যুদ্ধ ও জনতা

ইউক্রেনের যুদ্ধ চোখে আঙুল দিয়ে দেখালো যে দিনের শেষে জনগণকেই সব ঋণ পরিশোধ করতে হয়, তা সে আমাদের দেশেই হোক আর ইউরোপ আমেরিকায় হোক। এর আগে আফগানিস্তান, ইরাক, সিরিয়া, লিবিয়ার যুদ্ধে শরণার্থী সমস্যা নানা ধরণের অসুবিধার সৃষ্টি করলেও ইউরোপ আমেরিকার মানুষ নিজেদের ভুক্তভোগী মনে করেনি, এসব যুদ্ধ বিপুলসংখ্যক মানুষের রান্না ঘরে প্রবেশ করেনি, ড্রয়িং রুম থেকেই বিদায় নিয়েছে। আজ এই যুদ্ধ সারা বিশ্বের মানুষের জীবনে প্রভাব ফেলছে। আমেরিকা, ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সের ক্ষেপনাস্ত্র যদি পর্যদুস্ত ইউক্রেন সেনারা সাধারণ নাগরিকদের পাশাপাশি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ব্যবহার করে অবাক হবার কিছু থাকবে না। আর এতে যদি রাশিয়া ও ন্যাটো নিজেদের মধ্যে সরাসরি যুদ্ধ এড়িয়ে যেতে পারেও ইউরোপের মানুষ চেরনোবিলের চেয়েও বড় ধরণের বিপর্যয়ের সম্মুখীন হবে। অথচ এ সমস্ত দেশের দায়িত্বহীন রাজনৈতিক নেতৃত্ব কখনোই এজন্য জবাবদিহিতা সম্মুখীন হবে না। জনগণ যত দিন রাজনীতিবিদ নামক দুষ্ট লোকের মিষ্টি কথায় ভুলে তাদের সব অন্যায়, তাদের অর্থ ও ক্ষমতা লিপ্সা সমর্থন করে যাবে ততদিন এই বোঝা জনগণকে বইতেই হবে।

দুবনা, ১৩ জুলাই ২০২২


Comments

Popular posts from this blog

২৪ জুনের দিনলিপি

প্রায়োরিটি

ছোট্ট সমস্যা