘটনা কি? কেন আমেরিকা জেনে শুনে বন্ধুদের বিপদে ফেলল? আসলে মনে হয় ঘটনা অন্য জায়গায়। এই দুটি দেশ স্যোশাল ওয়েল ফেয়ার স্টেট নামে পরিচিত। সমাজতন্ত্র না হলেও সম্পদের বন্টন এসব দেশে কমবেশি ন্যায়সঙ্গত। আর এটা করা হয় পুঁজিবাদের পকেট কেটে। আমেরিকার জন্য সেটা সুখকর নয়। এই দুটি দেশ ইতিমধ্যেই রাশিয়ার কু নজরে পড়েছে। বাড়ছে তেল গ্যাসের দাম। গরীব হচ্ছে সাধারণ মানুষ। আর? ঠিক ধরেছেন। ধনী হচ্ছে বৃহৎ পুঁজি। এসব দেশেও। ফলে এদের ক্ষমতা বাড়বে আর কিছু দিন পরে এরা সামাজিক খাতে ব্যয় কমাবে। এরাও হবে আর দশটা পুঁজিবাদী দেশের মত। হয়তোবা কানাডাও সে পথেই যাবে। তাই বর্তমান যুদ্ধ শুধু রাশিয়ার বিরুদ্ধে নয়, পুঁজিবাদের অবাধ্য সন্তানদের বিরুদ্ধেও। সোভিয়েত ব্যবস্থাকে ঠেকাতে যেসব ছাড় দেয়া হয়েছিল সেটাকে এখন সমূলে উৎপাটন না করলে চলবে কিভাবে?

দুবনা, ৩১ জুলাই ২০২২

Comments

Popular posts from this blog

২৪ জুনের দিনলিপি

প্রায়োরিটি

ছোট্ট সমস্যা